–কিরে মতিন, চা দিতে এত দেরি লাগে?
–ভাই, এইতো হইয়া গেছে। পানি এই মাত্র বসাইছিতো। আর একটু গরম হোক। ততোক্ষণ এই সিগারেটটা খাইতে থাকেন।
হারুন সিগারেট ধরায়। আড়ালে লোকজন তাকে চাক্কু হারুন বলে। নামকরা সন্ত্রাসী। এই মুহূর্তে চাক্কু হারুন বসে আছে মতিনের চায়ের দোকানে। দুপুর তিনটার পর দোকানে তেমন ভিড় থাকেনা। দোকানের সামনে রাখা বেঞ্চে সে এখন একাই।
–ভাই, এই লন। চায়ের কাপটা এগিয়ে দেয় মতিন।
–কিরে, এলাকার ভাবসাব এখন কেমন? কাপ হাতে নিতে নিতে প্রশ্ন করে সে।
–খুব খারাপ অবস্থা। দিন রাইত আপনারে মকবুলের পোলাপান খুঁজে। দুই দিন আমার দোকানে আইছিল।
–কি কয় শালারা।
–কিরে মতিন, চা দিতে এত দেরি লাগে?
–ভাই, এইতো হইয়া গেছে। পানি এই মাত্র বসাইছিতো। আর একটু গরম হোক। ততোক্ষণ এই সিগারেটটা খাইতে থাকেন।
হারুন সিগারেট ধরায়। আড়ালে লোকজন তাকে চাক্কু হারুন বলে। নামকরা সন্ত্রাসী। এই মুহূর্তে চাক্কু হারুন বসে আছে মতিনের চায়ের দোকানে। দুপুর তিনটার পর দোকানে তেমন ভিড় থাকেনা। দোকানের সামনে রাখা বেঞ্চে সে এখন একাই।
–ভাই, এই লন। চায়ের কাপটা এগিয়ে দেয় মতিন।
–কিরে, এলাকার ভাবসাব এখন কেমন? কাপ হাতে নিতে নিতে প্রশ্ন করে সে।
–খুব খারাপ অবস্থা। দিন রাইত আপনারে মকবুলের পোলাপান খুঁজে। দুই দিন আমার দোকানে আইছিল।
–কি কয় শালারা।
–কইছে যেখানে আপনারে পাবে সেখানেই লাশ ফালাবে।
হারুন নিঃশব্দে চায়ে চুমুক দেয়।
দুই সপ্তাহ আগে পাশের এলাকার মকবুলের দলের সাথে একটা বড় সংঘর্ষ হয়। মকবুলের ছোট ভাই তার সঙ্গে বেয়াদবি করেছিলো। দৌড়ে পাশের হাবুর কাঠের দোকান থেকে একটা চেরাই করা কাঠ নিয়ে এসে বাড়ি দিয়েছিলেন মাথায়। সঙ্গে সঙ্গে গুটিয়ে পড়ে গেলো। ছোকরা যে ঐ বারিতেই শেষ হয়ে যাবে সেটা কে জানতো।
–হারুন ভাই।
–কি।
— কইতাছিলাম, কিছুদিন যদি কোথাও থেকে ঘুইরা আসতেন। এইদিকটা ঠাণ্ডাও হইলো।
দুই দিন ধরে দল চালানো মকবুলের ভয়ে সে পালাবে!! এদিকে তার নিজের সব চেলারাও এখন গা ঢাকা দিয়ে আছে। এইসব কাপুরুষ নিয়ে সে এতদিন দল চালিয়েছে, ভাবতেই রাগে গা জ্বলে যায়।
–আউল-ফাউল কথা আবার কইলে থাপরায়া দাঁত ফেলায়ে দিমু। ধমক দেয় হারুন।
অনেকটা সময় অতিবাহিত হয়। একসময় সরু গলির মাথায় দুটো মোটরসাইকেল এসে থামে। একেকটায় দুজন করে বসা। পিছনের দুজন নেমে দাঁড়ালো। ওদের পকেটে হাত ঢোকানো। এগিয়ে আসছে তার দিকেই। ছেলেগুলোকে চেনে সে।
হারুন বুঝতে পারলো তার সময় শেষ হয়ে আসছে। কেন যেন তার খুব শান্তি লাগছে এখন। খোলা আকাশের দিকে তাকায় সে। মুক্তি পেতে যাচ্ছে সে। হ্যাঁ, মুক্তি। ছেলেগুলোর প্রতিটা পদক্ষেপ যেন তার মুক্তির পথ নিশ্চিত করে দিচ্ছে। একটা অজানা প্রশান্তিতে মন আচ্ছন্ন হল তার।
–মতিনরে। অন্যমনস্কভাবে চায়ের কাপে শেষ চুমুকটা দেয় হারুন।
–জী, ভাই। মতিনের চোখে মুখে আতঙ্ক স্পষ্ট। সেও বুঝতে পারে কি ঘটতে যাচ্ছে।
–তোর চা’টা ভালো হইছে।
এই ভাবেই প্রত্যেক কে তার
এই ভাবেই প্রত্যেক কে তার শাস্তি ভোগ করতে হয় কিন্তু দু:খের বিষয় এই যে সময় থাকতে তা বুঝি না আমরা।
আমি এটা ফেসবুকে আমার পেজে
আমি এটা ফেসবুকে আমার পেজে দিতে চাই পারমিশন দিবেন ???
দেন
:ভাবতেছি: :ভাবতেছি: :কনফিউজড: দেন
ধন্যবাদ
ধন্যবাদ
গল্প হিসেবে ভাল , কিন্তু
গল্প হিসেবে ভাল , কিন্তু সবার ফলাফল হারুনের মতো হয় না ।।
সবই নিয়তির খেলা। পড়ে দেখার
সবই নিয়তির খেলা। পড়ে দেখার জন্য ধন্যবাদ। :খুশি:
এইটা ব্লগে আমার দ্বিতীয়
এইটা ব্লগে আমার দ্বিতীয় পোস্ট। কেমন হইল………একটু রিভিউ দিয়েন :চিন্তায়আছি: :চিন্তায়আছি: :চিন্তায়আছি:
ভাল ই লিখেছেন ইস্টিশন পরিবারে
ভাল ই লিখেছেন ইস্টিশন পরিবারে স্বাগতম। ভবিষতে আরো ভালো লিখা পাব আসা করি
হম, ভালই লিখছেন, খুব তাড়াতাড়ি
হম, ভালই লিখছেন, খুব তাড়াতাড়ি শেষ হইয়া গেল
অনুগল্প হিসেবে লিখছি। তাই শেষ
অনুগল্প হিসেবে লিখছি। তাই শেষ হয়ে গেলো। :ধইন্যাপাতা: :খুশি:
আরেকটু বিস্তারিত লিখলে আর
আরেকটু বিস্তারিত লিখলে আর ভালো লাগত।
অনেক ভালো হয়েছে।
ছোট তবে অনেক ভাল/ আরও ভাল
ছোট তবে অনেক ভাল/ আরও ভাল লিখবেন। প্রত্যাশা শুভকামনা দুটোই রইল :ফুল: