ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী সুব্রত অধিকারী শুভসহ অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টদের নিঃশর্ত মুক্তি চাই
প্রিয় সহযোদ্ধা,
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী সুব্রত অধিকারী শুভসহ অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টদের নিঃশর্ত মুক্তি চাই
প্রিয় সহযোদ্ধা,
আপনারা জানেন, ১এপ্রিল ২০১৩ তারিখ মধ্যরাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্বশাসন ও নিয়মনীতিকে ভূলুন্ঠিত করে জগন্নাথ হল থেকে ডিবি পুলিশ উঠিয়ে নিয়ে যায় বাংলা বিভাগের মেধাবী শিক্ষার্থী সুব্রত অধিকারী শুভকে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ সাহসী এই তরুণ অনলাইন পরিসরে যুদ্ধাপরাধী, ঘাতক-দালাল-রাজাকারের বিরুদ্ধে ছিলেন সোচ্চার কণ্ঠ। তিনি ছিলেন সকলের মাঝে মুক্তবুদ্ধি চর্চার একজন অগ্রগণ্য উদাহরণ। শুধু লেখালেখির ‘অপরাধে’ হাতকড়া পড়িয়ে, দাগী আসামীর মতো মিডিয়ার সামনে উপস্থাপন করে সরকারের ডিবি পুলিশ। শুধু তাই নয় সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়াই ৭ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয় শুভসহ আরো দুইজন ব্লগারকে। আমরা মনে করি,কোন বিশেষ মহলকে খুশি করার জন্য সরকারের এই ঘৃণ্য তৎপরতা।
পথেঘাটে, বিদ্যালয়ে-বিশ্ববিদ্যালয়ে বোমাবাজি না করে, কারো রগ না কেটে, কাউকে চাপাতি দিয়ে না কুপিয়ে, কাউকে খুন না করে, জনতার সম্পদ ধ্বংস না করেও;শহীদ মিনার ভাঙচুর ও জাতীয় পতাকার অবমাননা না করে নিজস্ব পরিসরে মুক্তবুদ্ধি চর্চার জন্য গ্রেফতার করে ন্যাক্কারজনকভাবে মিডিয়ার সামনে উপস্থাপন করে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে মুক্তমনা তরুণদের। আমরা হতবাক, ক্ষুবব্ধ,ধিক্কার জানানোর ভাষা আমাদের জানা নেই। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও এর প্রতিবাদে কোন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে নি। আমরা তাৎক্ষণিকভাবে ২/৪/২০১৩ তারিখে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দের অংশগ্রহণে মানব বন্ধন করি এবং মাননীয় উপাচার্যের সাথে দেখা করি। সাক্ষাৎ শেষে জানতে পারি শুভসহ বাকি দুজকে ৭ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। এই অন্যায় রিমান্ডের প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। এরই অংশ হিসেবে পরদিন বিক্ষোভ মিছিল ও অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিলসহ উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিই। কিছুক্ষণ পর পুরাতন সিনেট ভবনে মাননীয় উপাচার্য ও প্রক্টরের সঙ্গে কথা বলে অবিলম্বে তাদের মুক্তির বিষয়ে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের দাবি জানাই এবং ৪ এপ্রিল রাজু ভাস্কর্যের সামনে শুভসহ গ্রেপ্তারকৃত ব্লগারদের মুক্তি ও জামাত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধকরণের দাবিতে মানববন্ধন ও সন্ধ্যায় আলোর মিছিল করি।
