আমিঃ এই ছেলে নাম কি তোমার ??
পিচ্চিঃ স্যার মোঃ মোতালেব উদ্দিন মাসুম ।।
আমিঃ প্রতিদিন কয়টা পেপার বিক্রি কর ??
মাসুমঃ ৪০ থেকে ৫০ টা স্যার ।।
আমিঃ কত টাকা পাও ৪০,৫০ টা বিক্রি করে ??
মাসুমঃ স্যার প্রতি পেপারে ১ টাকা করে ।।
আমিঃ তার মানে প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০ টাকা আয় কর ।। তা দিয়ে বাসায় সবাইকে নিয়ে চলতে পারো ??
আমিঃ এই ছেলে নাম কি তোমার ??
পিচ্চিঃ স্যার মোঃ মোতালেব উদ্দিন মাসুম ।।
আমিঃ প্রতিদিন কয়টা পেপার বিক্রি কর ??
মাসুমঃ ৪০ থেকে ৫০ টা স্যার ।।
আমিঃ কত টাকা পাও ৪০,৫০ টা বিক্রি করে ??
মাসুমঃ স্যার প্রতি পেপারে ১ টাকা করে ।।
আমিঃ তার মানে প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০ টাকা আয় কর ।। তা দিয়ে বাসায় সবাইকে নিয়ে চলতে পারো ??
মাসুমঃ স্যার বাসায় শুধু আমি, মা আর আমার একটা ছোট বোন থাকি মা একটা গার্মেন্টসে চাকরী করে আমি পেপার বিক্রি করি স্যার ।।
আমিঃ বাবা কি করে ??
মাসুমঃ স্যার বাবারে জন্মের পর থেকে দেখিনাই ।।
(কথাটা বলার সময় তার চোখে কোনো ধরনের ঘৃণা অথবা ক্ষোভ চোখে পরলোনা আমার) !!
আমিঃ স্কুলে গিয়েছিলে কখনও ??
মাসুমঃ স্যার ক্লাস ২ পর্যন্ত পরছি তারপর আর পড়তে পারিনাই ।।
আমিঃ চাকরী দিলে করবা ??
মাসুমঃ স্যার আমারে কে চাকরী দিবে আমি তো স্যার লেখাপড়া জানিনা ।।
আমিঃ চাকরী আমি দিবো কিন্তু একটা শর্তে ??
মাসুমঃ কি শর্ত স্যার ??
আমিঃ পড়ালেখা করতে হবে ।।
মাসুমঃ কিন্তু স্যার পড়ালেখা করার জন্য অনেক টাকার দরকার আমার কাছে তো এতটাকা নায় কেমনে করবো পড়ালেখা ??
আমিঃ ঐইটা আমি দেখে নিবো কিন্তু পড়ালেখা করবা কিনা বল ??
