আব্বা আমাদের দুই ভাই এর জন্য দুই ফ্ল্যাট এর একটি একতলা বাড়ি রেখে যান।প্রতিটি ফ্ল্যাট এ তিনটি করে রুম ছিলো।দুই ভাই এ মিলেমিশে ভালোই যাচ্ছিলো দিন।হঠাৎ করেই বড় ভাই কিছু না বলেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন যে বাসার নামকরন হবে তাঁর নামে।কিন্তু এই বিষয়টা কিছুতেই আমার ছেলে-মেয়েরা পছন্দ করল না।ছেলে-মেয়েদের অনেক মারধর করে ও যখন কোন কাজ হলনা, ভাইয়া তখন বাধ্য হলেন বাসার নামকরনের স্বৈরাচারী সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে।এর পর থেকে সব ব্যাপারেই ভাইয়া আমাদের সাথে অন্যায় আচরণ করতে শুরু করলেন।আমার ছেলে-মেয়েরা শান্তি প্রিয়হওয়ায় ছোট খাট ব্যাপারগুলো মেনে নিতে থাকল।কিন্তু কিছুদিন পর আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকল যখন ভাইয়া আমাদের ছাদে যাওয়া বন্ধ করতে ঘরের বাইরের দরজায় তালা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিলো।ছেলে মেয়েদের এমনিতেই চাপা ক্ষোভ ছিলো চাচার উপর।এ ঘটনায় তারা আর ও খেপে গেলো।আমার বড় ছেলে তাঁর ভাই বোনদের নিয়ে জোর প্রতিবাদ করা শুরু করল।আর এ প্রতিবাদ ঝগড়ায় রূপান্তরিত হলো যখন আমার ভাই এর ছেলে রা আমার বড় ছেলে কে জোর করে ওদের বাসায় আটকে রাখল।কিন্তু তাতে কাজ হলো না আমার ছোট ছেলে বড় ছেলের পক্ষে ঝগড়া চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিলো।ঝগড়ার শুরু তে ভাইয়া আর তার ছেলেরা আমার ছেলে মেয়েদের ভয় দেখানোর জন্য তাদের খেলনাগুলো নির্বিচারে ভাঙ্গতে শুরু করল।এতে ওরাএকটু ও দমল না বরং তাদের ক্ষোভ আরও বাড়ল।শুরু হলো দু পক্ষের মারামারি।আমার ছেলে মেয়েরা অপেক্ষাকৃত দুর্বল ও ছোট থাকায় তাদের সাহায্যে এগিয়ে এলো আমাদের প্রতিবেশী সুকুমার ভাইয়ের ছেলে মেয়ে রাও। টানা নয় ঘণ্টা ভয়ঙ্কর মারামারির পর জয় হলো আমাদের।দেয়াল উঠল বাড়ির মাঝখানে ও ছাদে।কিন্তু জয়ী হলে ও আমাদের অবস্থা ছিলো বিপর্যস্ত।কেননা যুদ্ধ জয়ের আগ মুহুর্তে ভাইয়া আমার ছেলে মেয়েদের সমস্ত বই পুড়িয়ে দিয়েছিলো যেন আমার ছেলে মেয়েরা শিক্ষার অভাবে কখন ও মেরুদণ্ড সোজা করে দাঁড়াতে না পারে।এছাড়া ও নয় ঘণ্টার ঝগড়ায় আমরা হারিয়েছি বাসার বেশির ভাগ আসবাবপত্র এবং লজ্জা নিবারণের কাপর চোপর।
অতঃপর…
সবকিছু ভুলে গিয়ে মুক্তির আনন্দে আমরা আমাদের বাসা আবার নতুন করে সাজাতে শুরু করলাম।কিন্তু এতো আনন্দের মধ্যে ও সবচেয়ে দুঃখের কারন ছিলো আমার বাসার কাজের ছেলে।যে কিনা ঝগড়ার সময় আমাদের সঙ্গে বেঈমানি করে আমার ভাইকে সাহায্য করে ছিলো।পুড়িয়ে দিয়েছিলো আমার ছেলের বই আর মেয়ের কাপড়চোপড়।আমাদের সঙ্গে এতো বড় বেঈমানির শাস্তি দিতে না পারায় জয়ের আনন্দ টা পুরো হয়নি।মনের ভিতর একটা চাপা কষ্ট লাফালাফি করছে…
আদৌ কি কখন ও শাস্তি হবে এই বিশ্বাসঘাতক এর ???
জানতে হলে অপেক্ষা করতে হবে আরও কিছুদিন।
লেখার মান খুব একটা ভাল না ।
লেখার মান খুব একটা ভাল না । আরও ভাল হবে আশা করি ।
তবে আপনি যে চেতনা নিয়ে এটা লিখেছেন সেটা অবশ্যই প্রশংসনীয় । :ফুল:
হবে হবে যেমন করে প্রতিবাদ করে
হবে হবে যেমন করে প্রতিবাদ করে স্বাধিনতা এসেছে তেমন ই আমরা প্রতিবাদ করে সেই কুকুর গুলোর বিচার করাবো এবং বাস্তবায়ন করব!!