আমরা স্পষ্ট বলে দিতে চাই, কতকগুলো শব্দ-বাক্যের জন্য কারো গ্রেফতার-রিমান্ড কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না। লেখার জবাব হবে লেখা, যুক্তির জবাব হবে যুক্তি এমনটাই সকলের প্রত্যাশা।ডিবি পুলিশ অপরাধের আলামত হিসেবে যখন কম্পিউটার,মডেম জব্দ করতে পারেন তখন আপনার,আমার বুকপকেটের কলম,মস্তিষ্ক জব্দ করতে পারেন রাষ্ট্রের নিরাপত্তা বাহিনী। মুক্তবুদ্ধির চর্চায় পুলিশি নিপীড়ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা কখনো মেনে নেয় নি। মেনে নেবেও না। অতিসত্বর শুভসহ অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টদের মুক্তি দিতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী নাদিয়া শারমিন গত ৬ এপ্রিল আক্রান্ত হন ধর্মান্ধ গোষ্ঠীর দ্বারা।
ধর্মান্ধ, মৌলবাদী, মুক্তিযুদ্ধেও চেতনাবিরোধী চক্র যখন উন্মত্ত আস্ফালন চালাচ্ছে, আক্রান্ত করছে গণতান্ত্রিক বোধকে, রোধ করার চেষ্টা করছে নারীর স্বাভাবিক বিকাশ,তখন রাষ্ট্রের দ্বায়িত্ব এদেরকে দমন করা।সেটা না করে বরং আক্রমণ করা হচ্ছে মুক্তচিন্তার ধারকদের।
প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মুক্তবুদ্ধির চর্চা, জাতীয় চেতনায় প্রগতিশীলতা, শুভ ও কল্যাণবোধ জাগ্রত করার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। ভাষা আন্দোলন, সামরিক শাসন বিরোধী ১৯৬২’র ছাত্র আন্দোলন, উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান, ১৯৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধ, ১৯৮০’র দশকের সামরিক স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন, ৯০-এর গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামসহ জাতীয় জীবনের প্রতিটি ক্রান্তিলগ্নে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা জাতিকে সঠিক ও কার্যকর দিকনির্দেশনা দিয়েছে।
আমাদের চলমান সংগ্রামে আটক অ্যাক্টিভিস্টদের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ-আল্টিমেটামের পরেও সরকার নিশ্চুপ বসে আছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও কোনো সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণ করে নি। বরং বরাবরের মতোই নির্বিকার থেকেছে। এর পর আমরা আর চুপ থাকতে পারি না। আওয়াজ তুলুন, মুক্তবুদ্ধি চর্চায় রাষ্ট্রীয় হস্তক্ষেপ মানি না; বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্বশাসনে রাষ্ট্রীয় হস্তক্ষেপ মানি না।
১। মুক্তচিন্তার লেখকদের নিঃশর্তে মুক্তি দিন।
২। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্বশাসনের উপর হস্তক্ষেপ বন্ধ করুন।
৩। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্বায়ত্বশাসন খর্ব করার প্রতিবাদে সুনির্দিষ্ট বিবৃতি প্রদান হোক।
৪। যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসি চাই।
৫। জামাত-শিবির নিষিদ্ধ করুন।
৬। নারীর উপর সহিংসতা বন্ধ করুন।
জয় বাংলা! জয় তারুণ্য!
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ
যোগাযোগ :
০১৬৭৬০৫১৯৭১,০১৭১৫৫৪১৭৬১,০১৯২০৬৬৯১২৭,০১৬৭৫২৯৪৩৮৬,০১৯১৪৯৯৯৩৭৪
পোস্ট স্টিকি করা হৌক। মডুর
পোস্ট স্টিকি করা হৌক। মডুর দৃষ্টি আকর্ষণ করলাম।
লিফলেটের ব্যাপারে কারও কোন
লিফলেটের ব্যাপারে কারও কোন বক্তব্য থাকলে জানানোর অনুরোধ করছি।আমাদের ধারাবাহিক কর্মসূচিগুলো ঘোষণা হওয়া মাত্রই আমি এই লিফলেট এডিট করে জানিয়ে দিব। সবাইকে সাথে থাকার অনুরোধ করছি। বিস্তারিত জানার জন্য নম্বরগুলোতে ফোন করতে পারেন।
ধন্যবাদ।
কিন্তু আমি আশ্চর্য হয়ে
কিন্তু আমি আশ্চর্য হয়ে যাচ্ছি, ঢা বি এখনো ফুসে উঠে নাই কেনো?
ঢাবি থেকে এখনো সবগুলা পাব্লিক ভার্সিটিকে আন্দোলনের জোড় ডাক আসেনি এখনো?
এই ঢাবি কি ৫২’র ঢাবি?
কোথায় ঢাবি?
