১৯৭১এ পাক বাহিনী সমগ্র বাংলাদেশ জুড়ে তাদের যেই নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালায় তার সাক্ষী আমার আজো দেখতে পাই এই বাংলার মাটিতে। তাদের থাবায় এই বাংলা পরিবর্তিত হয়েছিল নরকে। যার স্মৃতি আমরা আজো ভুলতে পারিনি। আর পাক বাহিনী কার্যক্রমের বিরাট একটি অংশ ছিল বানিজ্য নগরী চট্টগ্রাম কেন্দ্রিক। কিছুদিন আগে চট্টগ্রামের নির্যাতন ও বধ্যভূমির একটি তালিকা দিয়েছিলাম (http://www.istishon.com/node/748) । আজ থেকে সেই তালিকার প্রতিটি নির্যাতন কেন্দ্র ও বধ্যভূমির বিবরণ সমেত বিস্তারিত প্রকাশ করছি।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
১৯৭১এ পাক বাহিনী সমগ্র বাংলাদেশ জুড়ে তাদের যেই নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালায় তার সাক্ষী আমার আজো দেখতে পাই এই বাংলার মাটিতে। তাদের থাবায় এই বাংলা পরিবর্তিত হয়েছিল নরকে। যার স্মৃতি আমরা আজো ভুলতে পারিনি। আর পাক বাহিনী কার্যক্রমের বিরাট একটি অংশ ছিল বানিজ্য নগরী চট্টগ্রাম কেন্দ্রিক। কিছুদিন আগে চট্টগ্রামের নির্যাতন ও বধ্যভূমির একটি তালিকা দিয়েছিলাম (http://www.istishon.com/node/748) । আজ থেকে সেই তালিকার প্রতিটি নির্যাতন কেন্দ্র ও বধ্যভূমির বিবরণ সমেত বিস্তারিত প্রকাশ করছি।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
২। শের শাহ বিহারী কলোনীঃ এ কলোনীতে যারা বাস করতে তাদের ৮০শতাংশই ছিল বিহারী। ৭০এর নির্বাচনের পর থেকেই এরা বাঙ্গালীদের উপর ক্ষেপা ছিল। অসহযোগ আন্দোলন শুরু হলে পাক সেনাবাহিনীর কিছু সৈন্যকে সাধারণ পোশাকে রাখা হয়। তারা সাধারণ বিহারীদের সাথে মিশে দাঙ্গা সৃষ্টি করেছিল। সে দাঙ্গায় অনেক বাঙ্গালি মারা যায়। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে এই বিহারীদের আচরণ পুরো পুরি বদলে যায়। সেখানে তারা টর্চার সেল স্থাপন করে যেখানে তিনশতাধিক মানুষ হত্যা করা হয়। এই বিহারীদের নেতা ছিল সিফাত রশিদ। সে চট্টগ্রাম মহশীন কলেজের ছাত্র ছিল। উর্দূভাষী এই যুবক ইসলামী ছাত্র সংঘের সহযোগিতায় নির্যাতন পরিচালনা করত। এছাড়াও সে আল শামস বাহিনীর সদস্য ছিল। ডাঃ হাবিবুর রহমান কর্তৃক জামাল খানস্থ টাওয়ার হোটেলে আল শামসের দপ্তরে গ্রেনেড হামলা চালালে সেখানে সে গুরুতর আহত হয়। দেশ স্বাধীন হবার পূর্বেই এদের পুরো পরিবার দেশ ছাড়ে।
৩। ফিরোজ শাহ কলোনীঃ এই কলোনীর অবস্থাও শের শাহ কলোনীর মত। এই কলোনীর আল শামস বাহিনীর নেতা আইয়ুব মোহাম্মদ খান ছিল পেশায় একজন কসাই। কথিত আছে সে তার গরু জবাই করার অস্ত্র দিয়ে ফয়েস লেক এবং নিজ এলাকায় দুশতাধিক মানুষকে জবাই করে হত্যা করেছিল। ৭১এ নভেম্বরের প্রথম দিকে আল শামস বাহিনীর নেতৃত্বের প্রসঙ্গে বেলুচ হাবিলদার শরিফ খানের সাথে সে বিবাদে জড়ায়। বিবাদের এক পর্যায়ে উত্তেজিত হাবিলদার শরিফের গুলিতে মারা যায় কুখ্যাত আইয়ুব।
(চলবে…)
চমৎকার পোস্ট । সঠিক ইতিহাস
চমৎকার পোস্ট । সঠিক ইতিহাস জানতে পারবে অনেকে । কিন্তু একটা কথা আগের পর্বটাও দেখলাম একটু সঙ্খেপ এটাও তাই – আর একটু বিস্তারিত লেখেন ভাই । তাইলে পাঠক দের খুদা মিটব । যায় হোক – পরের পর্বের জন্য অপেক্ষায় থাকলাম । :খুশি:
আমিও একই কথা বলছি…..
আমিও একই কথা বলছি…..
ধন্যবাদ।
পরবর্তীতে মাথায়
ধন্যবাদ।
পরবর্তীতে মাথায় থাকবে।
ধন্যবাদ।
পরবর্তীতে মাথায়
ধন্যবাদ।
পরবর্তীতে মাথায় থাকবে।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আমি
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আমি মোবাইল থেকে টাইপ করি। তাই চাইলেও বড় পোষ্ট দেয়া সম্ভবনা।
তাহলে আপনার যেভাবে সুবিধা হয়
তাহলে আপনার যেভাবে সুবিধা হয় তেমনি দিন। জানাটাই আসল। :খুশি:
মন্তব্যের জন্য
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
মোবাইল থেকে তো একে টাইপ করা ঝামেলার, তার উপর নির্দিষ্ট লিমিট আছে। সেই সাথে আরো কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে।
ভালো একটা সিরিজ হচ্ছে। আপনি
ভালো একটা সিরিজ হচ্ছে। আপনি যে মোবাইল থেকে এতো কষ্ট করে হলেও আমাদের জন্য লিখছেন তার জন্য সাধুবাদ জানাচ্ছি। মোবাইল থেকে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিতেই আমার জান কয়লা হয়ে যায়, ব্লগ পোস্ট লেখার কথা তো চিন্তাই করতে পারিনা। আপনাকে ধন্যবাদ। :থাম্বসআপ: :থাম্বসআপ: :থাম্বসআপ:
ধন্যবাদ।
সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।
ধন্যবাদ।
সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।
ভাই জানি অনেক কষ্ট করে লিখছেন
ভাই জানি অনেক কষ্ট করে লিখছেন তবুও বলব আরেকটু বড় করে দেন.…ভাল হচ্ছে…
😀
😀
ধন্যবাদ।
পরবর্তী থেকে
ধন্যবাদ।
পরবর্তী থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।
নতুন করেতো কিছুই বলার নাই।
নতুন করেতো কিছুই বলার নাই। আপনার সিরিজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য আপনাকে অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা। এইযে এতো কষ্ট করে আপনি নিয়মিত আমাদের জন্য লিখে যাচ্ছেন তার বদৌলতে অনেক অনেক ভালোবাসা আর শ্রদ্ধা রইল। আমরা যারা নতুন প্রজন্মের দাবীদার একদিন এই বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে তুলবই।
ধইন্যা।
আমি আমার সর্বোচ্চটাই
ধইন্যা।
আমি আমার সর্বোচ্চটাই চেষ্টা করব।