স্যার গাড়ীতে উঠছেন, আমি পাশে দাঁড়িয়ে। যেহেতু পাশ করে গেছি, এখন নিজেকে কলিগ ভাবা যায়, তারপরেও পারছি না। স্যার এর গাড়ী চলে গেলে আমি বাস ধরার জন্য রওয়ানা দিব। স্যার নিজে থেকেই বললেন, তোমার বাসাও তো ওদিকে, উঠে যাও।
কোথায় বাসের গুঁতোগুঁতি আর কোথায় গাড়ীতে বসে এসি বাতাসে আরাম করতে করতে যাওয়া। উঠে গেলাম। স্যার এর পিওন ব্যাগ সামনের সিটে রাখল। আমি আর স্যার পিছনের সিটে। গাড়ী ছেড়ে দিল। পিওনটা খুব বিষণ্ণ মুখে সালাম দিল। গাড়ী চলতে শুরু করল।
স্যার গাড়ীতে উঠছেন, আমি পাশে দাঁড়িয়ে। যেহেতু পাশ করে গেছি, এখন নিজেকে কলিগ ভাবা যায়, তারপরেও পারছি না। স্যার এর গাড়ী চলে গেলে আমি বাস ধরার জন্য রওয়ানা দিব। স্যার নিজে থেকেই বললেন, তোমার বাসাও তো ওদিকে, উঠে যাও।
কোথায় বাসের গুঁতোগুঁতি আর কোথায় গাড়ীতে বসে এসি বাতাসে আরাম করতে করতে যাওয়া। উঠে গেলাম। স্যার এর পিওন ব্যাগ সামনের সিটে রাখল। আমি আর স্যার পিছনের সিটে। গাড়ী ছেড়ে দিল। পিওনটা খুব বিষণ্ণ মুখে সালাম দিল। গাড়ী চলতে শুরু করল।
কি মনে করে স্যার হেসে ফেললেন। ‘আমার পিওন বাইরে থেকে দেখাচ্ছে যে মন খুব খারাপ। আসলে কিন্তু মনে মনে খুব খুশী।‘ পুরো ব্যপারটা হচ্ছে, পিওনের স্ত্রীর ক্যান্সার ধরা পড়েছে। শেষের দিকে। খুব বেশী এখন আর কিছু করার নাই। শুনতে খারাপ লাগলেও, স্যারের সঙ্গে একমত হলাম। ‘জী হুজুর’ করা যদিও এখন আমার দ্বায়িত্ব, তবে এক্ষেত্রে সততার সঙ্গে বললাম, ঠিক বলেছেন স্যার।
বিয়ে, প্রেম এসব নিয়ে রসিকতার অন্ত নাই। সবই ব্যাঙ্গাত্মক। কোথাও মুখ্য বিষয় অবিশ্বাস কোথাও বা দার্শনিকতা। পড়বার পরে ঠোঁট বাঁকা করে একটু হেঁসেই বোধহয় দ্বায়িত্ব শেষ। মনে কোন প্রতিফলন রাখা জরুরী না। বেশীরভাগ ক্ষেত্রে থাকেও না। তারপরও পড়ি, এবং মজা পাই।
একটি দার্শনিক টাইপের রসিকতা সেদিন পড়লাম। জীবনে দুটো জিনিস অর্জন করা খুব কঠিন
এক) তোমার চিন্তা অন্য কারো মাথায় ঢোকানো
দুই) কারো টাকা তোমার পকেটে ঢোকানো।
প্রথমটা যে সফল ভাবে পারে সে হচ্ছে একজন শিক্ষক
দ্বিতীয়টা যে সফলভাবে পারে সে হচ্ছে একজন ‘বস’
যে দুটোই সফলভাবে পারে সে হচ্ছে একজন ‘স্ত্রী’
আর যে দুটোতেই ব্যর্থ হয় সে হচ্ছে একজন ‘স্বামী’
মর্মান্তিক এই সত্যটা যদিও এতদিন অনুধাবন করে আসছিলাম, এমন সুন্দরভাবে গুছিয়ে কেউ বলে নি। রসিকতাটার লেখকের নাম জানি না, আত্মপ্রচারবিমুখ কোন মহানুভব হবেন, তাঁকে অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে একটা ধন্যবাদ দিচ্ছি।
সম্প্রতি স্ত্রী দের বেতন ভাতা দেয়া নিয়ে কিছু কথাবার্তা শুরু হয়েছে। আইন হবে কি না কিংবা হলে তা প্রয়োগ সম্ভব কি না এমন গুরুতর আলোচনার যোগ্যতা আমার নাই। চাকরী সম্পর্কিত একটি রসিকতা একটু ‘শেয়ার’ করতে ইচ্ছে করছে।
একবার এক ‘বস’ তাঁর ‘এমপ্লয়ি’ দের সঙ্গে নাস্তা করতে এলেন। সবাই তটস্থ হয়ে গেলে তিনি তাঁদের একটা মজার গল্প শোনালেন। শুনে সবাই হেঁসে কুটিকুটি। শুধু একজন হাসছে না। উদ্বিগ্ন ‘বস’ জানতে চাইলেন, কি ব্যাপার গল্পটা মজার না? গোমড়া মুখো ‘এমপ্লয়ি’ বলল, আমার হাসবার কোন প্রয়োজন নাই। কালকে আমি চাকরী ছেড়ে দিচ্ছি।
‘বিয়ে’ সম্পর্কটাতে ‘বেতন’ ব্যপারাটা প্রবেশ করলে সম্পর্কের শেষ কি দাঁড়াবে জানি না, তবে বেতনের লোভে বিয়ের সুত্রপাত হতে পারে। কিংবা বলা যায় এমন অনেক আগে থেকেই আছে। প্রকাশ্যে হয়তো কেউ স্বীকার করেন না তবে এই নিয়ে আরেকটি গল্প আছে।
আমার স্বামী আমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে!
