মে মাসের শুরু থেকেই বাতাসে লাশের গন্ধের পাশাপাশি আরও একটা আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছিল আর তা হল ৫তারিখের পর দেশ চালাবে শফি হুজুর। আর এই কথা শুনে বিরোধী দল ৪তারিখে দিল ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম। পরদিন মানে ৫মে ২০১৩ সকালে ঘুমথেকে জেগেই শুনি রাজধানী শহরে ঢুকার প্রত্যেকটা পয়েন্ট দখল নিয়েছে হেফাজন। একটা বিশেষ কিছু হতে যাচ্ছে। টিভি আর অনলাইনের মাধ্যমে চোখ সারা দেশে আর বন্ধুদের ফোন কল তো আছেই। মতিঝিলের অফিস পাড়ায় সভা সমাবেশের অনুমতি দেবার পর চেয়ে রইলাম কিভাবে একটা অরাজনৈতিক সংগঠন একটা গনতান্ত্রিক সরকারের পতন ঘটায়? আর মজা করছিলাম কোন মন্ত্রনালয়ে কে যাবে? বিশেষ করে অর্থ, বাণীজ্য, পররাষ্ট্র, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, স্যাস্থা এই সব নিয়ে।
এরপর মতিঝিলে ওদের তাণ্ডব দেখে রিতিমত ভয় পেয়ে গেলাম।
সবচেয়ে বেশি ভয় পেলাম যখন দিগন্ত টিভিতে দেখলাম মানুষের রক্তাক্ত নিথর দেহ নিয়ে হায়েনা দের উলাশ। মানুষ কি ভাবে পারে? এর পর সন্ধ্যার পল্টনে আগুন ধরিয়ে দেয়।
এর পর আর কিছু দেখার শাহস হয় নাই আমার। টিভি তো দূরের কথা অনলাইন থেকেও সরে গেলাম আর সকাল সকাল ঘুমাতে গেলাম ভয় আর টেনশন নিয়ে।
ওঁ এদিকে বিরোধী দলের নেত্রী যখন হেফাজত কর্মীদের খাবারের ব্যবস্থা করার জন্য নেতা কর্মীদের নির্দেশ দেন তখন মনে হল সাভারে ভবন ধ্বশে ক্ষতি গ্রস্থদের পাশে তো দাড়াতে বললেন না?
আবার পরের দিন থেকে তাদের সাথে এক জোট হবার কথাও বলেন।
টেনশনে কখনযে ঘুমিয়ে পরলাম নিজেও জানি না।
সকাল, খুবসকালে জেগে FB আপডেটে দেখি
মাত্র ১০মিনিটের অভিযানে হেফাজতিরা লেঞ্জা গুটাইয়া পালাইছে। মতিঝিল এখন হেফাজত মুক্ত। সকালেই বেরিয়ে পরলাম হেটে হেটে যখন মতিঝিলে যাচ্ছিলাম মনে হর ভুমিকম্প বিদ্ধস্তনগরী। কোন ভবনই ঠিক নাই। কোথাও কোথাও দেখলাম লেখা
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবির
মনে হল গতকালের লেখা পড়ে আবার ভুল ভাঙ্গে কারন আগের দিন ১৮দলের সমাবেশ ছিল। প্রথমিক গন্তব্য পল্টন মোড় পর্যন্ত যাওয়া। যাচ্ছি আর ভাবছি কিসের আশায় এত ক্ষয় ক্ষতি? কোন ভবন বাদ নাই তাদের ছোবল থেকে।
ওহ দুইটা বাদ ছিল এ ধ্বংশের হাত থেকে এই গুলো হল ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিং ও ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান।
প্রশ্নহল এরা বেঁচে গেল কেমনে? কারন একটা হল তাদের বাপেদের ব্যাংক আর আরেকটা হল তাদের পেয়ারাদের ব্যাংক।
কোথাও পাকিস্তান লেখা থাকলেই হল ওইটা লইয়া তিনবার সালাম করে তার পর শার্টের পকেটে লয়। যারা বাংলাদেশ হবার পরও পাকিস্তান পুনরোদ্ধার কমিটি ঘটন করেছে তাদের ব্যাংক হল ইসলামী ব্যাংক তাই এ দুইটাই রয়েগেল। আর আসলে হেফজতে ইসলাম যে ইসলামের সাথে কোন যোগাযোগ নাই তা তো ৬ তারিখে মিথ্যাচার করে পুলিশের উপর হমলা করে তা থেকে। ১৬ জন শুধু আইনশৃঙ্খলা কর্মীই নিহত হন।
বাঁশের মাথায় জাতীয় পতাকা বেঁধে ওড়া ঢাকার আশে দেখে মনে হবে লাল সবুজের পতাকাবাহী কাফেলা কিন্তু পরে ঐ পতাকার খবর কেউ রাখে নাই। আমার মনে হয় পতাকাও তারা পুড়িয়েছে। তাদের মাঝে না আছে দেশ প্রেম না আছে না আছে ধর্মে বিশ্বাস আসলে তারা হল ইসলামেল নামে হেফাজতে জামাতে ইসলাম আর পাকিস্তান পুনরোদ্ধার কমিটির আধুনিক রুপ
সেটা মে মাসেই প্রকাশ পায়। অবশ্য অনেক দিন তাদের ল্যাঞ্জা লুকিয়ে রেখেছিল কিন্তু ল্যাঞ্জা ইজ ভেরী মাচ ডিফিকাল্ট টু হাইড
ল্যাঞ্জা ইজ ভেরী মাচ
ল্যাঞ্জা ইজ ভেরী মাচ ডিফিকাল্ট টু হাইড << ডাইলগটা তো দিন দিন ভেরি পপুলার হচ্ছে দেখছি.........ভেরি গুডুর......... :হাহাপগে:
কিছু বিদেশী মিডিয়ায় হেফাজতের
কিছু বিদেশী মিডিয়ায় হেফাজতের তান্ডবকে “বাংলদেশে ইসলামী বিপ্লব” হিসেবে আখ্যায়িত করতে দেখলাম । :মাথাঠুকি: :মাথাঠুকি: :দেখুমনা:
“বাংলদেশে ইসলামী
“বাংলদেশে ইসলামী বিপ্লব”!!!!!!!!!!!!!!!!১ এইডা কিছু অইল !!!!! আআ !!! :ক্ষেপছি: :ক্ষেপছি: :ক্ষেপছি:
কিন্তু হেফাযতীদের ল্যাঞ্জা
কিন্তু হেফাযতীদের ল্যাঞ্জা গুলা কই যে হাইড হইয়া গেল??? খুইজাই পাইতেছিনা ।।
ল্যাঞ্জা ইজ ভেরী মাচ
ডাইলগ টা দেখলেই মজা লাগে । দিন দিন খুব পপুলার হচ্ছে এটা