সুব্রত শুভ,রাসেল পারভেজ, মশিউর রহমান বিপ্লব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থী। ব্লগারদের উপর হামলা মুক্ত বুদ্ধিবৃত্তির চর্চার উপরই আঘাত বলে মনে করি।সরকার যেভাবে অবিবেচকের মত উগ্র মৌলবাদীদের সাথে নিয়ে তালিকা বানিয়ে ব্লগারদের গ্রেফতার করছে, মুক্তিযোদ্ধা এয়ার ভাইস মার্শাল এ কে খন্দকার , মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বীরবিক্রম, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু হেফাজতে ইসলামের সাথে মিটিং করছে, জামায়াত শিবির যখন নাশকতা চালাচ্ছে তখন তাকে চুপ হয়ে বসে আছে, গণজাগরণ মঞ্চকে হুমকি মনে করে তাকে বন্ধ করতে চাইছে।আসলে এই সরকার গণ বিরোধী সরকার বলেই ব্লগারদের সন্ত্রাসী হিসেবে ধরে অপরাধের আলামত হিসেবে কম্পিউটার আর মডেম হিসেবে জব্দ করছে।এই সরকারের কাছে আপনার, আমার কলম ও নিরাপদ নয়। সুব্রত শুভর জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন বিবৃতি পাওয়া যায় নি, এটা তাদের দায়িত্ব হিনতা ছাড়া আর কিছু না, তাদের ধিক্কার। হেফাজতে ইসলামের দাবির সাথে এই গ্রেফতারের কোন সম্পর্ক আছে কিনা সেই প্রশ্নের উত্তরে ডিবির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ‘ব্লগার রাজিব হত্যা এবং আসিফ মহিউদ্দীনের উপর হামলার ঘটনার পরে ডিবি পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগ নাস্তিক ব্লগারদের উপর নজর রাখতে শুরু করে যার ধারাবাহিকতায় এই গ্রেফতার’। এধরনেরবক্তব্য একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়, যেখানে সারাদেশে ব্লগাররা মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক শক্তির হামলার শিকার হচ্ছে সেখানে ব্লগারদেরকেই গ্রেফতার করার এ ধরনের বক্তব্য হতাশাজনক। এই সরকার মানুষের জীবন নিয়ে খেলছে। এটা তাদের স্বভাব। এদের বিরুদ্ধে গণ প্রতিরোধ গড়ে তলা ছাড়া আর কোন পথ নেই। আজ সকাল ১০ টায় অপরাজেয় বাংলায় আটক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদী সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। এরপর বিকেল ৪ টায় রাজু ভাস্কর্যে ব্লগারদের মুক্তির দাবিতে ছাত্র, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, রাজনীতিবিদসহ সর্বস্তরের জনতার সংহতি সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। সবাই উপস্থিত হয়ে গণ প্রতিরোধ গড়ে তুলুন এবং গ্রেফতারকৃত দের মুক্তির দাবিতে শামিল হোন।