আমি লিখতে শুরু করেছি। এক সময় যে কাহিনীটা লিখতে তুমি খুব করে বলতে, এতদিন পর সেটা আমি লিখতে শুরু করেছি। প্রশ্ন জাগছে মনে, কোন কাহিনী?
জানি, তুমি আজ আর মনে করতে পারবে না। একবার ব্লগে আমার লেখা ছোট একটা গল্প পড়ে তুমি খুব আহ্লাদের সুরে বলেছিলে, তোমার-আমার কাহিনীটাও লিখতে।
তুমি চাইতে, তোমার-আমার জীবনের টুকরো টুকরো ঘটনাগুলো নিয়ে একটা উপন্যাস হবে, আমাদের ভালবাসার দিন-রাত্রির কথা জানবে সবাই। আমি মৃদু হাসতাম, বলতাম, আমাদের ভালবাসা আবার লেখার মতো এমন কি-ই বা?
——————-
-এই অফিসে যাবা না?
-নাহ,ঘুমোবো
-এই ঘুমের জন্যে চাকরিটা নির্ঘাত যাবে তোমার। উঠো।
-গেলে যাক !
আমি লিখতে শুরু করেছি। এক সময় যে কাহিনীটা লিখতে তুমি খুব করে বলতে, এতদিন পর সেটা আমি লিখতে শুরু করেছি। প্রশ্ন জাগছে মনে, কোন কাহিনী?
জানি, তুমি আজ আর মনে করতে পারবে না। একবার ব্লগে আমার লেখা ছোট একটা গল্প পড়ে তুমি খুব আহ্লাদের সুরে বলেছিলে, তোমার-আমার কাহিনীটাও লিখতে।
তুমি চাইতে, তোমার-আমার জীবনের টুকরো টুকরো ঘটনাগুলো নিয়ে একটা উপন্যাস হবে, আমাদের ভালবাসার দিন-রাত্রির কথা জানবে সবাই। আমি মৃদু হাসতাম, বলতাম, আমাদের ভালবাসা আবার লেখার মতো এমন কি-ই বা?
——————-
-এই অফিসে যাবা না?
-নাহ,ঘুমোবো
-এই ঘুমের জন্যে চাকরিটা নির্ঘাত যাবে তোমার। উঠো।
-গেলে যাক !
-চাকরি গেলে খাবে কি?
-তোমার চুমু খাবো।
প্রতিদিন সকালবেলা আরিয়ানকে ঘুম থেকে তুলতে গিয়ে অবন্তী আর আরিয়ানের খুনসুটি রুটিন ওয়ার্কের মতো হয়ে গেছে অনেকটা।অবন্তী এমনিতেই ভোরে উঠে।সকাল সকাল নাস্তা রেডি করে সে।এসব কাজে বুয়া-টুয়া তার ভাললাগে না। আরিয়ান সারাদিন অফিস করে অনেক রাতে ফিরে তাই ওকে এতো সকালে ডাকতে চায়না অবন্তী। তাই একেবারে নাস্তা রেডি করে তবেই ডাকে। আর তখনি বাধে গণ্ডগোল। অবন্তী ডাকবে আর আরিয়ানও লক্ষ্মী ছেলের মতো উঠে যাবে আর সূর্য পশ্চিম দিকে উঠবে বলতে গেলে একই কথা।
অবন্তীর পীড়াপীড়িতে আর টিকতে না পেরে আরিয়ান ফ্রেশ হতে গেল। ফ্রেশ হয়ে ডাইনিং এসে দেখে অবন্তী ব্রেকফাস্ট রেডি করে বসে আছে।
আরিয়ান চেয়ার টেনে বসলো …
-কি ব্যাপার তুমি খাবে না?
-নাহ ইচ্ছে করছে না।
-মানে কি? শরীর খারাপ করেছে?
