সকাল থেকেই আকাশের অবস্থাটা ভালো না। মেঘের গর্জনে কানে তালা মেরে যাওয়ার মতো অবস্থা।সকাল ৯ টা বাজে কিন্তু বাইরে তাকালে মনে হয় এখনও ভোর শেষ হয় নি। অফিসে যাবার জন্য ready হচ্ছি। এমন সময় বাবার ডাক শুনলাম।
-কিরে আনন্দ।
-হ্যাঁ বাবা বোলো।
-আজ কি মেঘলা দিন নাকি, বুঝতে পারছি না, চশমাটা ভেঙে গেছে রে।
-হম। আজকে আকাশে অনেক মেঘ জমেছে। চশমা ভাংছে, আগে বল নাই কেন?
-ভুলে গেছিলাম রে। আজকাল বড্ড ভুলামনা হয়ে গেছি। জানিস সেদিন তোর মায়ের বিয়ের সময়ের ছবি কোনভাবেই মনে করতে পারলাম না।মেজাজ এত বিগড়ে গেছিল রে।
-হম। তা আজ কোন দরকারি কাজ আছে, আমি অফিসে যাচ্ছি।
-আজকে মনে হয় ঝুম বৃষ্টি হবে, তাই না?
সকাল থেকেই আকাশের অবস্থাটা ভালো না। মেঘের গর্জনে কানে তালা মেরে যাওয়ার মতো অবস্থা।সকাল ৯ টা বাজে কিন্তু বাইরে তাকালে মনে হয় এখনও ভোর শেষ হয় নি। অফিসে যাবার জন্য ready হচ্ছি। এমন সময় বাবার ডাক শুনলাম।
-কিরে আনন্দ।
-হ্যাঁ বাবা বোলো।
-আজ কি মেঘলা দিন নাকি, বুঝতে পারছি না, চশমাটা ভেঙে গেছে রে।
-হম। আজকে আকাশে অনেক মেঘ জমেছে। চশমা ভাংছে, আগে বল নাই কেন?
-ভুলে গেছিলাম রে। আজকাল বড্ড ভুলামনা হয়ে গেছি। জানিস সেদিন তোর মায়ের বিয়ের সময়ের ছবি কোনভাবেই মনে করতে পারলাম না।মেজাজ এত বিগড়ে গেছিল রে।
-হম। তা আজ কোন দরকারি কাজ আছে, আমি অফিসে যাচ্ছি।
-আজকে মনে হয় ঝুম বৃষ্টি হবে, তাই না?
-এই তোমার দরকারি কথা। মেঘলা দিনে ঝুম বৃষ্টিই তো হবে।
-না। ঝুমুটা তো সামনেই অনার্স ফাইনাল। বিয়ের কথা তো ভাবতে হয়।
-হম।
-এত হম হম করস কেন? থাবর দিতে ইচ্ছে হইতাছে।
-হম।
-ধুর, তোর না অফিস আছে। যা।
-আচ্ছা বাবা, যাচ্ছি।
-যাওয়ার সময় ছাতিটা নিয়ে নিস।কখন জানি আবার আকাশ টা ভেঙে পরে।
-হম।
ছাতিটা নেই নি। নিবই বা কিভাবে, ঠিক করা হয় নাই।আজকে মেঘলা দিন। বাবার মনে হয় খিচুরি খেতে ইচ্ছে করছে। করতেই পারে। মা থাকার সময় তো সবসময় খিচুরি রান্না করত। এখন মাও নেই, এগুলা হয় না।পকেটে আবার টাকা কম।মাসের শেষ। দেখি টাকা যোগার করতে পারি নাকি। বসরে বললে অবশ্য দিবে,কেনই বা দিবে না? আমার সাবেক প্রেমিকা।
বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকার সময়ই আমাদের সম্পর্ক,সেখানেই শেষ।মেয়েটা আসলে ধনীর দুলালি।আমাদের middle class এর সাথে মানাতো পারতো না।শুধু শুধুই ঝামেলা হত।এর চেয়ে ভালো সম্পর্কটা ভেঙে ফেলা,তাই করেছিলাম।সেদিনও অদ্ভুতভাবে আজকের মতো মেঘলা দিন ছিল। আচ্ছা সেদিনের তারিখ কি জানি ছিল? মনে নেই। মস্তিস্ক বড়ই প্রতারক হয়ে যাচ্ছে আজকাল। ওর বেপারগুলোকে temporary file হিসেবে recycle bin এ ফেলে দিয়েছে।
চাকরীটা খারাপ না,কিন্তু আমার কেন জানি মনে মনে হয় সে আমাকে একটু বেশি অগ্রাধিকার দিচ্ছে। আমার এক কলিগকে বলার পর বল্ল,”ভাই,আসলেই আপনি একটু বেশি বুঝেন,অগ্রাধিকার দিচ্ছে তো ভালো কথা,আপ্নার সমস্যাটা কোথায়?” আমি তো আর তাকে বলতে পারি না, আমার সাবেক প্রেমিকা যে আমার বস।
বিকেল হয়ে গেছে।আকাশের কোন পরিবর্তন লক্ষ্য করছি না।
অফিস থেকে বের হব,তখন কাব্য (বস) ডাকল।
-এই যে আনন্দ।কেমন আছো?
