ভেঙ্গে যেতে পারে ১৮ দলীয় জোট! যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যার দায়ে জামাত যদি নিষিদ্ধ হয় সেক্ষেত্রে ১৮ দলীয় জোটের বড় এই দলটিই আর নির্বাচনে যেতে পারবে না। তাছাড়া জামাত নেতারা যুদ্ধাপরাধের দায়ে দন্ডপ্রাপ্ত হলে তারা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবে না। তারপর বিএনপির নেতৃত্বাধীন এই জোটকে নামসর্বস্ব দলগুলো নিয়েই নির্বাচনে যেতে হবে। বিএনপি নেতা ব্যারিষ্টার নাজমুল হুদা দল থেকে পদত্যাগ করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ফ্রন্ট (BNF) গঠন করে তৃতীয় শক্তির কথা বললেও পরে তিনি আবার কিছুদিন আগে একটা টকশোতে বিএনপিতেই আছেন বলে জানান। তাহলে কোথায় সেই নাম সর্বস্ব দল ও তৃতীয় শক্তি? অপরদিকে ১৮ দলীয় জোটের সাথেই যোগ দিবেন সাবেক রাষ্ট্রপতি বদরুজ্জোদা চৌধুরী (বিকল্পধারা)। এটা মোটামুটি নিশ্চিত করেই বলা যায়। সেক্ষেত্রে একা পরে যাচ্ছেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. কামাল হোসেন (গণফোরাম)। যিনি বিকল্পধারাকে সাথে নিয়ে তৃতীয় শক্তি করতে চেয়েছিলেন।তবে কি তিনি মহাজোটেই যোগ দিবেন শেষ পর্যন্ত? সাবেক স্বৈরাচার হুসেইন মোহাম্মাদ এরশাদ (জাতীয় পার্টি) আগামী নির্বাচনে এককভাবে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন। তবে তিনি আবহাওয়া পরিবর্তন হলে মহাজোটের সাথে থেকেও যেতে পারেন। বিএনপি নির্বাচনে না গেলে তিনি এককভাবে নির্বাচন করে বিরোধীদলে যাওয়ার স্বপ্ন দেখতে পারেন। আর বিএনপি গেলে এরশাদের জাতীয় পার্টি নির্বাচনে প্রধান দুই দলের মাঝে মোটেই সুবিধা করতে পারবে না। তা এরশাদ ভালো করেই জানেন। অপরদিকে ডাকসুর সাবেক ভিপি ও সাবেক আওয়ামীলীগ নেতা মাহমুদুর রহমান মান্নার নাগরিক ঐক্য আত্মপ্রকাশকালে অরাজনৈতিক সংগঠন বলা হলেও রাজনৈতিক সংগঠন হিসাবেই ধরে নেওয়া যায়। দলটি ঢাকাতে ১৮ টি আসনে প্রার্থী ও ঢাকার বাইরে ৫০টি আসনে প্রার্থী দিবে বলে জানা যায়। তবে এই দলটির কতোজন প্রার্থী জয়ী হতে পারবেন এ বিষয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। বাংলাদেশে কি হঠাত্ করেই তৃতীয় শক্তির উত্থান হবে? নিশ্চিত করেই বলা যায় ‘না’। অপরদিকে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দল যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রশ্নে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল ও ২০০৮ সালের নির্বাচনের প্রাক্কালে গঠিত মহাজোট আরো সম্প্রসারিত হতে পারে। মহাজোটের সাথে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী ইসলামভিত্তিক ৮-১০টি দল ও বাংলাদেশের বামদলগুলো থেকে কয়েকটি যোগ দিতে পারে। সেক্ষেত্রে মহাজোটের আকার আরো বাড়বে। বাম দলগুলো আবার আলাদা ঐক্যের কথা বলে থাকে। কিন্তু,কতো জনে কতো জোট করলো, শেষ পর্যন্ত কয়টা ঐক্য থাকলো ? তবে নির্বাচনের আগে হিসাব নিকাশ পুরোপুরিই বদলে যাবে। ছোট দলগুলো ঐক্যজোট করতে চাইবে না তারা ক্ষমতার স্বাদ পেতে বড় দুই দলের দিকেই ধাবিত হবে। বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বের জোট যুদ্ধাপরাধী স্বাধীনতাবিরোধীদের সাথে থেকে তরুণ প্রজন্মের ভোট কি তাদের দিকে টানতে পারবে? যেখানে খালেদা জিয়া প্রকাশ্য সমাবেশে যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্তদের মুক্তি চেয়েছেন। আওয়ামীলীগের নির্বাচনী ইশতেহার ঘেটে দেখা যায় যে তারা নির্বাচনী ইশতেহারের ৯০ শতাংশই পূরণ করতে পেরেছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের অঙ্গিকারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়ে গেছে। সরকারের ছোট খাটো ভুলগুলো যাতে সব সাফল্য মলিন করে দিতে না পারে সেদিকে খেয়াল করে বাকী নির্বাচনী ওয়াদাগুলো নির্বাচনের আগে পূরণ করতে পারলে ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার দলগুলো ঐক্যবদ্ধ থাকলে ‘জয় বাংলা’র জয় আবারও নিশ্চিত। সবচেয়ে বড় ইস্যু হচ্ছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার। সোনার বাংলায় গণজাগরণ তৈরী হয়েছে, তরুণ প্রজন্ম জেগে উঠেছে। যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষ নিয়ে নির্বাচনে জয়ী হওয়া কঠিন হয়ে পরবে বিএনপির। সেক্ষেত্রে আওয়ামীলীগের জয় নিশ্চিত বলা যায়।
ধীরে পোস্ট দিন একটু ।
ধীরে পোস্ট দিন একটু । ফ্লাডিং হবে তো
ভাইজান, নতুন আমি। আজ ২টা
ভাইজান, নতুন আমি। আজ ২টা পোস্ট দিয়ে শুরু করলাম ব্লগে লেখালেখি। ইস্টিশন দিয়ে শুরু।
ভালই লাগল… দেখা যাক
ভালই লাগল… :থাম্বসআপ: :থাম্বসআপ: :থাম্বসআপ: দেখা যাক কি হয়!
আপনার বিশ্লেষণের মতই যেন হয় বাস্তবতা…
যেকোন মুল্যে হেফাজত-জামাতিদের এই দেশ থেকে তাড়াতে হবে!
আর রাজাকারদের ফাঁসি না দিয়ে কোন প্রকার রাজনীতি করলে সরকারকে চড়া মুল্য দিতে হবে, আমার মনে হয়!! ৭-৮ টার রায় হবে নির্বাচনের আগে তাদের ফাসিতে ঝুলাতে পারলে আমারও ধারনা আপনার বিশ্লেষণের মতই কিছু একটা হবে!! :অপেক্ষায়আছি: :অপেক্ষায়আছি: :অপেক্ষায়আছি: :অপেক্ষায়আছি: :অপেক্ষায়আছি: :অপেক্ষায়আছি:
(No subject)
🙂
মূলা ঝুলানোর টেকনিক বাদ দিয়ে
মূলা ঝুলানোর টেকনিক বাদ দিয়ে মূলা রান্নার দিকে নজর দিলে আওয়ামী লীগ ভালো করবে বলে মনে হয়।
মূলা ঝুলানোর টেকনিক বাদ দিয়ে
সহমত আতিক ভাই । :তালিয়া:
শেষ কথা হল জামাত শিবির হেফাজত
শেষ কথা হল জামাত শিবির হেফাজত ক্ষমতায় আসতে পারবে না। বাংলাদেশ ধ্বংস হতে পারে না।