-নাহ।
প্রেগন্যান্ট হওয়ার পর থেকেই অবন্তী কিছু খেতে চাইনা,আরিয়ান অনেক বকে তারপরও না।আরিয়ান অবন্তী কপালে হাত দিয়ে দেখল। হ্যা একটু গরম হয়ে আছে।
-আচ্ছা শোনো কোন কাজ করবেনা সোজা গিয়ে শুয়ে থাকবে, কিছু লাগলে বুয়াকে বলবা ও এনে দিবে, আর আমি তাড়াতাড়ি চলে আসবো।
-আচ্ছা বাবা, তুমি যাও লেট হয়ে যাবে।
যাওয়ার আগে অবন্তীর পেটের কাছে কান দিল আরিয়ান।অবন্তি দেখল ফিসফিস করে কথা বলছে সে……
-অ্যাঁই! তোর মাকে কিছু বলিস না কেন? ও না খেলে তো তোর খিদা লাগেনা? খিদা লাগলে আমাকে কিন্তু বকতে পারবিনা,তোর মাকে বল। তুই ছেলে বা মেয়ে যাই হসনা কেন সেটা নিয়ে আমার কোন ভাবনা নেই, আমার ভাবনা তোর মাকে নিয়ে সে যেন সুস্হ থাকে সব সময়, তোকে নিয়ে- সুস্হ ভাবে তোকে যেন আমরা আমাদের মাঝে পাই।
————–
অফিসে এসে আরিয়ানের মন বসছে না কাজে। একটা রিপোর্ট সাবমিট করে চেয়ারে হেলান দিয়ে বসে ভাবতে লাগলো অবন্তীর সাথে আগের দিনগুলোর কথা।আরিয়ান আর অবন্তী পরিচয় ছয় বছর আগে।অবন্তী তখন ভিকারুন্নেসাতে ইন্টার ফার্স্ট ইয়ারে পড়ে আর আরিয়ান মাত্র বুয়েটে মেকানিকেলে পড়ছে।কোন এক ফ্রেন্ড থেকে একটা নাম্বার পায়। নাম অবন্তী। রাতে ফোন দেয় আরিয়ান। কয়েকবার রিং পড়ে ফোন কেটে যায় কিন্তু ওপাশ থেকে কেউ রিসিভ করেনা।
আবার ট্রাই করে আরিয়ান। এবার কয়েবার রিং পড়ার পর ফোন ধরে এক মেয়ে।
ঘুমন্ত কণ্ঠে বলল…
– হ্যালো।
-অবন্তী বলছেন?
-কাকে চাচ্ছেন?
-আপনি যদি অবন্তী হয়ে থাকেন তাহলে আপনাকেই চাচ্ছি।
-কে আপনি? মাঝরাতে এসব নাটক করবেন না।।আর কখনো আমাকে ফোন দিবেন না।
ঠাস করে রেখে দিল ফোন।
কিছুতেই ঘুম আসছে না আরিয়ানের।এই মেয়ে এতো মিষ্টি করে কথা বলে ক্যান?
সকালে আবার ফোন দিল আরিয়ান…
ফোন ধরেই ঝাঁঝালো কণ্ঠে অবন্তী বলল,
-ওই হ্যালো! আপনার প্রবলেমটা কি শুনি?
-আমার প্রবলেম তো আপনি!
-মানে কি?
-দেখছেন না কোন কিছুতে কন্সানট্রেট করতে পারছি না,ক্লাস টেস্টটাও খারাপ হল। আপনার কথাগুলো কানে বাজছে এখনো!
-ভালোই তো মেয়ে পটাতে পারেন দেখছি, কিন্তু অন্যকোন খানে এপ্লাই করুন এসব,পটে যাবে।
-আসলেই আপনি অনেক মিষ্টি করে কথা বলেন,এত মিষ্টি করে কথা বলবেন না, অনেকের সমস্যা হয়।
এভাবে কয়েকদিন ফোনে কথা হল ওদের। এক ফাকে ফেসবুক আইডিটাও নেয়া হয়ে গেল।এরপর সারাদিন ফেসবুকে চ্যাট। অবন্তী ফটো আপলোড করা মাত্রই ওই ফটোতে আরিয়ানের লাইক।অবন্তী ভাবে ছেলেটা কাজ-কাম ফেলে সারাদিন আমার প্রোফাইলে বসে থাকে !! খুব ভালো সম্পর্ক হয়ে যায় অদের,তারা নিজেদেরকে ভালো বন্ধুই ভাবতো।এর বাইরে কিছুভাবার কথা তাদের চিন্তায় ছিল না।
একদিন অবন্তী গ্রামে যায়,৭দিন কথা হয়না ওদের।আরিয়ান পাগলের মতো হয়ে যায়। ভাবতে থাকে মাত্র ৭ দিন না দেখেই দম আটকে আসছে। এই মেয়ে একদিন সারাজীবনের জন্যে অন্যের হয়ে যাবে তখন সে কিভাবে সহ্য করবে? আসুক এবার,সারাজীবন যাতে ওর থাকে ওই ব্যাবস্থা করবে।এমনি যতই সাহসী হোক আরিয়ান জানে এসব অবন্তীর সামনে বলতে গেলে সে গুলিয়ে ফেলবে,তাই চিঠিতে লিখল সব।
অবন্তী গ্রাম থেকে ফিরেই ফোন দেয় আরিয়ানকে। অনেক্ষন বকবক শুনে আরিয়ান বলল,
-অবন্তী তুই কি একটু ফ্রি আছিস বিকেলে?
-হ্যাঁ ক্যান?
-কথা ছিল একটু।
-আচ্ছা বের হতে পারলে ফোন দিবো তোকে।
৫টায় কোচিং এর নাম করে বের হয় অবন্তী।
ওর কোচিং এর পাশেই দোকানে বসে সিগারেট ফুকছিলাম আমি। দূর থেকে অবন্তী আসছে দেখে ফেলে দিলাম।ও যতই কাছে আসছিল ওর দিকে তাকিয়ে ছিলাম । অবাক হয়ে । আর ভাবছিলাম এই পরীর মত মেয়েটা আমাকে ভালবাসে । আমাকে দেওয়া কথা রাখার জন্যই সে বাবা মা ভাই সবার চোখ ফাকি দিয়ে আমার সাথে দেখা করতে এসেছে।
-কি বলার তাড়াতাড়ি বল আব্বু অফিস থেকে ফেরার আগেই ফিরতে হবে।
আরিয়ান অবন্তীর হাতে একটা চিঠি ধরিয়ে দিয়ে চুপ করে থাকে।অবন্তী বুঝে ফেলে কি হতে যাচ্ছে।
-এটা কি ?
-হাতে দিয়েছি যখন,খুলেই দ্যাখ না ।
-আমি খুলবো না এটা।
-খুলেই দ্যাখ না।
-বুঝেছি এটাতে কি আছে।
-তাহলে বল কি আছে?
-আরিয়ান তুই যেটা চাচ্ছিস সেটা সম্ভব না ।
– কেন সম্ভব না ? আমাকে তুই একটা কারন দেখিয়ে বল ।
-দেখ আরিয়ান, তুই কি জোর করে আমার মুখ থেকে হ্যা বলাবি ?
-প্রয়োজন হলে তাই । অবন্তী কি বলবে ভেবে পেল না । আরিয়ান বলল,
-অন্য কাউকে ভালবাসিস ?
-না ।
-আমি যদি অন্য কোন মেয়ের সাথে এঙ্গেইজড হই , তোর ভাল লাগবে ? কি কথা বলছিস না কেন ?
অবন্তী অনেক কষ্টে কথা বলল,
-হ্যাঁ তোর যাকে ভাললাগে তার সাথে ঝুলে পড়বি আমার কি?
– কি বললি তুই ? আমার কি ? তাহলে ঐ দিন তুই রেগে গিয়েছিলি ক্যান ?
-কোন দিন ?
-যখন তিন্নি ক্যান্টিনে আমার সাথে যেচে কথা বলতে এলো । তুই রেগে গিয়েছিলি কেন ? পুরো এক দিন আমার সাথে কথা বলিস নি মনে আছে?
-আহা রাগবো না ? আমি তোমার জন্য সেজেগুজে এসে বসে থাকবো আর তুমি অন্য মেয়ের সাথে কথা বলবা !
রেগেমেগে অবন্তী চলে গেল। আমি পিছু পিছু হাটছিলাম।কিন্তু মহারানী হটাত পেছনে ফিরে আমার দিকে তাকিয়ে যাই অগ্নিমূর্তি দেখালো,আমার আর সাহস করলো না এগুতে।
এরপর আর ফোনে কথা হয়নি ওর সাথে।আডাইটার দিকে একটা এসএমএস দিলাম “সরি…”
সাথে সাথে কল দিল…
-কি করিস ?
