ঘুম পাড়ানোর সময় পাচ বছরের ছেলের সাথে কথোপকথনঃ
এক যে আছে সিসিমপুর। সেখানে একটা দেশ আছে।
-
-
- সে দেশের নাম কি তুমি কি জানো?
- বাংলাদেশ।
- হুম্ম ঠিক বলেছো, সে দেশের নাম বাংলাদেশ। সে দেশেই তুমি, আমি আর আমরা সব্বাই থাকি। সে দেশে রাজাকার নামের কিছু ব্যাডবয়, মানে দুষ্টু লোকও থাকে। তারা কখনোই বাংলাদেশকে ভালবাসেনা। তারা পাকিস্তান নামে আরেকটা দেশকে ভালবাসে। তারা বাংলাদেশে থাকে, বাংলাদেশেই খায়, কিন্তু ঘুমায় পাকিস্তানে।
- পাকিস্তানে ঘুমায় কিভাবে বাবা?
- তারা স্বপ্নে পাকিস্তানে চলে যায়। আর পাকিস্তান? সেটা এই পৃথিবীর সবচেয়ে পচা একটা দেশ। পাকিস্তানের মানুষেরা স্কুল-কলেজে পড়ালেখা রেখে শুধু বোমাবাজি করে। তারা বোমা মেরে মেরে ছোট ছোট শিশু, তাদের আব্বু, আম্মুকে মেরে ফেলে। আর রাজাকারেরা এদেশকেও পাকিস্তানের মত বানাতে চায়। ওরা আরো কি করতে চায় জানো?
- কি বলে?
- ওরা বলে স্বাধীনতা দিবস বন্ধ করে দিতে হবে, বিজয় দিবস বন্ধ করে দিতে হবে, ২১শে ফেব্রুয়ারীতে শহীদ মিনারে ফুল দেয়া যাবেনা, শহীদ মিনারগুলো ভেঙ্গে ফেলতে হবে, পহেলা বৈশাখ পালন করা যাবেনা, এমন আরো অনেক অন্যায় আবদার।
- কি? না বাবা, এরা তাহলে ভেরি ভেরি বেডবয়। তুমি আমাকে কাল একটা লাঠি দিয়ো, এদেরকে মেরে মেরে বাংলাদেশ থেকে বের করে দিতে হবে।
- ঠিক বলেছো। এদেরকে মেরে মেরে এদেশ থেকে বের করে দিতে হবে।
- না, শুধু ,মারলেই হবে না। একেবারে পাকিস্তানে পাঠিয়ে দিতে হবে।
- তাই!! শুধু মারলেই দিলেই হবেনা? একেবারে পাকিস্তানেই পাঠিয়ে দিতে হবে?
- আচ্ছা, তাহলে তাই করা হবে। একদিন কি হয়েছে জানো? রাজাকারদেরকে শাস্তি দেয়ার জন্য এদেশের কিছু ভেরি গুডবয়েরা দাবী করছিল অনেকদিন ধরে।
- দাবী কি বাবা?
- দাবী কি বুঝনি? আচ্ছা বুঝিয়ে দিচ্ছি , তুমি তোমার বাবা মায়ের কাছে খেলনা চাইলেই কি সবসময়ই তারা কিনে দেন?
- সবসময় দেন না।
- আর না দিলে কি করো তুমি? কান্না করো!!
- কান্না করি।
- এই কান্না করাটাই হলো দাবী। যারা শাস্তির দাবী করছিল তাদের নাম তরুন প্রজন্ম।
- তরুন প্রজন্ম তো তাহলে ভেরি গুডবয়।
- হুম ঠিক বলেছো তরুন প্রজন্মরা ভেরি গুডবয়। আর তখন রাজাকারেরা কি করেছে জানো? দাবী বন্ধ করার জন্য রাজাকারেরা এদেশেরই কিছু মানুষকে ভাড়া করে।
- ভাড়া কি বাবা?
- ভাড়া হলো টাকা দিয়ে কোন কিছু ব্যবহার করা। হ্যা, যা বলছিলাম, এই রাজাকারেরা তাদের ভাড়া করা লোক দিয়ে তরুন প্রজন্মকে মারতে চেয়েছিল, বলেছিল তরুনেরা বেডবয়, এরা ধর্ম মানেনা।
- ধর্ম কি?
- ও আচ্ছা, ধর্ম হলো কিছু আজগুবি নিয়ম।
- কিসের নিয়ম?
- মানুষে মানুষে পার্থক্য করার নিয়ম। যেমন ধরো তোমার বন্ধু মাহদি, তুমি মাহদির সাথে খেলা করো। ধর্ম তোমাকে বলবে মাহদির সাথে খেলা করতে না করবে কারন সে অন্য ধর্মের নিয়ম মানে।
- তাহলে তো বাবা ধর্ম আরো বেশি ভেরি বেডবয়।
- হুম, আরো বড় হও, তাহলে সব বুঝতে পারবে।
- আচ্ছা, তারপর কি হলো?
- তারপর এই ভাড়া করা লোকগুলা সারাদেশের সবাইকে ভয় দেখানোর জন্য মিছিল মিটিং করা শুরু করল। তাদেরকে বুঝানোর জন্য তরুনেরা কথা বলতে চাইলো, কিন্তু তারা কথাও বললনা।
- তাহলে তো রাজাকারের আগে তাদেরকেই আগে মারতে হবে।
- তা হবে, কিন্তু তুমি শুধু মারমারি করতে চাইছো কেন? মারমামারি তো বেডবয়দের কাজ।
- মারামারি বেডবয়ের কাজ হলেও ভেরিবেডবয়দের মারতেই হবে।
- আচ্ছা বড় হয়ে তারপর মেরো।
- তারপর কি হলো?
- তারপর একদিন এরা তরুনদের মারার জন্য এসে পড়ল।
- আর তরুনেরা কি করল বাবা?
- তরুনেরাও লাঠি নিয়ে তাদেরকে মারতে বেরুল।
- ভাল করেছে। বেশি করে মেরেছে তো বাবা?
- হ্যা, মারতে চেয়েছিল, কিন্তু তরুনদের হাতে লাঠি দেখে ভয় পেয়ে পালিয়ে গেছে।
- ওরা কি পাকিস্তানে পালিয়ে গেছে?
- না পাকিস্তানে যায়নি।
- কেনো? ওদেরকে পাকিস্তানেই পাঠাতে হবে।
- আচ্ছা ঠিক আছে। বাবা তোমাকে কথা দিলাম ওদেরকে পাকিস্তানেই ফেরত পাঠাবো।তোমাদের জন্য স্বাধিন বাংলাদেশ গড়ার জন্য অদেরকে পাকিস্তানে পাঠাবোই। এবার ঘুমাও।
- আচ্ছা বাবা। থ্যঙ্ক ইউ।
- ওয়েল্কাম।
-
( ঘুম থেকে জেগে ঊঠে যেনো দেখতে পাও কলংমুক্ত বাংলাদেশ। )
পাকি জারজমুক্ত দেশ চাই।
পাকি জারজমুক্ত দেশ চাই।
পাকিস্তানের জারজদের
পাকিস্তানের জারজদের পাকিস্তানেই ফেরত পাঠাতে হবে , যে কনো মূল্যে ।
জামাত শিবির রাজাকার
এই
জামাত শিবির রাজাকার
এই মুহুর্তে বাংলা ছাড়।