দেখুন, ঢা বি আন্দোলন সংগ্রামে
দেখুন, ঢা বি আন্দোলন সংগ্রামে আর আগের অবস্থানে নেই এ কথা সত্য। ছাত্ররা ব্যক্তি স্বার্থে ব্যস্ত। ভয়াবহ চাপে না পরলে টু শব্দও মুখ দিয়ে বেরোয় না। ডাকসু নির্বাচন না হওয়াটা একটা কারন। এই নির্বাচন না হওয়ায় ছাত্রনেতা গরে উঠেনি। জা উঠেছে তা মাদার পার্টির চামচা।
তবে প্রতিবাদ যে একেবারেই হয়নি তা নয়। লিংকগুলো দেখুনঃ
১।http://shar.es/d98DN
২।http://bangla.bdnews24.com/bangladesh/article609455.bdnews
৩।http://www.prothom-alo.com/detail/date/2013-04-04/news/342261
টানা হরতালে আমরা কঠোর কর্মসূচিতে জেতে পারছিনা। ক্যাম্পাসে ছাত্র উপস্থিতি কম। তবে অতি শীঘ্রই আমরা কঠোর কর্মসূচিতে যাব।
তবে আমাদের উপর দায়ভার চাপালেই তো শুধু হবে না, ব্লগার হিসেবে অন্যান্যরা কি করছে তাও তো দেখা দরকার, তাই না?
ঢাবি’কে ঢাবির মত চরিত্রে
ঢাবি’কে ঢাবির মত চরিত্রে দেখতে চাই। প্রতিবাদের সুতিকাগার ঢাবি’র নির্লিপ্ততা আমাদের ভাবিত করে।
সহমত
সহমত
দেশের প্রতিটি বড় আন্দোলনে
দেশের প্রতিটি বড় আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যে সাহসী ভূমিকার ইতিহাস আছে, সেটা কিছুটা মৃয়মান হয়েছে ছাত্র রাজনীতির দুর্বৃত্তায়নের কারনে। ঢাবির অধিকাংশ ছাত্র এখন ছাত্র রাজনীতির প্রতি বিরক্ত হয়েই রাজনীতি বিমুখ। তবুও ২০১৩ সালে যে গণজাগরণ আমরা দেখেছি সেটার উপর ভিত্তি করেই স্বপ্ন দেখি ঢাবি আবার তার আগের ঐতিহ্যে ফিরে আসবে। জ্বলে উঠুক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
জ্বলে উঠুক ঢাকা
জ্বলে উঠুক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
আশাকরি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
আশাকরি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জ্বলে উঠবে অতীতের মত করে।
শুভেচ্ছা রাখবেন।
শুভেচ্ছা রাখবেন।
শুধু ঢাবি কেনো, এই বাঙালি
শুধু ঢাবি কেনো, এই বাঙালি জাতি কখনোই জাগবে না। যা দেখছি তাতে এটাই স্পষ্টতই প্রতীয়মান। যেসকল ব্লগারদের ধরা হয়েছে তারা যদি অরাজকতা করতো তাহলে দেশে নিশ্চয়ই কোন না কোন দল হরতালের ডাক দিতো। যারা যেমন তাদের সাথে ঐরকম আচরন না করলে কোন ফল পাওয়া যাবে না।
ব্লগে বড় বড় কথা কথা না বলে
ব্লগে বড় বড় কথা কথা না বলে মাথ্যে এসে কাজ করি আর যারা কাজ করছে তাদের সাহস যোগাই।
আটক ব্লগারদের যে লেখার জন্য
আটক ব্লগারদের যে লেখার জন্য গ্রেফতার করা হয়েছে, তা জনসম্মুখে প্রকাশ করার দাবী উতথাপন করা হোক…
তাদের ৫৪ ধারায় গ্রেফতার
তাদের ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে সন্দেহজনকভাবে।এই ধারায় রিমান্ড হয়না। এটা হয়েছে সরকারের ভোট ব্যালেন্স নীতির কারণে।
জয় বাংলা! জয় তারুণ্য!
জয় বাংলা! জয় তারুণ্য!
:তালিয়া: :তালিয়া: :তালিয়া:
জয় বাংলা! জয় মুক্তচিন্তা!
জয় বাংলা! জয় মুক্তচিন্তা!
যে যেভাবেই ইচ্ছা তা চাইতেই
যে যেভাবেই ইচ্ছা তা চাইতেই পারে তাতে আমরা কোনভাবেই আমাদের লেখা থামাবো না। আমাদের অস্ত্র এই লেখা।
সহমত
সহমত
জ্বলে উঠুক ঢাকা
জ্বলে উঠুক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়!! :থাম্বসআপ: