অনেক ধকল যাবার পর হঠাত তারিখ টার দিকে খেয়াল হতেই দেখলাম আজ ৬ ই জুন… বিশ্ব পরিবেশ দিবস এর পরের দিন… এটা এইজন্যে আসলে বেশি গুরুত্বপূর্ণ না যে এটা পরিবেশ দিবস এর পরের দিন… আসলে অন্য একটা কারনে এই দিনটার একটা বিশেষত্ব আছে… এই দিনটা আমার জন্যে একদিকে মন খারাপের আবার একদিকে খানিকটা খুশির দিন ও…এই দিনটা না থাকলে হয়ত বিধাতা আমাকে অনেক কিছুর অভিজ্ঞতা থেকে বঞ্চিত করতেন অথবা অন্য কোন দিন আমার জন্মদিন হত আর তার মাধ্যমেই এসব অভিজ্ঞতা আমার হয়ে যেত… আচ্ছা বিধাতা এই জন্মদিন ব্যাপার টা কিভাবে ঠিক করেন ?? উনার কি এমন কোন নিয়ম আছে যে যার যেদিন জন্ম হওয়ার কথা তার সেদিন জন্ম যদি নাহয় তবে সে চিরদিন ওইখানেই থেকে যাবে ?? নাকি অন্য কোন দিন তাকে এক ই ভাবে পাঠানো হয় দুনিয়াতে… নাকি এমন কোন অনিয়ম ই হয়না তার সিস্টেম এ… কি জানি হবে হয়ত কিছু একটা… এসব ভাবতে ভাবতেই মন এর কথা মনে হল… আচ্ছা মন কি ভুলে গেছে এসবের কথা ?? অঘোরে ঘুমাচ্ছে তো সে… কিন্তু তা তো হবার কথা না…আমি খুব ভালভাবেই জানি এই দিনটা মন কোনোভাবেই ভুলতে পারেনা… কিছুতেই না…আরও জানি মন এই দিনটাকে অনেক স্পেশাল করে তোলার জন্যে কিছু একটা এরই মধ্যে করে বসে আছে… আচ্ছা কি করতে পারে সে… কেইক বানানো !!! সুন্দর কোন গিফট !!!! নাকি আরও ভালো কিছু… কিন্তু এভাবে ঘুমাচ্ছে ক্যান সে… গায়ে হাত দিয়ে দেখলাম নাহ জ্বর টর তো কিছু নেই… তাহলে… আচ্ছা মন যদি ঠিক বারোটা বাজার সাথে সাথে আমাকে সারপ্রাইজ দেয় তবে কি করবো ?? এটা নিয়ে বরং ভাবা যাক… জড়িয়ে ধরে কপাল এ চুমু দিয়ে প্রতিবারের মত বলব ভালবাসি নাকি মন এর জন্যে আনা মোড়ানো গোলাপটা তখন দিয়ে বলবে এভাবেই আমার হয়ে থেক… তারপর অদুর ভবিষ্যৎ এ জন্ম নিতে যাওয়া নিজের ফুটফুটে মেয়েটিকে মন যেখানে ধারন করে আছে সেখানে আলতো একটা চুমু একে দিব…আমি জানি আমার মেয়ে ই হবে…অনেকদিনে থেকেই জানি… আসলে বিষয়টা আবার এমনো হতে পারে যে আমি চাই যে আমার মেয়ে ই হোক তাই আমি আগেই ধরে নিয়েছি যে আমার মেয়ে হবে আর সেই চিন্তা ই আমার মন মস্তিষ্কে বড় হয়ে উঠেছে… মেয়ের নাম ও আগে থেকেই মন আর আমি মিলে ঠিক করে রেখেছি… মন এর সাথে মিলিয়ে নাম ঠিক করেছি মনন… নামটা হঠাত ই মাথায় এসেছিল আমার আর মন ও নামটা অনেক পছন্দ করেছিল তারপর থেকেই আমাদের সংসারে