: কী রকম বিশ্বাসঘাতকতা?
: বিয়ের আগে সে বলেছিল, তার বয়স ৯০, স্বাস্থ্য খারাপ আর সে কোটিপতি।
: সে কি কোটিপতি নয়?
:কোটিপতি, কিন্তু বয়স মাত্র ৬০ আর স্বাস্থ্য ও যথেষ্ট ভালো।
এর চেয়েও ভয়ংকর রসিকতাটা স্যার সেদিন গাড়ীতে বলেছিলেন, বউ মরলে কে না খুশী হয়। শুধু কষ্ট হয় বাচ্চাদের। প্রেম ভালবাসা এসবের ওপর থেকে কি বিশ্বাস উঠে যাচ্ছে? হয়তো না। কারণ সম্ভবত আমাদের মনের ভেতর একটা কবি লুকিয়ে আছে, যার নাম নির্মলেন্দু গুণ। সে বলছে
আমি বলছি না ভালোবাসতেই হবে , আমি চাই
কেউ একজন আমার জন্য অপেক্ষা করুক,
শুধু ঘরের ভেতর থেকে দরোজা খুলে দেবার জন্য ।
বাইরে থেকে দরোজা খুলতে খুলতে আমি এখন ক্লান্ত ।
হুম.…অভিজ্ঞতা কথা
হুম.…অভিজ্ঞতা কথা কয়!!!
:p
একটু রসিকতা করলাম…এই আর কি…যা বলেছেন তার সত্যতা কতটুকু তা জানি না তবে এতটুকু বলতে পারি পুরো বিষয়ের জন্যই দায়ী ‘মিসম্যাচ্ִ বিয়ে…তবে ভুল-ও হতে পারে.…তবে এতটুকু বলতে পারিঃ
“MARRIAGE IS NOT A CHOICE BUT A NECESSITY”-JANE AUSTEN
এটা অভিজ্ঞতা থেকে লেখা না।
এটা অভিজ্ঞতা থেকে লেখা না। একবার ফেসবুকে একজন বিয়ে নিয়ে অনেকগুলো উক্তি দিয়েছিল। সেগুলো দেখে লেখাটার আইডিয়টা আসে। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
হুম দিল্লীকা লাড্ডু।
হুম দিল্লীকা লাড্ডু। :আমিকিন্তুচুপচাপ:
তা তো ঠিকই।
তা তো ঠিকই।
(No subject)
:থাম্বসআপ:
ধন্যবাদ
ধন্যবাদ
আপনার বাকি গল্পের তুলনায় বেশ
আপনার বাকি গল্পের তুলনায় বেশ দুর্বল!
যদিও এইটা গল্প নয় তবুও ঠিক আপনার সাথে যায় এমন কোন ক্যাটাগরিতেও ফেলতে পারলাম না… যাহোক কয়েকটা চিত্রকল্প বেশ পরিচিত আর কমন!!
আশাকরি স্বরূপে ফিরে আসবেন…
লেখাটা প্রায় এক বছর আগে লেখা।
লেখাটা প্রায় এক বছর আগে লেখা। আমার লেখক জীবনের প্রথম দিকের। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। সমালোচনা গুলো মনে রেখে পরবর্তী লেখা গুলোতে মনোযোগী হব।
জীবনে দুটো জিনিস অর্জন করা
সত্য !!!!!!!!!!!!!!!!!! :বিস্ময়:
বায় দা ওয়ে ঝালমুড়ির মসলা ভাল তবে মিক্সার ভালা জমে নি as usual যেমন হয় । নাহ জমলেও ভাল বলতেই হবে কেননা আপনার লেখা খারাপ হওইয়ার প্রশ্ন ওঠে নাহ 😀
সমালোচনা মাথা পেতে নিলাম।
সমালোচনা মাথা পেতে নিলাম। ধন্যবাদ।