স্থান নজরান, সৌদি বর্ডারের এক প্রত্যন্ত অঞ্চল, যুদ্ধবিধ্বস্ত এক মেডিক্যাল আউটপোস্ট। স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের নির্দেশসাপেক্ষে বাবার পোস্টিং হলো সেই বিরান ও বিধ্বস্ত ভূমিতে। সঙ্গী শুধু মা, আমি (মাত্র হামাগুড়ি অধ্যায় শেষ করে হেলেদুলে কোনোমতে হাটতে শিখেছি), আর আদরের ছোটো বোন (তখনও মা’র কোলেই কাটাচ্ছে শিশুকাল)।
স্থান নজরান, সৌদি বর্ডারের এক প্রত্যন্ত অঞ্চল, যুদ্ধবিধ্বস্ত এক মেডিক্যাল আউটপোস্ট। স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের নির্দেশসাপেক্ষে বাবার পোস্টিং হলো সেই বিরান ও বিধ্বস্ত ভূমিতে। সঙ্গী শুধু মা, আমি (মাত্র হামাগুড়ি অধ্যায় শেষ করে হেলেদুলে কোনোমতে হাটতে শিখেছি), আর আদরের ছোটো বোন (তখনও মা’র কোলেই কাটাচ্ছে শিশুকাল)।
নজরানে আমাদের ড্রপ করা হলো একটা হেলথ মিনিস্ট্রির সিকরস্কি চপারে। বিস্তীর্ণ মরুপথ পাড়ি দিয়ে অবশেষে আমাদের জন্য বরাদ্দ বাসায় ফিরলাম। মাটির দরদালান মতোন ট্র্যাডিশনাল আরবি বাড়ি একটা, বিদ্যুৎবিহীন এবং ধূলিমলিন। বিদ্যুৎ বিহীন রাত কাটালাম একটা পিকআপের হেডলাইট ভরসা করে। পরদিন প্রায় দুপুরনাগাদ খাবার পানি শেষ হয়ে গেল। এদিকে বাবা গেছেন ডিউটিতে, হাসপাতালে। বাসায় শুধু আমরা দুই পিচ্চি আর মা। অস্থির গরম ও পিপাসায় মা সিদ্ধান্ত নিলেন পানি কিনতে বের হবেন। পরে শুনেছি প্রায় এক কিলোমিটার মতোন হাঁটার পরে পানি কিনে খাইয়েছিলেন আমাদের।
মাঝে মাঝে মনে পড়ে বিস্তীর্ণ বালিয়াড়ির কথা, ধূলিঝড়ের কথা, শৈশবের ধূসর সব স্মৃতিময় কিছু দিনের কথা। সমবয়সী আরব শিশুদের তাচ্ছিল্য আর অপমানের কথা মনে পড়ে, মনে পড়ে আমাদের মিসকিন পরিচয়ের কথা।
আরও বিস্তারিত লিখলে ভালো হতো।
আরও বিস্তারিত লিখলে ভালো হতো। এতো অল্পে মন ভরল না।