ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে কপি করা
মতিঝিলে একটি ১০ তলা ভবন ধ্বসে পড়েছে।
এই ভবনটি ধ্বসে পরার সাথে সাথে সমগ্র দেশ আনন্দে জেগে উঠল;
টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া মিষ্টি বিতরন চলল ।।
আনন্দ মিছিল চলছে ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলজুড়ে ।।
ভবনটির উপরের তলায় ছিল-
বিভিন্ন দলের মন্ত্রী-এমপি সহ বিশাল বিশাল রাজনীতিবিদগণ।।
যারা কেবল ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করছে।
যাদের দেশ জনগনের জন্য ন্যূনতম আগ্রহ-দায়বদ্ধতা নেই।
ভবনটির নবম তলায় ছিল-
ভুঁড়ি-মেদবহুল আমলারা। তারা জনগনের বাজেট হ্রাস, স্বাস্থ্য-শিক্ষা সংকোচন করছিল।
জনগনের ট্যাক্সের টাকা নয়ছয় করার পরিকল্পনা আঁকছিল।
ভবনটির অষ্টম তলায় ছিল-
বিশ্বব্যাংক-আইএমএফ, মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলোর আঞ্চলিক বৈঠক।
দেশের অর্থনীতির ভাগ-বাটোয়ারা, প্রাকৃতিক সম্পদ লুটপাট এসব যাদের কাজ।
দেশীয় দালালরাও ছিল, যারা সামান্য পারচেন্টের জন্য দেশ বিক্রি করে দেয়।
ভবনটির সপ্তম তলায় –
দুর্নীতিবাজ-ঋণখেলাপী কোটিপতিদের ব্যয়বহুল বুফে।
ভবনটির ষষ্ট তলায় ছিল-
লুটপাটকারি ব্যবসায়ীরা।
যারা জনগনের পকেট কেটে রাতারাতি আঙ্গুলফুলে বিল্ডিং।
খাদ্যে ভেজাল, নিন্মমান; সিন্ডিকেট বানিয়ে রাতারাতি দাম বাড়ানো যাদের মুলকাজ।
ভবনটির পঞ্চম তলায় ছিল-
একাত্তরের পরাজিত শক্তি’র বার্ষিক সন্মেলন।
সকল যুদ্ধাপরাদীও উপস্থিত ছিল।
যারা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ভাঙ্গার নীলনকশা করছিল।
দেশকে পিছনের দিকে টেনে নেয়ার ছক বানাচ্ছিল।
….
….
….
….
ভবনটির একদম নিচতলায় ছিল-
বিজিএমইএ আর গার্মেন্টস মালিকদের রুদ্ধশ্বাস আলোচনাসভা।
তাদের আলোচনার বিষয়বস্তু হল
‘শ্রমিকদের শোষণ- শ্রমঘণ্টা বাড়ানো- মজুরী হ্রাস- বোনাস বাতিল ।।
ভবনের অন্তঃধ্বসে গোটাদেশ নতুনভাবে জেগে উঠল।
দেশের উপর থেকে অন্ধকার আকাশ সরে গিয়ে, ঝলমলে সূর্য উঠল।।
কিন্তু এটার পিলার ধরে কে
কিন্তু এটার পিলার ধরে কে নেড়েছিল???
এরা চাপা পড়লে মানুষ সেফটি
এরা চাপা পড়লে মানুষ সেফটি ট্যাঙ্ক এ জমানো বস্তুগুলা সাহায্য হিসেবে পাঠাবে। কি করমু কন, একেকজনের ভুড়ি এত বড় যে মাটি শেষ হয়ে যাবে চাপা দিতে।
ভালো বলেছেন
ভালো বলেছেন
লেখা টা কি আপনার? যদি আপনার
লেখা টা কি আপনার? যদি আপনার হয়ে থাকে , তাহলে লেখার দরকার নাই যে
যাই হোক লেখা টা ভাল হয়েছে 🙂