মাসুমঃ স্যার সুযোগ পেলে অবশ্যই করব স্যার ।।
আমিঃ ঠিক আছে তাহলে আমি তোমার জন্য একটা চাকরীর ব্যবস্থা করার চেষ্টা করবো ।।
মাসুমঃ আচ্ছা স্যার ।।
আমি পিছনে হেটে চলে আসতে লাগলাম হটাৎ পেছন থেকে আমাকে মাসুম ডাক দিলো স্যার !! আমি পিছন ফিরে বললাম কিছু বলবা ?? স্যার একটা পেপার নিয়া যান আমি বললাম লাগবেনা আমার অফিসে প্রতিদিন পেপার দেই পেপারওয়ালা কিন্তু মাসুম আমাকে অবাক করে দিয়ে বলল স্যার আমিও একজন পেপারওয়ালা টাকা লাগবেনা আমি আপনারে মন থেকে দিচ্ছি কারন আপনি আমারে মন থেকে ডাকছেন তুমি করে সবাই তো খালি তুই তোকারি করে গালি দেয় কিন্তু স্যার আপনিই প্রথম যিনি আমারে তুমি করে বলছেন তাই স্যার খুশি হয়ে আপনারে একটা পেপার দিচ্ছি মন থেকে ।। তার কথা শুনে আমার চোখের কোনাটা কেনো জানি চলে ভরে গেলো তারপর ওর থেকে পেপারটা নিয়ে চলে এলাম ।।
আজকাল বাস এ উঠলেয় একটা কমন জিনিস আশা করি সবার চোখে পড়ে কিছু বাচ্চা বাচ্চা ছেলেমেয়ে হাতে পেপার নিয়ে বিক্রি করছে ।। আমি প্রতিদিন বাস এ করে অফিস এ আসা যাওয়া করি বলে নিয়মিত এদের দেখি ।। কিছুদিন আগে একটা ছেলের সাথে কথা বলেছিলাম ।। আমার ও তার মাঝে কথোপকথন গুলো তুলে ধরার শুধুমাত্র একটি কারন সবাই বলে মানবাধিকারের কথা শিশুশ্রম বন্ধের কথা কিন্তু আমাদের চোখের সামনেই যা হচ্ছে এগুলা কি মানবাধিকার লঙ্ঘন না ?? শিশুশ্রম না ?? আমাদের চোখে বড় বড় আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে মাসুমের মত অনেকেই আর একদিন ওরাই আমাদের ধিক্কার দিয়ে বলবে মানবাধিকারের কথা আপনাদের মুখে মানায় না !! সেদিন আমার জবাব দেওয়ার কিছুই থাকবেনা ।। আপনারা অনেকেই বলতে পারেন আমি মাসুমকে কেনো চাকরী দিতে যাচ্ছি কারনটা একদম পরিষ্কার আমি চাকরীটা দিলে হয়তো ওর ফ্যামিলিটা আর একটু ভালো মত চলতে পারবে আর লেখাপড়ার ব্যাপারটা আসলেই আমাকে খুজে বের করতে হবে কারন শহরের মাঝে বিনা বেতনে পড়ালেখা শেখানোর কোনো স্কুল আছে বলে আমার জানা নেই ।। যদি এমন কোনো স্কুল থেকে থাকে কারো জানা মতে অবশ্যই আমি যোগাযোগ করার চেষ্টা করব …………
ভালো উদ্যোগ
ভালো উদ্যোগ :ফুল: :ফুল: :ফুল:
ধন্যবাদ আপনাকে……… বেনসন
ধন্যবাদ আপনাকে……… বেনসন ভাই :খুশি:
আমরা যারা সো কল্ড মানবতার
আমরা যারা সো কল্ড মানবতার ধ্বজাধারী তারাই সবচেয়ে বেশী মানবাধীকার লঙ্ঘন করি..…সচেতনতার নামে অনলাইনে অফলাইনে লেখালেখি করে ফাটিয়ে দিয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে আসতে চাই.…কিন্তু আমাদের আশেপাশে যারা আছে তাদেরই চোখে পড়ে না…পড়লেও সরকার,সমাজ,পুঁজিবাদ,ধনিক শ্রেনী,দারিদ্র্যতা ইত্যাদিকে গালাগালি দিয়ে নিজেদের দায় এড়িয়ে যাই…বলি, ‘ একাই বা কতটুকু করতে পারব…কয়জনকেই বা সাহায্য করব…
আজব শহর ঢাকা যেখানে প্রতিনিয়তই উন্নতির নামে নিষ্পেষিত হচ্ছি আমরা..…তবুও কারো কোন টনক নড়ে না.…হাস্যকর…
