কিছু ক্ষন পর অমৃত বেরিয়ে এল পুরো শরীরে খামচি,কামড়,রক্তাক্ত ক্ষত,জমাট বাঁধা রক্তের কালচে আভা।আমার দিকে শার্ট পরতে পরতে আসছে,ঠোঁটের কোনে এক চিলতে হাসি,বলতে যাচ্ছিল কিছু।দিলাম কষে চড়,আমার দিকে একবার তাকাল নিচে নেমে চলে গেল।আমি ল্যাবের ভিতরে যাব কিনা ভাবছি।প্রিলা কাঁদতে কাঁদতে বেরিয়ে এল ওর তেমন কিছু হয়নি দেখে আমি নিশ্চিন্ত হলাম।প্রিলা আমাকে বল্লো একটু ওকে পৌঁছে দিতে।আমি প্রিলাকে বাসায় পৌঁছে দিয়ে একটা রিক্সা নিয়ে বাসায় এলাম।ভাবছি এবার কি হবে,কি হয়েছে এসব,প্রিলা কিভাবে বিষয়টা নিল।প্রিলা পরদিন এলো না,অমৃতা ও আসেনি।এভাবে এক সপ্তাহ চলে গেল।প্রিলা বিকেলে ফোন করলো ধরতেই প্রিলা বল্লো আজ বিকেলে দেখা করতে পারবি।বিকেলে যখন ওর সাথে দেখা হলো তখন সে একা ছিল না,আরো এক জন ছিল।প্রিলা পরিচয় করিয়ে দিল ওর হবু বরের সাথে।আমরা তিন জনে চা খাচ্ছিলাম আর প্রিলা বলছিল অমৃতার কথা ও এমন কিছু আশা করে নি।অমৃতা জানতো প্রিলার বিয়ে ঠিক হয়ে আছে।আমি তো পুরাই মদন বনে গেলাম মেয়ের বিবৃতি শুনে তাও হবু বরের সামনে এমন দুঃসাহস রমণীদের ও আছে।প্রিলা চাইছিল আমি যেন অমৃতকে আর কিছু করতে নিষেধ করি।ওর স্বামী ও তাই চাইছিল।দুদিন পর অমৃতার সাথে কলেজে দেখা প্রথমে কথা বলতে ইচ্ছে হচ্ছিল না।কিন্তু আমার প্রিয় বন্ধু কথা না বলে কি থাকতে পারি।ওর সাথে কথা বল্লাম এবং জানতে পারলাম ও প্রিলার ব্যপারে অনুতপ্ত বা লজ্জিত নয়।ও প্রিলাকে ব্ল্যাকমেইল করতে চায় এবং মোবাইল ভিডিও রেকর্ডটা সে ব্লুটুথের মাধ্যমে কলেজ বন্ধুদের কাছে ছড়িয়ে দেয়।ওই দিনই ওকে কলেজ থেকে বহিস্কার করা হয় এবং পুলিশ গ্রেফতার করে নিয়ে যায় দুদিন পরেই ওর বাবা মারা যায়।বেশ কিছুদিন অমৃতার আর খবর নেইনি মাস দুয়েক আগে প্রিলার সাথে দেখা বাইকে করে ঘুরছে ওর বরের সাথে।আমি খেয়াল করিনি প্রিলাই আমাকে ডাক দিল এবং অনেকটা সময় আড্ডা দিলাম।ওদের থেকে হিদায় নিয়ে অমৃতার কথা ভাবছিলাম এর দুদিন পরেই এক বন্ধুর মাধ্যমে জানলাম অমৃতার বাবা মারা যাওয়ার পর সরকারী কোয়ার্টার থেকে গ্রামের বাড়ি চলে গেছে।অমৃতা ও ওখানে থাকে পরিবারের কেউ তাকে প্রছন্দ করে না।না মা,না বোন।গ্রামের অন্যরা এখন ও ঘটনা জানেনা এই রক্ষা।এখন সে হাতে গিটার নিয়ে ঘুরে বেড়ায় এপাড়ায় ওপাড়ায়।অথচ এই অমৃতা এক দিন সপ্ন দেখতো দেশ সেরা ডাক্তার হবার অন্য দিকে প্রিলা অবশ্যই শিক্ষক হতে যেয়ে বৌ হয়ে গেছে।থেমে নেই কারো জীবন,থেমে নেই সময়,থেমে নেই পথ চলা।
শুধু থেমে গেছে কিছু ছোট্ট ছোট্ট সপ্ন,আর আমার বন্ধুত্ব।
আপনি প্রথমেই বাধা দিলে এত
আপনি প্রথমেই বাধা দিলে এত কিছু কি আর হত ?
অমৃত নাকি অমৃতা? এক পর্যায়ে
অমৃত নাকি অমৃতা? এক পর্যায়ে বিভ্রান্ত হয়ে গিয়েছিলাম, কোনো সমকামী জুটির কাহিনী পরছি না তো? একটু পরেই অবশ্য ভুল ভাঙ্গলো| দয়া করে বানানগুলো একটু দেখবেন| পুরো কাহিনী এক প্যারায় না লিখে ভাগ ভাগ করে লিখলে ভালো হত| একটু মনে হয় তাড়াহুড়ো করে ফেলেছেন| বর্ণনায় সামান্য ধীর গতি থাকলে ভালো হত|
(No subject)
:মনখারাপ: :মনখারাপ: :মনখারাপ: :মনখারাপ: :মনখারাপ:
আপনাদের ধন্যবাদ আমি কেন জানি
আপনাদের ধন্যবাদ আমি কেন জানি দৌড়ের উপর লিখতে পছন্দ করি তাই ধীর গতিতে বর্ননা দিতে পারি না।অমৃত এবং অমৃতা এটা আমরা বন্ধুরা ডাকি ওর আসল নাম অমৃতা আচার্যী ফাস্ট ইয়ারে পড়া ষোল বছরের একটা ছেলের মাঝে ঠিক কিভাবে বাঁধা দেওয়া বা এমন কিছু আসতে পারে।কিন্তু ওই মুহুর্তে আমার ব্রেন ঠিক মত কাজ করছিল না।অমৃত ধর্ষন করে যত টুকু অপরাধ করেছে তার থেকে আমার নিজেকে বেশি অপরাধী মনে হয়।হয়ত এত কিছু ঘটতো না যদি আমি পয়েন্ট টা ধরে দাঁড়াতে পারতাম।
শিট
শিট :মানেকি: