এলোমেলো জীবন আমার চলছিল কোন মতেই । জন্মের সময় বাবা মারা গেল। আর গত বছর মারা গেলেন মা। আত্মীয় বলতে আর তেমন কেউ রইল না। ব্যাচেলর বাসায় থাকি। বূয়া এসে রান্না করে দিয়ে যায়। প্রাইভেট একটি কোম্পানীতে চাকুরী করি। সেই কোম্পানী আমার একমাত্র আত্মীয় । আর সিগারেট আমার প্রিয় বন্ধু। আর তেমন কেউ না।
সেদিন রাত আনুমানিক 9 টা । খুব বৃষ্টি হচ্ছে। প্রচন্ডভাবে। রাস্তায় কোন জনমানব নেই। রাস্তায় একটি রিষ্কা পযন্ত ও নেই। হঠাৎ একটি রিষ্কা হদিস পাওয়া গেল। একসাথে একটি রিষ্কাকে দুজনই ডাক দিলাম। আরেকজন যিনি ছিলেন তিনি ছিলেন একজন মেয়ে। তাই ভদ্রতার খাতিরে রিষ্কা চালকে বললাম ঠিক আছে আপনি ওনাকেই নিয়ে যান।
সেদিন দুপুর বেলা মটর সাইকেল এক্সিডেন্ট করলাম। তাই আশেপাশের ক্লিণিকে কে ভর্তি করে দিয়ে গেল মানুষজন।
ঃ আরে আপনি, এ অবস্থা কেন আপনার।
ঃ আমিত হতবাক,আর স্তম্ভিত, আসলে আমি আপনাকে চিনতে পারছি না।
ঃআরে ঐ যে সেদিন রাতে দুজনে এক সাথে রিষ্কাকে ডাকলাম। এখন চিনতে পারলেন তো।
ঃ আমি এক কথায়, হ্যাঁ চিনতে পারলাম।
ঃ আমার নাম বর্ণি। আমি এখানে নার্সের কাজ করি। আমার নাম কি ?
ঃ অমিত।
এই থেকে পরিচয় শুরো হলো। বর্ণি আমার খুব সেবা যত্ন করতে লাগল ওর ক্লিনিকে থাকা অবস্থায়। তারপর মোবাইলে কথা, একাত্বিটাকে পূর্ণতায় ভরে দিল বর্ণি। আস্তে আস্তে ওকে ভাললাগতে শুরো করলাম। বর্ণি ও আমাকে ভালবেসে ফেলে। বর্ণির পিড়াপিড়িতে সিগারেট ছাড়তে হল । আমার অগোছালো জীবনটাকে নতুন করে আবার সাজিয়ে দিল। সবকিছু রুটিন অনুযায়ী চলতে শুরো হলো । প্রত্যেক বিকেলে একসাথে পার্কে যাওয়া, বাদাম খাওয়া পুরোটাই যেন একদমে চলতে লাগলো। বর্ণি খুব সাধারণ মেয়ে ছিল । আর সবকিছু সহজভাবেই মেনে নিত। বণির সাথে যেদিনই আমার দেখা হত ও কালো সেলোয়ার কামিজ পড়ে আসত। কালো সেলোয়ার কামিজ পড়ার কারণ হলো আমি কালো রঙ খুব পছন্দ করতাম। বর্ণির আরেকটা জিনিস খুব ভাল লাগত। সে তার চোখ টা আইলিনার, মাকসারা, আইব্রু দিয়ে এমন করে আর্ট করত যেন মনে হত বণি সারারাত খুব কাঁদত আর তার কারণে চুখের নিচ টা কালো হয়ে যেত।
হঠাৎ করেই খুব সকালে অচেনা নাম্বার থেকে ফোন — .. ক্রিং… ক্রিং …. ক্রিং
ঃ কে বলছেন প্লিজ
ঃ আমি বর্ণির বান্ধবী বলছি। অমিত ,,,, একদল নরপশু কর্তৃক বর্ণি নির্যাতিত হয়েছে। আমি ওকে নিয়ে ওর ক্লিনিকেই আছি। তুমি চলে আস।
এইকথা শুনার পর মাথা পুরোটাই হ্যাক হয়ে গেছে। তাই ক্লিনিকের দিকে রওয়ানা হলাম। এইদিকে আমি আসছি শুনে বর্ণি নিজেকে শেষ করে দিছে। আর একটা খোলা চিঠি লিখে গেছে শেষ উপহার হিসেবে। বর্ণির লাশ টা মর্গে নেয়া হয়েছে হয়ত কাটাচেড়া করবে। বর্ণির মুখ টা একবার দেখেছি আর দেখতে দেয় নি ডাক্তার রা ।
বাইরে এসে বণির চিঠিটা পড়তে লাগলাম,
আসলে জানত অমিত আমি তোমাকে অনেক ভালবাসি। আমি তোমাকে নিয়ে এই পৃথিবীতে সুন্দর করে বাঁচতে চেয়ছিলাম কিন্তু একদল নরপশু আমার স্বপ্নটা ভেঙ্গে দিল। আসলে আমিত অপবিএ হয়ে গেছি তাই এই অশুদ্ধু দেহখানা তোমাকে দেখাতে চাই না। তুমি ভাল থেক অমিত।
ইতি , তোমার বর্ণি ।।।।
হাঁটতে হাঁটতে পার্কে চলে এলাম। এই সেই পার্ক যেখানে আমি আর বর্ণি একসাথে হাঁটতাম আর বাদাম খেতাম। চোখে জল আমার । আর স্বজোরে চিৎকার করে বলতে লাগলাম বর্ণি তুমি আমার কাছে শুদ্ধু প্রতিমার মত , কেন এমনটা করলে, আমার ঘোছানো জীবন তুমি আবার এলোমেলো করে দিয়ে চলে গেলে।আর বলার ভাষাই হারিয়ে গেছে।।।
নিঃশেষ হতে লাগল একটির পর একটি জলন্ত সিগারেট।।।।
অনেক কিছু , যা আমাদের চোখে পরে কিন্তু বিবেক এড়িয়ে যায় ,
আবার অনেক কিছু , যা আমাদের বিবেকে পড়ে কিন্তু চোখ এড়িয়ে যায় !
মানুষ যে কেন এমন করে।।
মানুষ যে কেন এমন করে।। :ক্ষেপছি:
সাধারণ মানের লাগলো। বানানের
সাধারণ মানের লাগলো। বানানের ব্যবহারে একটু সতর্ক হোন… আশা করি ভবিষ্যতে ভালো লেখবেন…
খারাপ না
খারাপ না