নালার কাছে ভুঁড়িঅলা প্রাচীন মুচি
কাগজে তৈরি ডিমের কৃত্রিম খোসায় আগুন দিলে
মশারা পরিত্যাগ করে সে স্থান, অথবা,
গাড়ত্বে আড়াল করে আপন অস্তিত্ব । মেয়েটি বলল,
এটা শহর নয়, গ্রাম – আমি বিশ্বাস করলাম ।
মেয়েটার বান্ধবী বলল,
নারী পুরুষের কোনও তফাৎ করা চলবেনা – মেনে নিলাম ।
আকাশে এক ভবঘুরে এরোপ্লেন সুপারি গাছের মাইজ ভেঙ্গে
উড়ে গেল, হয়তো মহাকাশে, কিংবা মাটির তলে আমেরিকায়…
মুচিটি বললেন, এই ছেলে, জামা খোলো,
পিঠের চামড়া তুলবো, কম পড়ছে জুতোয় ।
এবার ছিল আমার বলার পালা, বললাম,
“আমি মৃত গোয়া গাছের অন্তরের চামড়াহীন কীট”;
অতঃপর মেয়েটা আমার গালে কষিয়ে মারল একটা চড় ।
ওর বান্ধবি সেপ্টিন দিয়ে খুঁচিয়ে আমার দুনোটা চোখ
নষ্ট করে দিল । মুচিটি পিঠের চামড়া তুলে বাকি দেহটা
ফেলে দিল নর্দমায় ।
সবাই ফিরে গেল বাসায়, কিছুই হয়নি যেন,
অথবা হয়েছে বলেই ।
মশারা এল, এল কুকুর ও কুকুরি । আমি গান ধরলামঃ
“জীবনরে জীবন ছাড়িয়া না যাইস মোরে…”
রাতভর মশা, মাছি, কুকুর, কুকুরি হতে হতে
আর কিছু হতে পারার পূর্বেই, সকালে মুচির আসা হয়ে গেল,
উনি দেখতে পেলেন আমার শুধু পিঠেই নয়
চামড়া যথেষ্ট ছিল বুক, উরাত, পায়ের পাতা, গাল
এমনকি থুতায়ও ।