জুলাই মাস বাকি আর পাচটা দিনের মত না সে দিনটি , দিনটি ছিল রৌদ্রজ্জোলআকাশে হাল্কা মেঘ ও ছিল। ।
আউসের ধানক্ষেতে এবার বাম্পার ফলন। ধানে পুরো মাঠ ভরা। ধান গুলাও পেকেও গিয়েছে। বাতাসে দোল খেললে মনে হয় যে ধানের সাগরে স্রোত বয়ে গেল।
কিন্তু ভাগ্য খারাপ এগুলো ছেড়ে যেতে হবে। তাই ধান কাটার ব্যস্ততা নেই । প্রস্তুতি নিচ্ছে বাড়ি ছেড়ে চলে যাবে আমেনা ও সিরাজ । আমেনা অন্তসত্তা নয় মাসে পড়েছে। এই অবস্থায় তাকে নিয়ে যাওয়া টা কষ্টকর তো বটেই বিপদের আসঙ্কাও আছে।
জুলাই মাস বাকি আর পাচটা দিনের মত না সে দিনটি , দিনটি ছিল রৌদ্রজ্জোলআকাশে হাল্কা মেঘ ও ছিল। ।
আউসের ধানক্ষেতে এবার বাম্পার ফলন। ধানে পুরো মাঠ ভরা। ধান গুলাও পেকেও গিয়েছে। বাতাসে দোল খেললে মনে হয় যে ধানের সাগরে স্রোত বয়ে গেল।
কিন্তু ভাগ্য খারাপ এগুলো ছেড়ে যেতে হবে। তাই ধান কাটার ব্যস্ততা নেই । প্রস্তুতি নিচ্ছে বাড়ি ছেড়ে চলে যাবে আমেনা ও সিরাজ । আমেনা অন্তসত্তা নয় মাসে পড়েছে। এই অবস্থায় তাকে নিয়ে যাওয়া টা কষ্টকর তো বটেই বিপদের আসঙ্কাও আছে।
পাসের বাড়ি স্বপ্না ও রাজা,তারাও যাবে নতুন বিয়ে হয়েছে সবে ৪ মাস হল । গত মার্চেই বিয়ে হয়েছে। স্বপ্না স্নান করে তুলসি তলায় জল ঢালছে।
এমন সময় রাজা ও সিরাজ এল, স্বপ্না কে বলল তাদের বেড়োতে হবে এখুনি। পাশের গায়ে করিম শেখ ও তার বাহিনী হামলা করছে। পুড়িয়ে দিয়েছে ঘড় বাড়ি।
স্বপ্না বলল সিরাজ দা এসেছেন যখন গুর দিয়ে মুড়ি দিয়ে খেয়ে যান।
বলা হয়নি স্বপ্না ক্লাস ৮ পর্যন্ত পরেছে। এর পর পড়া হয়নি আর সংসারের কাজ শেখায় ব্যস্ত হয়ে পড়ে। স্কুলে পড়ার জন্যও তাকে অনেক কথা শুনতে হয়েছে।
সকাল ১০টা নাগাদ বেড়িয়ে পড়ল আমেনা – সিরাজ ও স্বপ্না – রাজা ।
আমেনার কষ্ট হইতেছে পথ চলতে। অনেকটা পথ গেল নির্বিঘ্নে । সামনে দেখা গেল কিছু লোক বন্দুক নিয়ে দাড়িয়ে । এক লোক কে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে লম্বা দাড়ি তার লুঙ্গি পড়া।
ওরা অনেকটা ভয় পেয়ে গেল লোক গুলোকে দেখে।
বোরকা পড়েছিল আমেনা ও স্বপ্না। তাই হয়তো মিয়া ভাই বলেই ডাক দিয়েছিল ওরা।
বলল মিয়া ভাই কোথায় যাচ্ছেন? সামনের গেরামে যাইতেছি বলল সিরাজ ।
লম্বা দাড়ি ওলা লোকটা বলল বুঝেছি ইন্ডিয়া যাইতেছেন ভয় পাইয়েন না। আমরা রাজাকার না।
সিরাজ কে ঐ লোক টি আস্বাস দিল ভাল করেই সামনের গ্রাম পাড় করে দেবে ওরা কিন্তু কাল। আজ অথবা কাল অপারেশন আছে ওদের্। পাঞ্জাবিরা ওখানে ঘাটি পেতেছে। কাউকে গ্রাম পাড় হতে দিচ্ছে না।
ওদের নিয়ে গেল ক্যম্পে। ক্যম্প তো নয় খোলা আকাশের নিচে ২০-২৫ জনের একটি দল বসে তাদের অস্ত্র এর পরিচর্যা করিছে।
একটু পর স্বপ্না কে এক লোক বলল বইনরে কত দিন হইছে একটু স্বাদ করে তরকারি খাই না। একটু এই মাছ গুলা রাইন্ধা দিবি ?
