সেবা প্রকাশনীর ওয়েস্টার্ন গল্প গুলো আমার সবচেয়ে প্রিয় । বুনো পশ্চিম, সবুজ প্রেয়রি, বাথান, ঘোড়া, মাইনার, গরুর পাল, নতুন গড়ে ওঠা শহর, রেলরোড, বার, রাসলিং, খুন, গানফাইট, আত্মসম্মান বাঁচাতে ডুয়েল লড়াই । এক কথায় প্রতি লাইনে লাইনে চরম টান টান উত্তেজনা ।
অনেক গল্প আবার সত্য ঘটনা অবলম্বনে লেখা । এখনও নিয়ম করে মাসে অন্তত একটা পড়ি । গল্পগুলোতে যে সময়ের বর্ণনা পাওয়া যায় – সে সময় সেই সমাজে অপরাধগুলো ছিল অন্যায্য খুন, গরু চুরি, রাসলিং, ডাকাতি ইত্যাদি । এই খুন, চুরি-ডাকাতি, রাসলিং সহ অন্যান্য অপরাধ ঠ্যাকাতে এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় পুলিশ, আইন-আদালত সবই ছিল । কিন্তু এসব থাকার পরও একটা ঘটনা ছিল খুবই সাধারণ এবং হরহামেশাই ঘটত, তা হল – লিঞ্চিং মব । কেবল সভ্য হয়ে উঠতে থাকা বুনো পশ্চিমের পরিশ্রমী সৎ সাধারণ মানুষগুলো কোন খুনি বা গোরুচোর ধরতে পারলে, কোর্ট-কাচারির ঝামেলায় না গিয়ে, কাছাকাছি কোন কটনউড গাছের উচু ডালে ঝুলিয়ে দিত । কারন – একে তো শহরগুলো ছিল অনেক দূরে দূরে; তারপর সপ্তাহের বিশেষ দিন জজ আসবে, কোর্ট বসবে, সে মেলা হেপা । তাছাড়া খুনি বা গোরুচোর কে শহরে নিয়ে যাওয়ার সময় পালিয়ে যাওয়ার ভয় থাকে । সবচেয়ে বড় কারন হল – আইনের নানা ফাঁক-ফোঁকর গলে খুনি / গোরুচোর রাসলার দিব্যি বেরিয়েও যেতে পারে । তাই উত্তেজিত জনতা ঝুঁকির ঝামেলায় না গিয়ে কটনউডের ডালে একটি মাত্র দড়ি দিয়েই আইনের শাসন বজায় রাখত ।
পশ্চিমের লোকগুলো একটা সুন্দর ভবিষ্যৎ এর স্বপ্নে বিভোর হয়ে কঠোর পরিশ্রম করে নিজেদের ভাগ্যকে নিজেরাই গড়ে নিয়েছিলো । নিজেদের মতো করে আইন করে নিয়েছিলো । যেমনঃ মাতাল হও আর যাই হও, নারীকে অপমান করা যাবে না । আবার দুজন স্বাধীনচেতা মানুষের মধ্যকার গণ্ডগোলের সমাধান হত সামনা-সামনি বন্দুক যুদ্ধে । যো জিতা ওহি সিকান্দার টাইপ আর কি । পশ্চিমের সেই আইনগুলোকে এখন অনেকেই বর্বর বলতে পারে । যে যাই বলুক, আমরাও কিন্তু সেই একই সুন্দর ভবিষ্যতের স্বপ্নই দেখছি, এবং আমাদের পরিশ্রমের ধরনটা কেবল আলাদা । আমরা আবার সেই বুনো পশ্চিমের সমাজ থেকে অনেক এগিয়ে । কিন্তু সংগ্রাম কমেনি বিন্দুমাত্র । তাদের তুলনায় আমাদের আধুনিক সভ্যতার আধুনিক আইনের শাসন আছে । আছে পুলিশ-র্যাব-চিতা-কোবরা-কোর্ট-কাচারি-জজ-ব্যারিস্টার; আছে জেলখানা । এমনকি পশ্চিমের সেই সমাজের মতো এসব অনেক দূরে দূরে না, একেবারে দোরগোড়াতেই আছে ।
পশ্চিমে খুন হত একটা-দুটা, তারা সেটার বিচার করার চেষ্টা করত কোর্টে নিয়ে গিয়ে । আর কোর্টে নিতে না পারলে, নিজেরাই ঝুলিয়ে দিত কোন কটনউডের ডালে । এদিকে আমাদের সভ্য সমাজে খুন হয় শ’য়ে শ’য়ে, প্ল্যানড মাস কিলিং । কিন্তু আমরা শাস্তির বদলে খুনিদের দেই পুরষ্কার । খুনিকে আইন-আদালতে নিয়ে যাওয়া তো দূরের কথা, উল্টা খুনিরাই আমাদের এখানে আইন তৈরি করে । এসব মনে হলে, বার বার বুনো পশ্চিমের সেই একদল উত্তেজিত জনতা, একটি কটনউড গাছ আর একটি দড়ির প্রয়োজনীয়তা অনুভব করি । যে কটনউড গাছ আর একটি দড়ি, খুনিকে তার ন্যায্য পাওনা মিটিয়ে দিয়ে সমাজে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করবে ।
আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা তো এখন
আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা তো এখন দিবাস্বপ্ন
দিবাস্বপ্ন দেখা ছাড়া আর উপাই
দিবাস্বপ্ন দেখা ছাড়া আর উপাই কি !
একদম মনের কথাগুলা বলছেন ভাই।
একদম মনের কথাগুলা বলছেন ভাই। আমরা দলে দলে গিয়ে যদি ওদের ঝুলায়ে দিতে পারতাম তাইলে মৃত আত্মারা শান্তি পাইত।
যেখানে দোরগোড়াতে কোর্ট হওয়ার
যেখানে দোরগোড়াতে কোর্ট হওয়ার পরও খুনিরা বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়ায়, সেখানে এ ছাড়া আর কোন উপাই নাই ভাই ।
বড়, লম্বা কটন গাছ তো আর এই
বড়, লম্বা কটন গাছ তো আর এই শহরে নাই কিন্তু উত্তেজিত জনতা যদি রাজাকারদের মাইরা কোন এক উচু মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্যে ঝুলাই দিত বাংলা মা শান্তি পাইত।
যেখানে দোরগোড়াতে কোর্ট হওয়ার
যেখানে দোরগোড়াতে কোর্ট হওয়ার পরও খুনিরা বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়ায়, সেখানে এ ছাড়া আর কোন উপাই নাই ভাই ।
সবকটাকে ঝুলিয়ে দিতে পারলে
সবকটাকে ঝুলিয়ে দিতে পারলে মন্দ হতো না !
ঝুলানো ছাড়া উপায় নাই
ঝুলানো ছাড়া উপায় নাই
পাগলা ভাই পুরা নস্টালজিক
পাগলা ভাই পুরা নস্টালজিক বানাই দিলেন শুরুতে।
দারুন লিখসেন ভাই।
(No subject)
:ধইন্যাপাতা: :ধইন্যাপাতা: :ধইন্যাপাতা:
পশ্চিমে খুন হত একটা-দুটা,
চমৎকার। :থাম্বসআপ:
(No subject)
:ধইন্যাপাতা: :ধইন্যাপাতা: :ধইন্যাপাতা: