আধুনিক রাষ্ট্র ও আইনব্যবস্থার মূলে রয়েছে তিনটি অধিকার: জীবন, সম্পত্তি ও স্বাধীনতা। জীবনের অধিকার যেখানে হুমকিগ্রস্ত, সেখানে সম্পত্তি ও ব্যক্তিস্বাধীনতা বলে কিছু থাকে না। বিনা বিচারে হত্যা এবং সন্ত্রাসী হত্যা চলতে থাকলে প্রত্যেকের জীবনই হুমকিতে থাকবে। আসলে সমাজের কয়েকজন বিনা বিচারে নিহত হলেই বাকিরা ভয় পেয়ে যায়। ভয়ের সংস্কৃতি তখন জেঁকে বসে। জীবন হারানোর ভয় যেখানে প্রধান ভয়, সেই দেশে জীবনও জিইয়ে না, আইনও টেকে না। জীবন ও ন্যায়ের স্বার্থেই তাই নাগরিকদের বিনা বিচারে হত্যা বা অবৈধ বলপ্রয়োগ বন্ধ হতে হবে।
অনেকেরই হয়তো মনে আছে বিএনপি-জামাত জোট সরকারের জজ মিয়াঁ নামক যাত্রাপালার কথা। বর্তমান সরকারের আমলেও চলতেছে এমন একটি যাত্রাপালা।যার কেন্দ্রীয় চরিত্রে আছে জজ মিয়াঁর অনুরূপ “কিশোর লিমন”।
লিমনের প্রধান অপরাধ, সে বেঁচে আছে। যদি সে একেবারে মরে যেত, তাহলে হয়তো সেও বেঁচে যেত সাথে আমরাও সবাই বেঁচে যেতাম। আমাদের যারা সরকারি বাহিনী, তাদের জীবিত লিমনের অভিযোগ মোকাবিলা করতে হতো না। যাঁরা গণমাধ্যমকর্মী, তাঁদের একটানা লিমনের জীবনের ওপর দিয়ে চলা নিরাপত্তা-ঝড়ের কাহিনি বলে যাওয়ার কষ্ট করতে হতো না। আমাদের যাঁরা মানবাধিকারকর্মী, তাঁদের যাত্রার বিবেকের মতো লিমন-নাটকের দৃশ্যে দৃশ্যে হাজির হয়ে অক্ষমতার কাঁদুনি গাইতে হতো না। পা হারানো লিমন, নাগরিক সমাজের প্রতিবাদ, মানবতাবাদী বন্ধন, আইনের রক্ষণভাগ সবাইকে আজ এক কাতারে দাঁড়িয়ে অসম লড়াই চালাতে হতো না রাষ্ট্রের সঙ্গে। মৃত লিমন প্রতিবাদ করত না, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দাবি করত না সে নিরপরাধ।
লিমনের সঙ্গে যা ঘটে চলেছে, তা যে কারও সঙ্গেই ঘটতে পারে। যে কথিত সন্ত্রাসী মোরশেদ জমাদ্দারকে ধরার অভিযানে লিমনকে গুলি করা হয়, অদ্যাবধি তাঁকে ধরতে পারেনি পুলিশ। যে ১৬ বছরের কিশোর গুলি খেয়ে আহত হয়ে পড়ে ছিল মাঠে, সে কীভাবে সরকারি বাহিনীর কাজে বাধা দিতে পারে?????????? ফাঁকিটা সাধারণ মানুষ সহজেই বুঝতে পারে, কিন্তু বুঝতে পারেন না ক্ষমতাশালী ব্যক্তি ও পদাধিকারীরা। লিমনের বিরুদ্ধে যতই তাঁরা মিথ্যা রটিয়েছেন, ততই লিমন অর্জন করেছে জনসমর্থন। রাষ্ট্র তার সঙ্গে যত অন্যায় করেছে, ততই সে ন্যায়ের প্রতীক হয়েছে। এভাবেই লিমন পরিণত হয়েছে আমাদের পঙ্গু মানবাধিকারের প্রতীকে। এক পা হারিয়ে লিমন অর্জন করেছে অদৃশ্য এক ন্যায়ের পা। আমাদের গরিববিদ্বেষী সংস্কৃতি, আমাদের আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর বেআইনি কার্যকলাপ, আমাদের পঙ্গু মানবাধিকারের পরিহাসের বিরুদ্ধে লিমনের সেই অদৃশ্য পা ধিক্কার দিচ্ছে। সেই পা যাঁরা দেখতে পান না, তাঁদের মানবিকতাবোধ মৃত মাছের মতো অনুভূতিহীন ও দুর্গন্ধময়।
প্রারম্ভিক আলোচনার সাথে
:মানেকি: :মানেকি: :মানেকি: :মানেকি: :মানেকি: :মানেকি:
প্রারম্ভিক আলোচনার সাথে অনেকাংশেই অসামঞ্জস্যপূর্ণ লেগেছে যবনিকাটা!!
আপনি শুরুর বর্ণনার সাথে সার্থকভাবে পরের আলোচনার সংযুক্তি ঘটাতে পারেন নি!!
যা হোক আপনার লিখা ভাল হবে সামনে এই আশাবাদ থাকল…
ধন্যবাদ আপনাকে
:কনফিউজড: ধন্যবাদ আপনাকে
হুম ।।
হুম ।।
আপনি কি বোঝাতে চাইলেন তা
আপনি কি বোঝাতে চাইলেন তা কিছুটা আচ করার চেষ্টা করা গেলেও লেখাটা অস্পস্ট ও ঝাপসাই বেশি থেকে গেছে।
লেখাটা দ্রুত লেখা হয়েছিল।
:আমারকুনোদোষনাই: লেখাটা দ্রুত লেখা হয়েছিল। এজন্য কিছু সমস্যা থাকতে পারে। পরবর্তীতে সতর্ক থাকার চেষ্টা করবো।
লেখার মধ্যে অহেতুক এত বড়
লেখার মধ্যে অহেতুক এত বড় গ্যাপ এর কারন কি>??? বাই দা ওয়ে লেখা মোটামুটি।। উপস্থাপনা ছন্নছাড়া একটু । সময় নিয়ে লিখুন। বেশি বেশি ব্লগ পোস্ট পড়ুন । শুভেচ্ছা রইল । :ফুল: