জাতিসংঘ আর বাংলা সিনামার পুলিশদের মধ্যে একটা বিস্ময়কর মিল আছে … এই মহান দুই সংগঠনের প্রতিনিধিরা সাধারনত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন বা সাহায্যের প্রস্তাব দেন “কম্ম সাবাড়ের” পর ………
অবশ্য ডায়ালগ মারার ক্ষেত্রে এদের মধ্যে খানিক টা “সুক্ষ পার্থক্য” পরিলক্ষিত হয়……… দুর্ঘটনা ঘটার পর ঘটনাস্থলে পৌছেই একটা ফাকা গুলি ছুড়ে ঢালিউডি পুলিশদের কমন ডায়ালগ থাকে ” আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না “..… অথচ নায়ক মহোদয় ততক্ষনে গুলি করে হাজার খানেক গুন্ডারে নরকের ঠিকানায় রপ্তানি করে দিছে , আবার ভিলেন ও হয়তো চান্সে সাইড নায়ক, সাইড নায়িকা, নায়িকার ভাই সহ আরো অনেককেই নগদে স্বর্গের টিকেট গিফট করছে , তাই এ সময় আইন নিজের হাতে তুলে নেবার মত কোন রসিক কালাচান অবশিষ্ট থাকে না……
যখন নির্বিচারে খুন খারাবির ‘বাম্পার উৎসব’ চলে , তখন পুলিশ ভুলেও ঐ দিককার পথ মাড়ায় না, আর সব শেষে নায়ক-নায়িকা যখন লুটুর্পুটুরে নিমগ্ন, তখনি ঢালিউডি পুলিশ সাহায্যের প্রস্তাব নিয়ে হাজির ….. পাবলিক তো মাঝে মাঝে কনফিউজড হয়ে যায়, পুলিশের ঐ সময়ে আগমনের কারণ টা কি ? – ভিলেন এর বিপক্ষে যুদ্ধে নায়ক কে সাহায্য করা , নাকি নায়িকা কে আদর করার জন্য নায়ক কে প্রয়োজনীয় রসদ সরবরাহ করা ??!!!!
যাই হোক , এই সাব্স্ক্রাইবার – ফলোয়ারদের যুগে ‘মহান জাতিসংঘের মহান মহাসচিব’ বান কি মুন ও খুব সম্ভবত ঢালিউডি সিনামার ক্রেজি ফলোয়ার, তাই একই ভাবে তিনি ও ঘটনা ঘটে যাবার ৫ দিন পর “গভীর শোক” প্রকাশ করে এক পিস আবেগাপ্লুত বিবৃতিতে বলেন, ভুমি ধ্ধসের ঘটনায় যে কোন ধরণের সহায়তায় জাতি সংঘ প্রস্তুত রয়েছে !!!!
কিন্তূ মেজাজ খারাপের বিষয় হচ্ছে, ততক্ষণে আর কারোই জীবিত থাকার সম্ভাবনা ছিল না !!!
খুব সম্ভবত, তারা মানুষ বাঁচানোর পরিবর্তে মরা মানুষের লাশের দাম দিতেই বেশি সাচ্ছন্দ বোধ করে , কারণ – “অমুক দুর্ঘটনায় নিহতদের প্রত্যেকের পরিবার কে এতো লাখ টাকা করে/ এতোগুলো ছাগল ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে “- এই কথাটা টা শুনতে বা বলতে বোধয় বিকৃতমনা এ জাতীয় প্রতিষ্ঠান গুলোর একটু বেশিই ভাল্লাগে ……..
জাতি সংঘের *দির ভাইরা সবসময় গাছের গোড়া কাইটা আগায় পানি ঢালতে বদ্ধ পরিকার…. মায়ানমারে রোহিঙ্গা রা যখন রাখাইনদের অত্যাচারে ঘর বাড়ি ছাইড়া প্রাণ বাঁচানোর জন্য নৌকায় কৈরা আশে পাশের প্রতিবেশী দেশ গুলার কাছে আশ্রয় চাচ্ছিল, তখন জাতি সংঘ একেবারে সুগভীর মৌনব্রত পালনে মশগুল ছিল, যেন এটা কোন ব্যাপারই না ……. পরিস্থিতি অনেক টা নীরো আর রোম বিষয়ক সেই প্রাচীন প্রবাদের মতো “রোহিঙ্গাদের ঘর বাড়ি যখন পুড়ছিল, জাতিসংঘ তখন বাল ফালাচ্ছিল “….
কিন্তূ অদ্ভূত ব্যাপার , যখন প্রতিবেশী দেশগুলো ঐ রোহিঙ্গাদের সঙ্গত কারণে তাদের আশ্রয় দিচ্ছিল না, তখন জাতি সংঘের সে কি হুংকার !!!! বাংলাদেশের ওপর কঠিন চাপ প্রয়োগ করছিল তারা, রোহিঙ্গাদের আশ্রয়ের বন্দোবস্ত করার জন্য ….. কিন্তূ বাংলাদেশ আপাতত সারা দেশে ছড়িয়ে পড়া ৮/১০ লাখ রোহিঙ্গা আর তাদের আমদানিকৃত ইয়াবা ট্যাবলেটের যন্ত্রণায় অস্থির…. তাই সঙ্গত কারনেই বাংলাদেশ এদের আশ্রয় দিতে অপারগতা প্রকাশ করে , এতে জাতিসংঘ রীতিমত সমালোচনার “নহর” বইয়ে দিয়েছিল !!!
বিস্ময়ের ব্যাপার, জাতি সংঘ ঐ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার অবসান ঘটাতে মায়ানমার সরকারের ওপর কঠোর চাপ প্রয়োগ না করে, বাংলা দেশের ওপর “মামার বাড়ির আবদার মূলক” কঠিন চাপ প্রয়োগ করে, যাতে তাদের আশ্রয় দিয়ে দেশ কে “ইয়াবার” অভয়ারন্যে পরিণত করা হয় !!!!!!
তার পর মনের সুখে গান হবে –
আমাদের দেশ টা স্বপ্ন পুরি
সাথী মোদের “ইয়াবা বড়ি”
লাল বড়ি-নীল বড়ি , নীল বড়ি লাল বড়ি
সবার সাথে খেলা করি, খেলা করি……
এই “গভীর শোক” যুক্ত ফ্লেভার দিয়ে মানবতা *ন্দাইতে আসার তো কোন প্রয়োজন দেখি না……. জাতি সংঘের কাছে করজোড়ে মিনতি, ” একটু দূরে গিয়ে মরুন না দাদা…. বাংলাদেশে থেকে খানিক দূরে, প্লীজ ………
আসলেই একই বৃন্তে দুটি ফুল
আসলেই একই বৃন্তে দুটি ফুল এরা ্্ । ভাল লিখেছেন 🙂
thanx
thanx 😀
ঘটনা সইত্ত
:বুখেআয়বাবুল: :কল্কি: ঘটনা সইত্ত :থাম্বসআপ: :থাম্বসআপ:
(No subject)
😀 😀
ভাল লিখেছেন। অনেক অনেক
ভাল লিখেছেন। অনেক অনেক ধন্যবাদ….
mukul vai, thanx a lot for ur
mukul vai, thanx a lot for ur kind inspiration 🙂