বাঙলা ব্লগস্ফিয়ারে কোন ধরনের শর্ত ও বাধ্যবাধকতাহীন হয়ে মুক্তভাবে মুক্ত-মত প্রকাশের পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রাণে প্রান মেলানোর প্রত্যয়ে ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে যাত্রা শুরু করে ইস্টিশন ব্লগ। যাত্রার শুরু থেকেই মুক্তমত প্রকাশে ইস্টিশন ছিল আপোষহীন। চলার পথে বাঙলা ব্লগে মুক্ত মত প্রকাশে যে সময়ে যত ধরণের বাধাই এসেছে, মুক্তমত প্রকাশের আন্দোলনে ইস্টিশন সকল বাধাই অতিক্রম করেছে লেখক, ব্লগার, পাঠকদের জন্য একটা উন্মোক্ত প্লাটফর্ম তৈরীর প্রয়াসে।
অল্প সময়ের পথপরিক্রমায় ইস্টিশনের নিবন্ধিত ব্লগার সংখ্যা সাত হাজার ছাড়িয়ে গেছে, পোস্ট সংখ্যা প্রায় তেইশ হাজার, তৈরী করেছে অসংখ্য লেখক ও ব্লগার। শুধু প্রথাগত ব্লগিং-ই নয়, ইস্টিশন নাগরিক সাংবাদিকতায়ও রেখেছে অনন্য অবদান। ব্লগারদের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনগুলো কাঁপিয়ে দিয়েছে স্বার্থান্বেষী মহলের শক্ত ভিত।
ফলে ইস্টিশন ব্লগের নাতিদীর্ঘ পথচলায় প্রথম থেকেই সরকারের বিভিন্ন এজেন্সিসহ নানাবিধ প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠি থেকে বারবার, পদে পদে এসেছে বাধা, এসেছে হুমকি। তবু থেমে থাকেনি আমাদের কন্ঠস্বর। আমরা প্রাণে প্রাণ মেলানোর শ্লোগানে ছিলাম বদ্ধপরিকর এবং সদা সোচ্চার। আমরা বুঝতে পারি আমাদের সকল প্রচেষ্টা স্বার্থক, যখন শুনি ইস্টিশনের সোচ্চার কন্ঠের সজোরে আঘাত অনেককেই ক্ষত-বিক্ষত করে, অপশাসনে নিমজ্জি শাসক-গোষ্ঠী হয়ে যায় আতঙ্কিত।
সর্বশেষ, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ মধ্যরাত থেকে সরকারের নির্দেশে BTRC বাঙলাদেশ থেকে ইস্টিশন ব্লগকে ব্লক করে দেয়। ফলে, আমাদের অসংখ্য লেখক, ব্লগার ও পাঠক বাংলাদেশ থেকে সরাসরি ইস্টিশন ব্লগে প্রবেশ করতে পারছিলেন না। এরপরও দমিয়ে রাখা যায়নি আমাদের কণ্ঠকে। ব্লক থাকা অবস্থাতেও আমাদের ভিজিটর সংখ্যা কমেনি। এই সাফল্য প্রাণে প্রাণ মেলানোর প্রত্যয়ে উদ্দীপ্ত ইস্টিশন পরিবারের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের ঐক্যবদ্ধ অবদান। আমরা মনে করি ব্লগার ও পাঠকরাই ইস্টিশনের মূল প্রাণশক্তি।
সমুদ্রে পেতেছি শয্যা, শিশিরে কী ভয়! বাঙলাদেশে মুক্ত মত প্রকাশের অবস্থা সম্পর্কে সকলেই কমবেশি অবগত আছেন। মুক্তচিন্তার সাথে সংগ্রাম শব্দটি এখানে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আমরা জানি, এদেশে মত প্রকাশ মানেই ডিঙাতে হবে পর্বত-সম বাঁধা। আমরা সকল বাঁধা ডিঙিয়ে মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে সমুন্নত রাখতে সদা সচেষ্ঠ। BTRC-এর ব্লক এড়িয়ে তাই আমরা এখন আরও উন্নত প্রযুক্তিতে। এখন ইস্টিশনে যোগ করা হয়েছে SSL (Secure Sockets Layer), যা বাঙলা ব্লগস্ফিয়ারে আর কোথাও নেই। এখন থেকে আপনার সাইবার নিরাপত্তাও হবে বিশেষভাবে সংরক্ষিত। আর ব্লকের ঝামেলাও হলো বিদায়। প্রানে প্রাণ মেলানোর পথে কোন অপশক্তিই আর বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারবে না।
