জয়িতার সাথে আমার কোন কিছুতেই মিলেনা। তারপরও আমরা দুজন যে কিভাবে চার বছর ধরে গল্পসঙ্গী হয়ে আছি সেটা একটা গবেষণাযোগ্য রহস্য। আমার পছন্দ পাহাড় ওর ভাললাগে সমুদ্র। আমার কবিতা ভাললাগে আর ওর ভাষায় কবিতা হল ‘ঘোড়াড্ডিম’। মেয়েদের পোশাক হিসেবে শাড়িটা আমার পছন্দ। জয়িতার শাড়িতেই এলার্জি।
আমার জন্মদিনের কথা। প্রেমিকার কাছে প্রেমিকের জন্মদিন আবহমানকাল ধরেই বিশেষ দিন। এদিন প্রেমিকরা সুযোগ বুঝে বিশেষ কিছু আবদার করেই থাকে। আগেরদিন জয়িতার সাথে দেখা হল। আমি বললাম জয়ি কাল কি তুমি শাড়ি পরে আসতে পারবে?
জয়িতা হাসল। একটু চুপ থেকে বলল ‘আচ্ছা আসব। কি রঙের শাড়ি পরবো?’
আমি বললাম নীল।
পরদিন আমি যথানিয়মে আগেই গিয়ে বসে আছি জয়িতা লাপাত্তা। অপেক্ষা করতে করতে যখন চলে যাব ভাবছি তখন জয়িতাকে দেখলাম। সাথে সাথে মাথায় বজ্রাঘাত অনুভব করলাম। ক্যাটকেটে বেগুনী রঙের জামা পরে এসেছে। ও জানে যে বেগুনী রঙটা আমি খুবই অপছন্দ করি।
এসেই বলল ‘সরি,দেরি করে ফেললাম। শপিঙে গিয়েছিলাম। আজই কিনলাম এই জামাটা। সুন্দর না?’
আমি তখন অধিক শোকে পাথর ওর কথার উত্তর কি দিব।
জয়িতা আবার জিজ্ঞেস করল ‘কেমন লাগছে আমাকে?’।
‘একদম ইন্দ্রাণীর মতো লাগছে। ‘ মেজাজ খারাপ করে বললাম আমি।
জয়িতা তখন গা জালানো হাসি হাসছে। কপট গাল ফুলিয়ে বলল
ইন্দ্রাণী কে? তোমাদের পাশের বাসার ওই মেয়েটা বুঝি?
কিছুক্ষণ পর আমি চলে এলাম। প্রতিজ্ঞা করলাম আর জীবনেও ওর সাথে দেখা করবনা। এরকম প্রতিজ্ঞা শত শতাব্দী ধরে এই পৃথিবীর কত পুরুষ যে করেছে তার কোন হিসাব কেউ রাখেনি। এটা প্রতিজ্ঞা ভাঙ্গার প্রতিজ্ঞা। যে প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ হলে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষই খুশি হয়। আমরাও খুশি হলাম।
এভাবেই ঝগড়ায় ঝগড়ায় দিন কাটছিল। চৈত্রের দিন শেষ হয়ে বৈশাখ এল। এবার আর শাড়ি বিষয়ক কোন আবদার করলাম না। আবদার করলেই বিপদ। দেখা যাবে টিশার্ট আর জিন্স পরে চলে এসেছে। পহেলা বৈশাখের সকালে ডিসি হিলের গেটের সামনে ভিড়ের মধ্যে জয়িতার জন্য অপেক্ষা করছি। এখানেই আসার কথা ওর। একটু পরই জয়িতা এলো। আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলাম। বাকরুদ্ধ অবস্থা। আজ শাড়ি পরে এসেছে জয়িতা। শাদা লাল মেশানো একটা শাড়ি।
আজ কেমন লাগছে আমাকে? হাসতে হাসতে জিজ্ঞেস করল।
অপূর্ব লাগছে। অসাধারন লাগছে। অপরূপ লাগছে।
আজ কি আমাকে তোমাদের পাশের বাসার ওই মেয়েটার মতো সুন্দর লাগছে? কি নাম যেন মেয়েটার?
আমি হাসলাম। বললাম ইন্দ্রাণীর চেয়ে সুন্দর লাগছে তোমাকে।
মোটামুটি মানের লাগল । তবে আশা
মোটামুটি মানের লাগল । তবে আশা করি আরও ভাল লিখবেন । শুভেচ্ছা রইল ।
লিখে যান। আশা করি ভাল করতে
লিখে যান। আশা করি ভাল করতে পারবেন। শুভ কামনা থাকল…
গল্প টার শুরু-শেষ এর কোন দিশা
গল্প টার শুরু-শেষ এর কোন দিশা পেলাম না। যাই হোক, চালিয়ে যান। ভালো লেখবেন…
আমি হাসলাম। বললাম ইন্দ্রাণীর
এই লাইনটা পড়ে ফারাবির কথা মনে পড়ে গেলো। :কানতেছি:
সুন্দর হয়েছে। চালিয়ে যান।
সুন্দর হয়েছে। চালিয়ে যান।
আরো ভাল লেখার ক্ষমতা আপনার
আরো ভাল লেখার ক্ষমতা আপনার আছে