প্রথম যখন কাদের মোল্লার ফাসির দাবীতে দেশ উত্তাল তখন প্রায় প্রতিদিনই প্রেসক্লাব গিয়ে বসে থাকতাম । গলা ফাটিয়ে স্লোগান দিতাম “জয় বাংলা” ,”কফিন রেডী বডি চাই, রাজাকারের ফাসি চাই” ইত্যাদি । মাথায় পতাকা বেধে ভাঙ্গা গলায় যখন বাসায় বা হলে ফিরতাম তখন মনে হয়ত দেশের জন্য কত কিছু করে ফেলছি, ২০১৩ সালের মুক্তিসেনা আমি । এরপর বালের জামাত পার্টি যখন দুচারটা ফুটফাট শুরু করল তখন বাসায় মা-বাবা বলা শুরু করল “বাপ আমার এখন আর প্রেসক্লাবে যাইস না ” ,খুব পার্ট নিয়ে বলতাম “আম্মুনি, আমাদের জীবন গেলেও যদি দেশ রাজাকার মুক্ত হয় তবে তাই হোক”,মাকে না বলেই স্লোগান দিতে চলে যেতাম ।আজ বুঝতেছি শহীদ রুমি স্কোয়াডের কাছে আমি কিছুই না , আমি মুখে বড় বড় বুলি ছাড়লাম ,জীবন দিয়ে দিব বললাম আসলে ****টাও করলাম না । আমি ভীতু,আমি পরাজিত, আমি স্বার্থপর । আমি দেশের জন্য তেমন কিছুই করতে পারিনি । আমি নিজের রুমে বসে নিজের চামড়া বাচিয়ে চলেছি ।
হে শহীদ রুমি স্কোয়াডের ভাই-বোনেরা ,
তোমরা আমার মত তোমাদের অসংখ্য ভীতু,কাপুরুষ ভাইদের ক্ষমা করে দিও । আমরা পারিনি,তবে দোয়া করি তোমাদের দাবি একদিন না একদিন পূরণ হবেই ।
দাবী পূরনের আর কোন সম্ভাবনা
দাবী পূরনের আর কোন সম্ভাবনা দেখছিনা আপাতত।
আমাদের দেশের মোটা চামড়ার
আমাদের দেশের মোটা চামড়ার রাজনীতিবিদদের কাছে আমরণ অনশনের মত কর্মসুচির কতটুকু মূল্য আছে এটাই আমার কাছে বিরাট একটা প্রশ্ন ?