আমি মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি। বাবা-মা, শিক্ষকদের কাছে শুনে, বই পড়ে জেনেছি কিভাবে জন্মেছে রক্তস্নাত বাংলাদেশ নামের দেশটি। যুদ্ধের প্রেক্ষাপট, অন্যায় ও শোষণের গল্পগুলো শিশুমনে খুব দাগ কেটে ছিল। বুঝতে পেরেছিলাম স্বাধীনতা কেন প্রয়োজন ছিল, যুদ্ধ কেন অপরিহার্য ছিল। যুদ্ধের সময় দেশের মানুষ আশায় বুক বেঁধেছিল, স্বপ্ন দেখেছিল এক স্বাধীন বাংলাদেশের, যেখানে শোষণ থাকবে না, অন্যায় অবিচার থাকবে না। ৪২ বছর আগে দেশ স্বাধীন তো হয়েছে কিন্তু সত্যি কি আমরা সেই অন্যায়, অবিচার ও শোষণ থেকে মুক্তি পেয়েছি? পাইনি। তাহলে? আজো কেন এগারো বছরের শিশুকে ধর্ষিত হতে হবে ? আমরা কি এভাবেই বেঁচে থাকতে অভ্যস্ত ? নিশ্চয়ই না। আমরা মানুষ, মানুষের মতই বাঁচতে চাই, কীটপতঙ্গের মত না। মানুষের মত বেঁচে থাকতে কি দরকার? বেঁচে থাকার মৌলিক অধিকার পেতে হবে। দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে কি আপনার মনে হয় কেউ আপনার বাড়ি এসে সেই অধিকার দিয়ে যাবে? না, ৭১ এও কেউ আমাদের কাছে স্বাধীনতা দিয়ে যায়নি। আমাদের স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনতে হয়েছিল। এখনকার পরিস্থিতিও সেরকম, আমাদের অধিকার আমাদেরকেই ছিনিয়ে নিতে হবে।সময় এসেছে আবার যুদ্ধে যাওয়ার, ৭১ এ যেই স্বাধীনতা অপূর্ণ রয়ে গেছে সেই স্বাধীনতাকে পূর্ণ করার।
যুদ্ধ হবে ঘরে ঘরে, যুদ্ধ হবে কর্মস্থলে।
যুদ্ধ হবে বিদ্যালয়ে, যুদ্ধ হবে আড্ডার ছলে।
যুদ্ধ হবে ব্লগে ব্লগে, যুদ্ধ হবে রাজপথে।
আসুন এই যুদ্ধে যোগ দেই; অন্যায়, অবিচার ও শোষণের বিরুদ্ধে সোচ্চার হই। এই তো সময় !!!
কেননা আমাদের(বেশীর ভাগ)
কেননা আমাদের(বেশীর ভাগ) নৈতিকতা আর আদর্শই যে আর দলিত-মথিত-ও ধর্ষিত…
হম, প্রত্যেককে নিজ নিজ যায়গা
হম, প্রত্যেককে নিজ নিজ যায়গা থেকে সচেতন হতে হবে
হুম।
*******************
স্বপ
হুম।
*******************
স্বপ্নগুলি এই ফাগুনে কৃষ্ণচূড়া হয়ে ফুটুক।