এখন থেকে ইস্টিশনে প্রবেশ করতে এড্রেস বারে http://istishon.blog এর পরিবর্তে http://istishon.blog লিখুন। আর প্রাণে প্রাণ মেলানোর প্লাটফরমে থাকুন শ্লোগান মুখর আরো বাধাহীন, আরো সোচ্চার কণ্ঠে। এর আগে অবশ্যই আপনার ব্রাউজারটির ক্যাশ-কুকিজ ক্লিয়ার করে ফেলুন। এছাড়াও ইস্টিশনের কারিগরি বিভাগ মোবাইল ব্যবহার বান্ধব একটি Apps উন্নয়নের জন্য কাজ করছে। খুব শীঘ্রই আমরা এটি অবমুক্ত করতে পারব বলে আশা রাখছি।
ইস্টিশনের শুরুতে একটি ই-বুক সাইট ছিল। সকলেই বিনামূল্যে ই-বুক সংরক্ষণাগারে সংরক্ষিত ই-বুক ডাওনলোড করতে পাড়তেন। ড. অভিজিৎ রায় হত্যাকাণ্ডের পরে এক সাইবার আক্রমনের কারণে সাইটটি ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে যায়। আমরা আনন্দের সাথে জানাতে চাই, নতুন সংগ্রহশালা নিয়ে খুব শীঘ্রই ইস্টিশন ই-বুক সাইটটিও সকলের জন্য খুলে দেয়া হবে।
ইস্টিশন সব সময় ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চয়তার জন্য বদ্ধপরিকর। কোন অবস্থাতেই ইস্টিশন ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য সরকারী কিংবা বেসরকারী কোন সংস্থা বা ব্যক্তির সাথে আদান-প্রদান করে না। ভবিষ্যতেও তথ্য নিরাপত্তার ব্যপারে ইস্টিশনের নীতিমালা অপরিবর্তনীয় থাকবে।
… প্রানে প্রাণ মেলাবই।
এইচটিটিপিএস এর সাথে
এইচটিটিপিএস এর সাথে সাইটব্লকের কোনো সম্পর্ক নেই, যদি সাইটের আইপি অ্যাড্রেস ব্লক থাকে ইন্টারনেট এক্সচেঞ্জ হাবে। ইস্টিশনের ইবুকগুলো বিশ্বখ্যাত সাইট pdf-archive.com এ দিয়ে দেওয়া হোক। বিশ্বখ্যাত সাইট vs জাতিভিত্তিক লোকাল সাইটের পার্থক্যটা পরিষ্কার।
এইচটিটিপিএস এর সাথে সাইট
এইচটিটিপিএস এর সাথে সাইট আনব্লকের কোনো সম্পর্ক নেই। ইবুকগুলো বিশ্বখ্যাত সাইট pdf-archive.com এ দিয়ে দেওয়া হোক। বিশ্বখ্যাত সাইটের সাথে বাঙালি সমাজের এক চিপার সাইটের পার্থক্য পরিষ্কার।
Why don’t you guys
Why don’t you guys automatically redirect your url to https version? It should be easy fix.
মুক্তমত প্রকাশের সংগ্রামে
মুক্তমত প্রকাশের সংগ্রামে সাথে আছি…
সত্যি ক’দিন খুব কষ্টে ছিলাম।
সত্যি ক’দিন খুব কষ্টে ছিলাম। এখন আশান্বিত হলাম। ধন্যবাদ ইস্টিশন-কর্তৃপক্ষকে।
আর একটি অনুরোধ: ব্লগের নীড়পাতাটা একটু বড় করা যায় না? বড় মানে, দীর্ঘ।
ধন্যবাদ।