স্বপ্না বলল হ্যা ভাই দিব না কেন। তা এইগুলা পাইছেন কই?
সেই লোকটি জানাল পাশের পুকুর টা থেকে ধরছে সে। আগে জেলে ছিল তাই জাল ছাড়া মাছ ধরার ও অভ্যাস আছে।
স্বপ্না রান্না করল সবাই অনেক দিন পড় যেন তাদের মায়ের হাতের রান্না খেল।
একটু পর ই খবর হল তাদের এখন ই হামলা করতে হবে সুলতান গঞ্জেত ব্রিজ টা ধ্বংস্ব করতে হবে অনেক পাঞ্জাবি সেনা ও অস্ত্র আসছে ঐ ব্রিজ দিয়ে।
লম্বা দাড়ি ওলা লোকটি ওদের চার জন কে বলে দিল যে নিচু য়ে থাকতে। হাটু গেড়ে ওদের পিছু পিছু আগাতে।
পাঞ্জাবি ক্যম্পের কাছা কাছি পৌছাল ওরা। আমেনা বলল ওর পেটে ব্যথা হচ্ছে আর সহ্য করতে পারছে না ও।
এর ই মধ্য গোলা গুলি শুরু হল।
আমেনার অবস্থা বুঝতে পেরে স্বপ্না তার সাথে থাকল ও নানান কথা বলতে লাগল । বু একটু কষ্ট কর্। বু আরেকটু।
তুমুল যুদ্ধ হচ্ছে। গোলা গুলি শুরু হয়েছে তাও ১০ মিনিট হয়ে গেছে। ততক্ষনাত একটি গুলি লাগল সিরাজের বুকে । ফিনকি দিয়ে রক্ত ঝরছে। আমেনাকে বুঝতে দিল না। কেউই। আমেনার একটি বাচ্চা বেড়িয়ে এল শুখময় এক কান্নার ধ্বনি শোনা গেল প্রান টা জুরালো সিরাজের পক্ষনেই দম টা যেন ময়না পাখির মত উরে গেল।
স্বপ্না লক্ষ্য করল জমজ বাচ্চা আরেক টি আছে সেটাও বের করিছে সে।
ওদিকে মুক্তি বাহীনি জয়ের পথে। অনেক টাই আধিপত্তা বিস্তার করছে তারা। পাঞ্জাবিদের ১০ জন মারা গেছে। কিন্তু আমাদের কেউ মরে নি।
২৫ মিনিট যুদ্ধ চলছে । ভর দুপুর ছিল। রৌদে খা খা করছিল।
ওদিকে আমেনার আরেক বাচ্চা টিও বের করে ফেলল স্বপ্না।
স্বপ্না বলল বু তোমার দুই চা মানিক চান হইছে একটা ছেলে আরেক টা মেয়ে।
এক শান্তির হাসি দেখা গেল আমেনার মুখে। হাসতে হাসতে যেন তার শেষ নিস্বাস ত্যাগ করল । বাচ্চা দুই টির কান্নার সাথে আরেক জনের কান্নার আওয়াজ যুক্ত হল সেটা স্বপ্নার্।
স্বপ্না কাদতে কাদতে বাচ্চা দুটিকে তুলে রাজার দিকে তাকিয়ে বলল আমেনা বু আর সিরাজ ভাই বাচ্চার নাম বলল না কেন ও আমেনা বু বল তোমার কোন মানিকের নাম কি?
বলে তাকাল আমেনার হাসি মাখা মুখের দিকে।
কিন্তু সেই মুখে আজ বুলি নেই।
তখন ই একটি গুলি লাগল সেই লম্বা দাড়ি ওলা লোকটির কাধে। যে গুলি করেছিল তাকেও গুলি করে যাঝরা করে দিয়েছে এক মুক্তি সেনা।
ঘাটি টি মুক্তি বাহিনীর দখলে আসল ।
গুলি বিদ্ধ লোকটি শেষ নিস্বাস ত্যগের আগে চারিদিক দেখে নিল ওদিকে ভয়ে নিরব স্বপ্না।
দ্বারি ওলা লোকটি বললে উঠল “”” জয় বাংলা জয় বাংলা। তোমার আমার বাংলা আমার সোনার বাংলা , জয় বাংলা।”” শেষে আল্লাহ হু আকবর বলে শেষ নিস্বাস ত্যগ করল।
স্বপ্না বলে উঠল তোর নাম জয় আর তোর নাম সোনালি।
ওদিকে জয় বাংলা সোনার বাংলা স্লোগানে রব রব করছে চারিদিক।
(( গল্পটি আমার সম্পূর্ন কল্পনার ভিত্তিতে লেখা।হয়তো বাস্তবেও কোন আমেনা সিরাজ ও স্বপ্না রাজা ছিল । আর তাদের সাথে ও এমন টিই হয়েছিল ))
আরেকটু যত্ন চাই
আরেকটু যত্ন চাই
দোয়া করুন আপনাদের সাহায্যও
দোয়া করুন আপনাদের সাহায্যও চাই । ভুল গুলো শুধরে নেব আসা করি!
বইনরে কত দিন হইছে একটু স্বাদ
এই লাইনটি পড়ার সময় কেন জানি আমার চোখ কিছুটা ছলকে উঠেছিল।
থিম ভালো, বর্ণনা আরও ভালো হতে পারতো। আর এভাবে ঘন ঘন প্যারা করে না দিয়ে বিশেষ কিছুর আগে পরে প্যারা দিলে ভালো লাগে।
শুভ কামনা।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভুল
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভুল শুধরে নেব। আসলে মোবাইল দিয়ে লিখি তো!
সহমত এবং
সহমত এবং :ফুল:
(No subject)
:খুশি:
একটু পরিচ্ছন্নতার প্রয়োজন
একটু পরিচ্ছন্নতার প্রয়োজন আছে,
তাছাড়া গল্পের চেতনা ও কন্টেন্ট চমৎকার!!
লিখতে থাকুন…
আমার ভালই লেগেছে!! :ধইন্যাপাতা: :ধইন্যাপাতা: :ধইন্যাপাতা: :ধইন্যাপাতা:
ধন্যবাদ
ধন্যবাদ
গল্পের প্লাটফর্ম টা সুন্দর ।
গল্পের প্লাটফর্ম টা সুন্দর । কিন্তু উপস্থাপনায় একটু যত্নবান হউন। শুভেচ্ছা রইল । :ফুল:
ধন্যবাদ । ভুলের যায়গা গুলো
ধন্যবাদ । ভুলের যায়গা গুলো ধরিয়ে দিলে আরো সুবিধা হত ভুল শুধরাতে
আচ্ছা আপনাকে ভুল দেখাচ্ছি –
আচ্ছা আপনাকে ভুল দেখাচ্ছি – প্রথমত অপ্রয়োজনীয় প্যারা তৈরি করেছেন লেখার মধ্যে । আর দ্বিতীয়ত , বর্ণনার সময় আর একটু শৈল্পিক ভাবে উপস্থাপন করলে ভাল হয় । আশা করি বুঝতে পেরেছেন। :ফুল:
হ্যা প্যরার ভুল টা বুঝতে
হ্যা প্যরার ভুল টা বুঝতে পেরেছি । আর বর্ননার ক্ষেত্রে আমি ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারিনি এটাও বুঝেছি।
ধন্য বাদ
ধন্য বাদ
হুদাই পন্ডিতি কইরা লাভ নাই,
হুদাই পন্ডিতি কইরা লাভ নাই, যেইডা সত্যি সেইডা কই
ধন্যবাদ। ভুল হলে তো বলবেন ই
ধন্যবাদ। ভুল হলে তো বলবেন ই পন্ডিতির কি আছে।
ভুলগুলো মোটামুটি সবাই ধরিয়ে
ভুলগুলো মোটামুটি সবাই ধরিয়ে দিয়েছে। আমি একটা যোগ করি, বানানের ব্যাপারেও একটু নজর দিয়েন। বেশ কিছু বানান ভুল আছে। এমনিতে গল্প ভালো হয়েছে।
ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ।