রানা প্লাজা ধ্বসের দুই মাস পরে এসে আজ আর কোন উদ্ধার কর্মীর কথা মিডিয়াতে নেই। এরই মধ্যে বাবু মারা গেছে। হয়ত আরো অনেকেই সামনে নিজেকে রানা প্লাজার লাশের সারিদের সাথে যুক্ত করবে। আমরা কোনদিনও হয়ত তাদের নামও জানবো না। তারা যেমন নিজের জীবন বাজি রেখে অন্যের জীবন বাঁচাতে এগিয়ে এসেছিল, তেমনি সকলের অগোচরেই চলে যাবে পৃথিবী ছেড়ে। আমরা কেবল নিজেদের নিয়েই ব্যবস্থা কোন দিনও তাদের কোন খবর নেব না। এটাই পৃথিবী। এরই নাম জীবন।
মৃত্যুর মিছিলে জীবনের গান গাওয়ার নাম বেঁচে থাকা। আমরা বেঁচে থাকবো। হাজারো বাবুদের আত্মহত্যা আমাদের কাঙ্ক্ষিত জীবন থেকে আমাদের এক চুলও সরাতে পারবে না।
রানা প্লাজা ধ্বসের দুই মাস পরে এসে আজ আর কোন উদ্ধার কর্মীর কথা মিডিয়াতে নেই। এরই মধ্যে বাবু মারা গেছে। হয়ত আরো অনেকেই সামনে নিজেকে রানা প্লাজার লাশের সারিদের সাথে যুক্ত করবে। আমরা কোনদিনও হয়ত তাদের নামও জানবো না। তারা যেমন নিজের জীবন বাজি রেখে অন্যের জীবন বাঁচাতে এগিয়ে এসেছিল, তেমনি সকলের অগোচরেই চলে যাবে পৃথিবী ছেড়ে। আমরা কেবল নিজেদের নিয়েই ব্যবস্থা কোন দিনও তাদের কোন খবর নেব না। এটাই পৃথিবী। এরই নাম জীবন।
মৃত্যুর মিছিলে জীবনের গান গাওয়ার নাম বেঁচে থাকা। আমরা বেঁচে থাকবো। হাজারো বাবুদের আত্মহত্যা আমাদের কাঙ্ক্ষিত জীবন থেকে আমাদের এক চুলও সরাতে পারবে না।
মর বাবু, রফিকুল ইসলাম, ওমর ফারুক তোরা মরে আমাদের শান্তি দে। আমরা বাচতে চাই।
এপ্রিল মাসে রানা প্লাজা ধ্বসে মারা গেছে হাজারের বেশি শ্রমিক। আরো অনেকেই এখনো নিখোঁজ। আর কোনদিনই তাদের মুখ দেখতে পাবে না তাদের মা বাবা, সন্তান বা ভাই বোনরা। তারা হারিয়ে গেছে স্মৃতির অতলে।
রানা প্লাজা থেকে ১৭ দিন পরে বেঁচে বের হওয়া রেশমা ভালো আছে। চাকরি পেয়ে তার জীবন সুখে কাটবে। কিন্তু যারা এই রেশমাদের বাঁচাতে নিজেদের জীবনের মায়া ত্যাগ করে সেদিন নেমেছিল মৃত্যুপুরীতে, তারা কেমন আছে?
তারা কী জীবনের স্বাভাবিক স্রোতে ফিরে গেছে নাকি রানা প্লাজার লাশের সারি তাদেরকেও ডাকছে তাদের দলে সামিল হতে।
ছবি দেখেই যেই পরিমাণ খারাপ
:মনখারাপ: :মনখারাপ: :মনখারাপ: :মনখারাপ: :মনখারাপ:
ছবি দেখেই যেই পরিমাণ খারাপ লাগছে, তাহলে যারা সরাসরি সেই মৃত্যুপুরীতে দিনের পর দিন থেকে লাশের মিছিল সরানোর কাজ করেছে তাদের অবস্থা কি হবে ভাবতেই গা শিউড়ে ওঠে।
কিছুই বলার নেই…শুধু বলব মানুষ
কিছুই বলার নেই…শুধু বলব মানুষ মরে গেলে পচে যায়,বেঁচে থাকলে বদলায়.…
রানা প্লাজা থেকে ১৭ দিন পরে
এইটাই এখন প্রধান প্রশ্ন । এই ছোট্ট বিষয় টা যদি ঢুকতো বাঙ্গালির মাথায় – বদলে যেত অনেক কিছু । :দীর্ঘশ্বাস:
🙁
আমরা আজ লাশের মিছিলের
🙁 🙁 🙁
আমরা আজ লাশের মিছিলের সংখ্যার দিকে তাকায় প্রতিক্রিয়া জানানোর আগে!
কেন? কারণ মৃতের সংখ্যা ২-৪, ৫-৭ বা ২০-২৫ হলেও আমরা তেমন আতঙ্কিত হয় না…
শ কিংবা হাজার ছাড়ালেই কেবল আমাদের বিবেক জানান দেয় এখনও বেঁচে আছে!
বিবেকের মৃত্যু হয়েছে দাদা, জাতির বিবেকের মৃত্যু হয়েছে!!
বিবেকের নবজন্মের অপেক্ষায়…
(No subject)
:মনখারাপ: