সারগাম আমার পেয়ারের দোস্ত। শপিংমলগুলো ওর নখদর্পণে। আমরা সময় পেলেই সানমার ওসেন সিটিতে আড্ডা মারি। এখানে অনেক আপুদের আনাগোনা। আমি অবশ্য যেতে চাই না। সারগাম আমাকে জোর করে নিয়ে যায়। কোন ফালতু কাজে যাই না। সে একটা থিসিস করতেছে। বিষয়- ‘মেয়েরা কত ধরনের স্টাইলে ওড়না পরতে পারে?’ এই থিসিস পেপার কখনো কোথাও সাবমিট করা হবে না। লিখিত কোন ডাটাও থাকবে না। বন্ধুদের সামনে উপস্থাপিত হবে শুধুমাত্র।
ঈদের আগে একদিন মার্কেটে ঘুরতেছি। খুবই ভীড়। পুরো মার্কেট আপু আর আন্টিদের দখলে। সারগামের রিসার্চ পুরোদমে এগিয়ে চলছে। আমি এদিক ওদিকে তাকাচ্ছি আর নায়ক সাকিব খানের সমান ভাব নিয়ে হাটতেছি। হঠাৎ কিছু বুঝে ওঠার আগেই একটা রামধাক্কা খেলাম। চাদ তারা আমার মাথার ভেতর হা ডু ডু খেলতে লাগলো। ঝাপসা চোখে তাকিয়ে দেখি বিশাল চেহারার এক আন্টি আমার শার্টের কলার ধরে আছেন। তিনি হুঙ্কার দিলেন, ‘ওই খাজকাটা! তোর অন্দরমহলের কি মা বোন নাই? চোখ কি সুইস ব্যাঙ্কে রাইখা আইছোস?’ উনি আমার কলার এতো জোরে চেপে ধরেছেন যে কিছু বলা তো দূরে থাক, চোখ দিয়ে সরিষা গাছের অঙ্কুরোদগম হতে লাগলো। আমার চারদিকের ইন্নামাল ফর্সা হয়ে গেল। তোতলাতে তোতলাতে বললাম, ‘আন্টি, আমার অন্দরমহলের মা বোন আছে ঠিকই! তয় আপনার লাহান জাম্বো সিক্সটি নাইন অহনো পয়দা হয়নাই আল্লাহর রহমতে।’
আমার কথা শুনে আন্টি এবার সাতান্ন দিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রায় উন্নীত হলেন। আমার নাক বরাবর ঘুষি লাগানোর জন্য, হাতটাকে পিছনে বাকিয়ে নিলেন। আন্টির হাতটা দেখতে AK 47 এর মতো লাগছিল। এই অবস্থায় আমার কলজে শুকিয়ে মরুভূমি হয়ে গেল। সেখানে গজিয়ে উঠলো ক্যাকটাস। নির্ঘাত আজরাইলের হাত থেকে বাচার জন্যে সূরা এখলাস তিনবার পরে দিলাম দৌড়। তারপর কি হয়েছিল মনে নাই।
চোখ খুললাম মধ্য রাতে। আমার হাত পায়ে ব্যান্ডেজ। চট্টগ্রাম মেডিকেলে শুয়ে আছি। মাথার কাছে পেচার মতো মুখ করে বসে আছে সারগাম। আমার এই দশা হওয়ার পিছনের শানে নুযুল শুনলাম তার কাছেই। আমি নাকি যখন মহিলার হাত থেকে বাচার জন্য দৌড় দিয়েছিলাম, তখন সবাই আমাকে পকেটমার মনে করে জামাই আদর করেছে। কেউ বিশ্বাসই করতে চায়নি আমার নাম শাওন। আমি অতি সাধারণ একটা ছেলে। পকেটমার নই।
হাহাপগে ট্যাগ দিলেন না কেন???
হাহাপগে ট্যাগ দিলেন না কেন???
(No subject)
:p 😀
(No subject)
:হাহাপগে: :হাহাপগে: :হাহাপগে: