লেগুনার পিছে যে আণ্ডা বাচ্চা আপনার কাছ থেকে ভাড়া তুলে তারে আজ কয়টা ধমক লাগাইছেন?
বাসায় ছোট যে কাজের মেয়েটা আপনার জন্য পানি নিয়া আসতে ৩৫ সেকেন্ড দেরী করে ফেলল তার গালে কয়টা চড় বসিয়ে দিলেন ?
লেগুনার পিছে যে আণ্ডা বাচ্চা আপনার কাছ থেকে ভাড়া তুলে তারে আজ কয়টা ধমক লাগাইছেন?
বাসায় ছোট যে কাজের মেয়েটা আপনার জন্য পানি নিয়া আসতে ৩৫ সেকেন্ড দেরী করে ফেলল তার গালে কয়টা চড় বসিয়ে দিলেন ?
আপনি আর আমি যখন আরাম কেদারায় বসে ফেবুতে বা ব্লগে দেশ উদ্ধার করছি তখন ৭৯ লক্ষ শিশু ( সত্যিকারের সংখ্যাটা আরও বেশী ) তিন বেলা খাওয়া জুটানোর লক্ষে কচি হাতে তুলে নিচ্ছে জীবিকার অস্ত্র ।
আমরা জানি একজন পূর্ণ বয়স্ক মানুষের অফিস আওয়ার দিনে ৮ ঘণ্টা ( সকাল ৯ থেকে বিকাল ৫ টা ) মানে সপ্তাহে ১৬৮ ঘণ্টা ! তাতেই তাদের কতো অব্জেকশন ! পে স্কেল আরও বৃদ্ধি করতে হবে , হাউজ রেন্ট , মেডিক্যাল চার্জ এতো কম কেন ! আরও সুবিধা চাই , দিতে হবে ।
অবাক করা তথ্য কি জানেন — এই দেশে ই ঝুঁকিপূর্ণ শিশু শ্রমে নিয়োজিত প্রায় ১৩ লাখ শিশু এক সপ্তাহে ১৬৮ ঘণ্টার মধ্যে কাজ করছে প্রায় ৯০ ঘণ্টা – তাদের নেই কোন পে স্কেল নাই কোন আদার ফ্যাসিলিটি । নেই কোন অধিকার , প্রাপ্ত মর্যাদা !!
কখনো কি কোন শিশু শ্রমিকের হাত নিজের দুহাতে তুলে দেখেছি কেমন সেই শ্রমিকের হাত ? তুলতুলে নাকি শক্ত ? হাতে কালশিটে দাগ নাকি দাগহীন নির্ভেজাল দুটি সূর্য ? তাদের হাতের ঘ্রাণ কেমন ? জনসন বেবি লোশনের , পেট্রল ডিজেলের নাকি কাপড় কাচার সাবানের ?
জানি তো ?
তাদের চোখে চোখ রেখে কখনো তাকিয়েছি আমরা ? তাদের চোখও কি আমা ছোট্ট ভাগিনার মতো আদুরে নাকি ঐ চোখ একটু ভালোবাসা দাবী করে ?
তাকিয়েছি কি ?
মুরগীর পোড়া শরীর পেটে নিয়ে যখন তাদের পেটের দিকে তাকাই কি অনুভব করি আমরা ? ঐ জামা ছেড়া বখে যাওয়া শিশুগুলোর পেট থেকে ভেসে আসা ‘ ভাত দে , দুই মুঠ ভাত দে ‘ শব্দ কয়জন শুনতে পারি , নাকি তাদের দিকে তাকালেই লাইফবয় দিয়ে চোখ ধুয়ে ফেলি ?
বিড়ি বা মেশিন কারখানা , রাস্তার পাশে , পার্কে অথবা রেল ষ্টেশনে পড়ে থাকা এই শিশুগুলোকে দেখে খুব সহজেই বলে ফেলেছি — ” শেষ ! এই বাচ্চার ভবিষ্যৎ শেষ , এখনি মুখে সিগারেট ! এদের দিয়া আর আশা নাই ”
কিন্তু নিজে তাদের জন্য কি করেছি ? কখনো কিছু করবার কথা চিন্তা করেছি , মুখে ২ টাকা ছুড়ে দেয় ছাড়া
কে উত্তর দিবে ? আছে কেউ ?
নিজের শৈশবের সাথে এইসব শ্রমজীবী শিশুদের তুলনা করলে নিজেকেই অপরাধী মনে হয় । আমি কিছু করবো বলে মনঃস্থির করেছি , আপনি ?
চরম কিছু সত্য চোখে আঙুল দিয়ে
চরম কিছু সত্য চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল। হয়ত সত্যিই প্রথার বাইরে গিয়ে এইসব শিশুদের জন্য কিছু করার সৌভাগ্য আপনার হবে। এতো এতো সমস্যা দেখে মাঝে মাঝে হতাশা গ্রাস করে। আবার এইরকম করে কেউ চিন্তা করছে দেখলে উৎসাহ পাই। থ্যাংকস।
দোয়া করবেন আতিক ভাই
দোয়া করবেন আতিক ভাই
ভাই ছবিটা সহ্য করতে পারছি
ভাই ছবিটা সহ্য করতে পারছি না।
যখনই এমন ছবি দেখি, রাস্তায় হাজারো এমন শিশুকে দেখি, বাসে ঝুলন্ত শিশুকে দেখি তখনই এক তীব্র অপরাধবোধ আঁকড়ে ধরে। নিজেকে সেই জায়গায় চিন্তা করে দেখি, ভাবি আমি তো কখনও এমন কাজ করতে পারতাম না।
ভাই , ছবি তো ছবি ই ! কিন্তু
ভাই , ছবি তো ছবি ই ! কিন্তু প্রতিদিন লেগুনার পিছনে বা রাস্তার পাশেই যখন তাদের দেখা যাবে তখন !
অন্তত তাদের সাথে আমরা কেউ খারাপ বিহেব করবো এই , প্রতিজ্ঞাও কিন্তু অনেক বড় কিছু !
পড়ার জন্য ধন্যবাদ অবাস্তব স্বপ্নচারী
সমাজের নির্মম একটা বাস্তবতা ।
সমাজের নির্মম একটা বাস্তবতা । যেটা সহ্য হয় না, অনলাইন এ বসে চিল্লায় আমরা । কিন্তু বাস্তবে কি করছি কতটুকু করছি এদের জন্য আমরা !!!!!!!! :দীর্ঘশ্বাস: :দীর্ঘশ্বাস: :দীর্ঘশ্বাস: :দীর্ঘশ্বাস:
তেমন কিছুই করেনি , তাই আজও ৭৯
তেমন কিছুই করেনি , তাই আজও ৭৯ লক্ষ শিশু শ্রমিক আছে , সংখ্যাটা আরও বেশী
অসাধারন।পুরাই চরমজ।
অসাধারন।পুরাই চরমজ। :থাম্বসআপ:
ধন্যবাদ রাইয়ান
ধন্যবাদ রাইয়ান
দুঃখজনক হলেও বাস্তব। ভাল
দুঃখজনক হলেও বাস্তব। ভাল লিখেছেন।
ধন্যবাদ
ধন্যবাদ