একজন অস্তিত্বহীন পিচ্চি মেয়ে বাস করে… এখন অবশ্য মেয়েটির অস্তিত্ব আছে… আল্ট্রাসনোগ্রাম করে দেখেছি বাচ্চার নড়াচড়া… কিন্তু এখনো জানা যায়নি সে মেয়ে না ছেলে… হয়ত কিছুদিন পর ই নিশ্চিত হতে পারব আমরা… আচ্ছা যদি ছেলে হয়…নাহ মেয়ে ই হবে… এসব ভাবতে ভাবতেই ঘড়ির কাটার দিকে তাকালাম রাত ১১ টা ৩৭… আর তেইশ মিনিট বাকি…হঠাত ই বেশ ক্লান্তি এসে ভর করেছে আমার মধ্যে… সারাদিনের হাটাহাটিতে বেশ ক্লান্ত আজ আমি… পা ছড়িয়ে দিয়ে শুয়ে পড়লাম বিছানায়… ক্লান্ত চোখে ভর করছে রাজ্যের জড়তা… আড়ষ্ট চোখে মনের দিকে তাকিয়ে দেখলাম আমার সমস্ত ভালবাসা ধারন করে অচেতন প্রায় হয়ে ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে আছে আমার মন… মননের আম্মু…
আহারে বেচারা…
মননের মায়ের
আহারে বেচারা… :ভাঙামন:
মননের মায়ের ঘুম কি ভাঙছিল? :চিন্তায়আছি:
হাহা… আতিক ভাই… সেইটা তো
হাহা… আতিক ভাই… সেইটা তো মননের বাবা বলতে পারবে… 😀
দাড়ি কমা ছাড়া লেখার কী স্টাইল
দাড়ি কমা ছাড়া লেখার কী স্টাইল বুঝলাম না :কনফিউজড: :কনফিউজড:
এই দোষ ফেইসবুকের… ডট দিয়ে
এই দোষ ফেইসবুকের… 😛 ডট দিয়ে স্টাটাস দিতে দিতে সব লেখা কবে যে ডটি হয়ে গেছে… ধন্যবাদ… পরবর্তীতে শুধরে নেব ইনশাল্লাহ…
আতিক ভাই এর মত একি প্প্রশ্ন
আতিক ভাই এর মত একি প্প্রশ্ন ”মননের মায়ের ঘুম কি ভাঙছিল?” … আপনার লেখাটা পড়ে কিছু চমৎকার অনুভুতির সঞ্চারন হল আমার । ভাল । লিখতে থাকুন । :গোলাপ:
আপনার মন্তব্যের জন্যে
আপনার মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ… দেখা যাক মননের বাবার দেখা পাই কিনা … পেলে তখন নিশ্চয়ই আপনার আর আতিক ভাই এর হয়ে মননের আম্মু কে এই প্রশ্ন করবো..
শুধরে নেবার চেষ্টা করবো…
শুধরে নেবার চেষ্টা করবো… ধন্যবাদ… 🙂
আসলেই চমৎকার অনুভূতি জাগানিয়া
আসলেই চমৎকার অনুভূতি জাগানিয়া পোস্ট… লিখে থাকুন! :ধইন্যাপাতা: :ধইন্যাপাতা: :ধইন্যাপাতা: :ধইন্যাপাতা:
তবে আপনার যতিচিহ্নের ব্যবহার দৃষ্টিকটু! লিখার সাবলীলতা খর্ব করে।
শুধরে নেবার চেষ্টা করবো…
শুধরে নেবার চেষ্টা করবো… ধন্যবাদ… 🙂
লিখায়
আর একটা প্রশ্ন
মননের
লিখায় :থাম্বসআপ:
আর একটা প্রশ্ন
😉
ধন্যবাদ দেখি মননের বাবার
ধন্যবাদ 😀 দেখি মননের বাবার সাথে ঘুরতে ঘুরতে দেখা হয় কিনা… দেখা হলেই বাকিটা শুনে নিব… 😛