-ভালো। আপনি?
-আপনি!! অনেক change হয়ে গেছ।
-না হয়ে কি লাভটা হতো।
-লাভ ক্ষতি নিয়ে এখনও চিন্তা কর?
-কেন তুমি করো না?
-নাহ। সেই সব চিন্তা আজকাল মাথায় আসে না।
-হম, ভালো।
-আজকের তারিখটা মনে আছে।
-উম, আজকে ২৬শে অগাস্ট না?
-হম, তারপর আর কিছু মনে নেই?
-নাহ, স্মৃতির বই থেকে কিছু পাতা আগুনে পুড়ে গেছে।
-ভালো। bye.
-bye.
আমি আসলে কি ভুলে গেছিলাম? কি জানি? হয়ত হ্যাঁ, হয়ত না, হয়ত ভুলে যাওয়ার কাঁচা অভিনয় করলাম। আজ কাব্যর জন্মদিন। সেবার জন্মদিনে যখন রাত ১ টার সময় ওর বাসার গেটের সামনে কেক নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলাম, ঐ দিন হয়তো ওকে ভালবাসতাম, আজ হয়তো ভালবাসি না। ভালবাসাটা দুর্বোধ্য হয়ে গেছে আমার জন্য।
দিপক কে ফোন করলাম,”দোস্ত ১০০০ টাকা ধার দিতে পারবি”।
-হ্যাঁ পারব।তুই কই এখন?
-আমি আসছি ১৫ মিনিটের মাঝে।
-ওকে আয়।
[রাত ১০টা]
খাবার টেবিলে আমি, বাবা আর ঝুমু বসা। সামনে ঘরোয়ার খিচুরি। বাবা অবাক চোখে তাকিয়ে আছে আমার দিকে,আমার অবশ্য সেদিকে ভ্রুক্ষেপ নেই। আমি খেয়ে যাচ্ছি।
চমৎকার লিখেছেন। চালিয়ে যান।
চমৎকার লিখেছেন। চালিয়ে যান। আশা করি উন্নতি করতে পারবেন… 🙂
ধন্যবাদ আপনাকে……..
ধন্যবাদ আপনাকে…….. 🙂
টুইস্ট ছিল , ভালো লাগছে
টুইস্ট ছিল , ভালো লাগছে :তালিয়া:
টুইস্ট ?????
টুইস্ট ????? :আমারকুনোদোষনাই:
কিছু কিছু আবেগ সবারই
কিছু কিছু আবেগ সবারই এক,।।
ভালো লিখেছেন
জী, সবার আনন্দ এক না হলেও
জী, সবার আনন্দ এক না হলেও কষ্ট প্রায় সবারই এক। প্রকৃতিরও কষ্ট আছে, তা হল আমরা, মানুষরা
মজার তো।
মজার তো।
এটা মজার?
এটা মজার? :হাহাপগে:
ভালো লাগল। বর্ননার ঘনঘটা নেই,
ভালো লাগল। বর্ননার ঘনঘটা নেই, কিন্তু সবটুকু বুঝিয়ে দিতে সক্ষম। এরকম লেখা পড়তে আরাম।
মূলত বর্ণনা ভালো দিতে পারি না
মূলত বর্ণনা ভালো দিতে পারি না বলেই তার ঘনঘটা করি না। ধন্যবাদ ভাইয়া
শেষটা চমৎকারভাবে করেছেন
শেষটা চমৎকারভাবে করেছেন 🙂
শেষটা আমি নিজেও সন্দিহান
শেষটা আমি নিজেও সন্দিহান ছিলাম এটাই দিব নাকি?