-ছাদে উঠছি।
-এতো রাতে ছাদে উঠে কি করবি?
-সুবিধা মতো জায়গা দেখে লাফ দিবো।
-মাইর চেনো? তুই এক্ষনি রুমে আয় ।
-আগে হ্যা বল ।
-প্লিজ রুমে আয় । প্লিজ ।
-আসছি।
-কি হল কথা বলছিস না কেন ? একটু কান্নার আওয়াজ পেলাম ।
-আরে কাঁদছিস কেন ? আচ্ছা আচ্ছা বলা লাগবেনা।
-তুই সব সময় আমার সাথে এরকম করবি আরিয়ান? তুই জানিস না তুই আমার কাছে কি ?
-জানি তো !
-তাহলে এমন কেন করিস ?
-তাহলে আই লাভ ইউ বল ।
অবন্তী হাসল ।
– এখনো বলার দরকার আছে?
-না । তবুও বল ।
-আচ্ছা বাবা বলছি ।
“আই লাভ ইউ” বলেই ঠাস করে ফোন রেখে দিল।।
আবার ফোন দিল আরিয়ান।তারপর সারারাত কথা বলল ওরা।
পাঁচ বছর প্রেম শেষে ওদের বিয়ে হয়। প্রথম দিকে অবন্তীর ফ্যামিলিতে রাজী হচ্ছিল না।পরে আরিয়ান আর অবন্তী মিলে অবন্তীর ফুপিকে বোঝানোর পর ফুপি ওর বাবাকে রাজি করায়।
———————
অবন্তীর খুব সখ ওর একটা বাবু হবে ওটা নিয়ে সারাদিন খেলবে।এখনো মনে আছে মার্চের ৬ তারিখ ডাক্তার সুসংবাদটা দেয়। স্বর্গীয় এক অনূভুতি।
এরপর থেকেই অবন্তীর পাগলামি শুরু।বাচ্চার নাম রাখা,বাচ্চার রুম ঠিক করা আরও কতো কি।প্রতিদিন অফিস থেকে ফেরার পরই অবন্তীর তাড়া।
বাচ্চার জন্যে শপিং করা লাগবে।এই বিষয়ে আমার কোন আইডিয়া না থাকলেও সেখানে গিয়ে পড়ে গেলাম বিপদে। যেটাই দেখি ছোট বাচ্চাদের সেটাই কিনতে ইচ্ছা করে।
দেখতে দেখতে একগাদা কাপড় কিনে ফেলা হল, তখনও আমি দেখে চলেছি দেখে ওর মামনি বলল আর বেশী নেয়া ঠিক হবেনা, কারন বাচ্চারা এক কাপড় বেশী দিন পড়তে পারেনা ।
ডাক্তার ডেট দিল,ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে আমাদের মাঝে আসছে আরেকজন। এখন থেকেই ওর অস্তিত্ত অনুভব করি আমরা,ওর সাথে একাএকা কথা বলি।হটাত একদিন রাত তিনটায়
ওর মামনির শরীর খারাপ করলো। ড্রাইভার ও নেই, নিজেই গাড়ি নিয়ে বের হলাম।বারবার পেছনে ফিরে দেখছিলাম আর আল্লাহ আল্লাহ করছিলাম।
অপারেশন থিয়েটারে অবন্তী। ২ ঘন্টা পর ডাক্তার বের হল।ডাক্তার আমার কলেজ লাইফের বন্ধু রাফসান। একটা নার্স এসে বাবুকে দিয়ে গেল।কোলে নিয়ে খুশিতে গদগদ হয়ে গেলাম। “তোর মামনি থেকেও সুন্দর হয়েছিস মাশাল্লাহ !!”
-রাফসান অবন্তী কেমন আছে?
-যা ভেবেছিলাম কন্ডিশন তার চেয়েও খারাপ।
-মানে কি? খারাপ কিছু হয়েছে?