যাই হোক মিরপুরে একটা নিয়মিত স্কুল আছে ‘ আমাদের পাঠশালা নামে’। এটা চালায় কৃষ্নকলি আর সমগীতের অমল আকাশ.…সবকিছুই আছে ওইখানে গরীব ও পথ শিশুদের বিনামূল্যে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ান হয়.…চাইলে যোগাযোগ করতে পারেন.…
আমার জানা মতে এই পেপারওয়ালারা
আমার জানা মতে এই পেপারওয়ালারা সব স্থানে আছে আমি চিটাগাং থেকে কিছু একটা করার চেষ্টা করছি এবং সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য এই লিখাটা দিয়েছি ।। যার যার জেলা অথবা বিভাগ থেকে কাজটা শুরু করা যেতে পারে ফ্রেণ্ড সার্কেল অথবা শুভাকাঙ্ক্ষী নিয়ে ।। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সুন্দর মন্তব্যর জন্য ………… :ফুল:
জুয়েল আপনার লেখাটা পড়লাম ।
জুয়েল আপনার লেখাটা পড়লাম । খুবই হৃদয় স্পর্শী লেখা । আমরা এমন একটি রাষ্ট্র ব্যবস্থায় বসবাস করি যেখানে শিক্ষা একটি মৌলিক চাহিদা, মৌলিক অধিকার হিসেবে সংবিধান স্বীকৃত না। স্বীকৃতি দিলে যে সব দায় রাষ্ট্রের কাঁধে এসে পড়ে ।
শিশু বন্ধ করার কথা আমিও একসময় জ্বর গলায় বলতাম । কিন্তু একটা ঘটনার পরে আর বলি না । আমি এমন পরিবার দেখেছি যেখানে ঘরের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিটি একটি ১৪ বছরের শিশু। অন্ধকার ভবিষ্যতের দিকে এই শিশুরা হেঁটে যাচ্ছে জেনেও নিদারুণ বর্তমান পরিহাস করে মনে করিয়ে দেয় মানবাধিকার ফাঁকা বুলি ছাড়া আর কিছু না । সকল মানুষের জীবনের পরিবর্তন কেবল রাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিবর্তনের ফলে সম্ভব ।
খুবই দুঃখের বিষয় সমান অধিকার
খুবই দুঃখের বিষয় সমান অধিকার নিয়ে পৃথিবীতে আসে সব মানব সন্তান অথচ সমাজ তাদের মধ্যে কতই না ব্যবধান গড়ে দেয়!! এইভাবে হবে না….
রাষ্ট্রীয় আর আন্তর্জাতিকভাবে করতে হবে!!
তবে নিঃসন্দেহে মহৎ একটি উদ্যোগ…
মজার স্কুলের ফেসবুক পেইজে
মজার স্কুলের ফেসবুক পেইজে মেসেজের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারেন।
স্যালুট আপনাকে। যে কাজ
স্যালুট আপনাকে। যে কাজ রাষ্ট্রের করার কথা সেটা আমাদেরই করতে হয়। কি আর করা? :মাথাঠুকি:
আপনি, আমি, আমরা কি রাষ্ট্রের
আপনি, আমি, আমরা কি রাষ্ট্রের বাইরে?
শিক্ষা সাংবিধানিক অধিকার,
শিক্ষা সাংবিধানিক অধিকার, যেটা সরকারের বাস্তবায়ন করার কথা। শব্দচয়নে ভুল করেছি, রাষ্ট্র না লিখে সরকার লিখা উচিৎ ছিল। :ভেংচি:
ধন্যবাদ আপনাদের অনেক সুন্দর
ধন্যবাদ আপনাদের অনেক সুন্দর সুন্দর মন্তব্যর জন্য আমি মনে করি আমার মত আপনারাও “ধর্ম যার রাষ্ট্র সবার ” মতাব্দে বিশ্বাসী ।। তাই আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি কিছু করার জন্য ।। আশা করি সময়ের প্রয়োজনে আপনাদের সহযোগিতা পাবো …………… :ফুল
চমৎকার একটা উদ্যোগ ।
চমৎকার একটা উদ্যোগ । :ফুল: :ফুল: :ফুল: :ফুল:
ধন্যবাদ আপনাকে
ধন্যবাদ আপনাকে …………… :ফুল: