একটা জিনিস দেখলাম বর্তমানে মানুষের মানবিকতার বিরাট একটা ধস নেমেছে। এখন আমাদের পাশের মানুষ টার উপর যতই নির্যাতন অত্যাচার হোক না কেন আমরা প্রতিবাদ করিনা। কারন প্রতিবাদ করলে হয়ত নিজেকে বিতর্কে বা বিপদে ফেলতে হতে পারে। এর পেছনে আরেকটি বিষয় লক্ষণীয় – মানবিক সেটা হলো অনুভুতিহীনতা।যে মানুষ মানবিক অনুভূতি থেকে বঞ্চিত সে মানুষ কখুনো প্রকৃত মানুষ না। অনুভূতি না থাকলে মানবিক গুণাবলি অর্জন সম্ভব নয়।
কিন্তু দেখা যায় আরেকজনের প্রতি অন্যায় বা নির্যাতনে আমরা নিরব থাকলেও নিজের বেলায় আসলে আমরা প্রতিবাদ মুখর হয়ে উঠি। সেক্ষেত্রেও আমরা নিজের পাশে কেউকে পাইনা কারণ আমরা অন্যের ক্ষেত্রে প্রতিবাদী হয়নি।
বর্তমানে আমাদের যে রাজনীতিক অবস্থা তাতে রাস্তা ঘাটে অহরহ মানুষ বিপদে পড়ছে। এই ক্ষেত্রে আমাদের অনেক কেই দেখা যায় আমরা দূর থেকে নিরব দর্শকের ভূমিকায় থাকি। কখুনো দেখা যায় হরতালে কয়েকজন এসে একজন কে গাড়ি থেকে নামিয়ে বেদক পিটাচ্ছে কিংবা তার গারিটি পুড়িয়ে দিচ্ছে বা পেট্রোল ঢেলে তার গায়ে আগুন দিচ্ছে এরকম আরো অনেক কিছু। এখন কথা হলো এসবে কি রাস্তার পাশে দারিয়ে থাকা দর্শক দের সমর্থন আছে ? না অনেক ক্ষাত্রেই নাই ! তার পর ও কেনো নিরব? অনেকেই বলবে “আমি বাচাতে যেয়ে নিজে মরবো নাকি ” আমাদের এই ধারনাথেকে বেরিয়ে আসতে হবে কারন আপনি একজন প্রতিবাদী হলেই দেখবেন আপনার পাশে আরো কয়কটি প্রতিবাদী মুখ। আমাদের আত্ম কেন্দ্রিকতা থেকে বেরিয়ে এসতে হবে।
নাহলে আজকে অন্যায় নির্যাতনের শিকার মানুষটির জায়গায় কাল আপনি থাকবেন না তার নিশ্চয়তা কে দিবে ?
অপেক্ষা করতে থাকি !একদিন আমিও
অপেক্ষা করতে থাকি !একদিন আমিও শিকারে পরিণত হব !
অপেক্ষা করতে থাকি !একদিন আমিও
অপেক্ষা করতে থাকি !একদিন আমিও শিকারে পরিণত হব !
অপেক্ষা করতে থাকি !একদিন আমিও
অপেক্ষা করতে থাকি !একদিন আমিও শিকারে পরিণত হব !
প্রতিবাদ করুন, একজন মানুষ
প্রতিবাদ করুন, একজন মানুষ হিসেবে নিজের অস্ত্বিত্য প্রতিষ্ঠা করুন।
তিক্ত হলেও সত্য এটাই যে, ”
তিক্ত হলেও সত্য এটাই যে, ” আমরা পেটপূজা করি, দেশপূজা করিনা। ”
নিজে বাঁচলে বাপের নাম ! এটা
নিজে বাঁচলে বাপের নাম ! এটা বিশ্বাস করেই আজ আমরা নিজের বিপদে কাউকে কাছে পাই না ! এটাই বাস্তবতা….