-কিছু হয়নি তুই বস।
রাফসান আবার ঢুকে গেল।
আধঘণ্টা পর বের হলো রাফসান। তারপর স্ট্রেচারে বের করা হলো অবন্তীকে।
স্পর্শকে ওর ফুপির কাছে দিয়ে মাটিতে বসে পড়লাম। খোদার কাছে প্রার্থনা করছিলাম অবন্তীর যাতে কিছু না হয়। কেন জানি আমার কথা শুনল না সৃষ্টিকর্তা। অবন্তী আমাদের ছেড়ে চলে গেল।
আমি ওকে জড়িয়ে ধরে চিৎকার করে কাঁদছিলাম। অবন্তী তুমি রাতে যখন মাকড়শা দেখে ভয় পেয়ে কান্না করছিলে আমি তোমাকে জড়িয়ে ধরার পর কান্না থেমে গিয়েছিল,প্লিজ তুমি একবার উঠে বলো তোমার কিছু হয়নি!!
অবন্তী ওর নাম রাখতে চেয়েছিল “স্পর্শ”।
আমার চেয়ে পাগলামিটা ওরই বেশী ছিল।কিন্তু কিছুই যে দেখে যেতে পারলো না।
স্পর্শ এখন বড় হয়েছে।অফিসের জন্যে ওকে খুব একটা টাইম দেয়া হয়না,তবে সারাক্ষন ফোন করি।ছুটির দিনে বের হই।
স্পর্শ সবসময় আমার কাছে ওর মায়ের গল্প শুনতে চাইতো।একদিন ওকে খেলতে দিয়ে আমি গাড়িতে বসে অবন্তীর লিখা ডায়েরি পড়ছিলাম।
হটাত একটা বেলুন নিয়ে স্পর্শ দৌড়ে আসলো।
-বাবা এদিকে আসো তো
-কি হয়েছে বাবা?
-এটা এখানে বেধে দাও তো।
-কাগজে কি লিখেছ?
-তোমাকে বলবো ক্যান !! আমার কি কি লাগবে লিখে পাঠাচ্ছি।
-কি কি লাগবে মা? আমাকে বললেই তো এনে দিতাম।
-তুমি এনে দিতে পারবা না বাবা …বলেই কাঁদতে কাঁদতে দৌড়ে চলে গেল স্পর্শ।
আমি বেলুন নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকলাম।চিরকুটটা খুলে দেখলাম।
“মা আমি আর বাবা তোমাকে অনেক অনেক মিস করি,জানো তোমার উপর আমি অনেক রেগে আছি,তুমি এতো দূরে থাকো কেন মা? সবাই ওর মায়ের সাথে স্কুলে যায়,আর আমি ক্যান একা যাই মা? আজকে যদি না ফেরো তাহলে আর কক্ষনো আমি খাবো না/স্কুলে যাবো না। তুমি আসবা না মা?”
চোখ দিয়ে পানি বের হয়ে আসলো। অবন্তী মারা যাওয়ার পর ওর শেষ স্মৃতি নিয়ে এখনো বেঁচে আছি। মনে পড়ে গেল আমার জীবনের সবচেয়ে সুন্দর ঐ দিনগুলো,ওর ছোট ছোট পাগলামি সব এখনো আমার মনে পড়ে, এখনো রাতে মনে হয়য় এই বুঝি অবন্তী উঠে বলবে “এই অনেক ঘুমিয়েছ আসো এবার আমরা সারারাত গল্প করবো” অথবা এখনো পোকা দেখে চিৎকার দিয়ে সারাবাড়ি মাথায় তুলবে …নাহ এখন এসব আর কিছুই হয়না। আমার বাকী জীবনের জন্য সবচেয়ে বড় হাহাকার হয়ে আছে অবন্তী।
এই কাহিনী না লিখলে আমি কয়েক বছর পর ভুলে যাবো, তা কিন্তু নয়। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত অবন্তীর স্মৃতিগুলো তেমন-ই সজীব থেকে যাবে। তবু লিখছি। অবন্তী অনেক ভালো থেকো 🙂
ভাল লাগল গল্প টা
ভাল লাগল গল্প টা :ফুল:
ধন্যবাদ আপনাকে
ধন্যবাদ আপনাকে