গত এক বছরে বিদেশী পর্যটক আসার দিক দিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান দক্ষিন এশিয়ায় সবার শেষে। মাথায় রাখেন দক্ষিন এশিয়ার ভিতর কিন্তু পাকিস্তানও আছে। পর্যটক না আসার কারণ হচ্ছে হরতাল এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা। দক্ষিন এশিয়ায় টুরিস্টের আনাগোনা বেশি থাকে সেপ্টেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত। কক্সবাজারের হোটেল মালিকরা বলতেছে গত ছয় মাসে বুকিং দেয়া ৯০ শতাংশ বিদেশী পর্যটকই তাদের বুকিং ক্যানসেল করছে। নেপালে যখন চরম রাজনৈতিক অস্থিরতা মাওবাদীদের সাথে সরকারের যুদ্ধ চলতেছিলো, তখনো পর্যটক টানার দিক দিয়ে নেপাল ইন্ডিয়ার সাথে টেক্কা দিছে। কারন নেপালে মাউন্ট এভারেস্ট আছে.. এভারেস্টতো প্রত্যেকটা দেশে দুই একটা করে থাকেনা। মানুষ এভারেস্ট না দেখে যাইবো কই? কিন্তু আপনার দেশে এমন কি আছে যে মানুষকে আসতেই হবে? ধরেন আপনাকে অপশন দেয়া হইলো.. আপনি হয় পৃথিবীর অন্যতম সুন্দর ঘর তাজমহল দেখতে পারবেন, নয়তো পৃথিবীর সবচেয়ে লম্বা ঘর দেখতে পারবেন, যেটা ভাঙ্গাচোরা। তখন আপনি কোনটা দেখবেন? নিশ্চই তাজমহল।
বিচ পৃথিবীর অনেক দেশেই আছে, শুধু লম্বা বিচের নাম শুনেই মানুষ তাকধিনাধিন করে নাচতে নাচতে দেখতে চলে আসবে এরকম ভাবার কারণ নাই। মানুষ সৌন্দর্য দেখতে চায় এবং টুরিস্ট স্পটে পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা পেতে চায়। আপনি আপনার বিচকে সুন্দর রাখতে পারেন নাই, বিচের মাঝখানে বিশাল বিশাল বিল্ডিং উঠাইয়া রাখছেন, যেন হোটেলের জানলা দিয়া আপনার থুথু টাও সাগরে ফেলতে পারেন। আর সরকারের দেয়া সুযোগ সুবিধাতো শুধু বিদেশীরা না, আপনিও প্রত্যাশা করেন। যে কারনে কুয়াকাটা না গিয়ে তুলনামূলক বেশি সুবিধাওয়ালা কক্সবাজার যান। অথচ প্রাকৃতিক দৃষ্টিকোন থেকে কুয়াকাটাই বেশি সুন্দর। এবং সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে আপনার কাছে যে বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা বিচটা আছে এটাই মানুষকে ঠিকমত জানাতে পারেন নাই। আমাদের টার্গেট কাস্টমারদের ৯৫ শতাংশই তথ্যটা জানেনা।
সুন্দরবন অন্য দেশ থেকেও দেখা যায়। তাছাড়া বন্যপ্রাণী পরিবেশ নিয়ে কাজ টাজ করে এরকম মানুষ বাদ দিলে অধিকাংশ সাধারণ পর্যটকের কাছে ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট আলাদা বিশেষত্ব বহন করেনা। অথচ আপনার চেয়ে অনেক খারাপ জিনিসপত্র নিয়ে অনেকে দেদারসে পর্যটক টানতেছে। দক্ষিন এশিয়ায় আসা বেশিরভাগ পর্যটকই ইন্ডিয়া এবং নেপালকে টার্গেট করে আসে, সাথে বাংলাদেশকেও দেখে যায়। শুধুমাত্র বাংলাদেশকে উদ্দেশ্য করে করে ১০ ভাগ পর্যটকও আসেনা।
পর্যটক আসবেনা কেন !? এইটা মানা যায়না। এই উপলক্ষে আগামীকাল হরতাল।
পর্যটকরা আসেনা কেন,
এজন্য
পর্যটকরা আসেনা কেন,
এজন্য আগামীকাল থেকে আজীবন হরতাল।
আজীবন হরতালে বাধা দিলে
আজীবন হরতালে বাধা দিলে লাগাতার হরতাল
আমাদের রাজনীতিবিদরা এসব নিয়ে
আমাদের রাজনীতিবিদরা এসব নিয়ে চিন্তা করেনা। পর্যটক আসলেও কি, আর না আসলেও কি? তাদের দরকার ক্ষমতার গদী। সেটা যেভাবেই হোক পেতে চায় তারা। আর এখন অবস্থাটা এমন দাঁড়িয়েছে যে, সকল সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে দেশটাকে ইসলামী প্রজাতন্ত্র করলে। ইসলামী প্রজাতন্ত্রে পর্যটন শিল্পের দরকার নাই।
ভবিষ্যতে দেশের পর্যটন শিল্প নিয়ে আমার কাজ করার ইচ্ছে আছে। প্রথম দিকে আকর্ষনীয় পর্যটন কেন্দ্রগুলো নিয়ে কিছু তথ্য চিত্র করব বিভিন্ন ভাষায়। এটা একটি দীর্ঘ মেয়াদী কাজ। সমুদ্র বা বীচ নিয়ে একটা স্বতন্ত্র কাজ করার ইচ্ছে আছে। সেখানে কক্সবাজারের পাশাপাশি কুয়াকাটাকে হাইলাইট করার পরিকল্পনা আছে।
কাজটা শুরু করে দেন… তাইলে
কাজটা শুরু করে দেন… তাইলে শেষ হতে আর দেরি হবেনা। আপেক্ষায় রইলাম
রাইতে আপনে বিচে ঘুরলে উল্টা
রাইতে আপনে বিচে ঘুরলে উল্টা পুলিশই কইবো… অ্যাই ব্যাটা এদিকে আয়, এত রাইতে বিচে কি? তোরতো মতলব খারাপ। মানুষ তার খারাপ জিনিসকেও সুন্দর মোড়কে রাখে… আর আমরা সুন্দর জিনিসকেও কত বিশ্রী উপস্থাপন করা যায় সেই প্রতিযোগিতায় নামছি।
কক্সবাজারকে বাংলাদেশের প্রধান
কক্সবাজারকে বাংলাদেশের প্রধান পর্যটন কেন্দ্র বলা যায়। অথচ ওইটারে দেখলে হাউজিং কমপ্লেক্স ছাড়া আর কিছু মনে হয় না। বাইরের পর্যটকরা ঘুরতে আসে, রিল্যাক্স করতে আসে, সাথে একটু হইহুল্লোর। পৃথিবীর যে কোন পর্যটন স্পটে মূল হইহুল্লোর হয় সারারাত জুড়ে। কক্সবাজারে রাতে বীচের পাশে গিয়ে বসতেও ভয় পায় মানুষ। হইহুল্লোড় দূরে থাক। এক পর্যটন, দুই ম্যান পাওয়ার… এই দুই সেক্টর দিয়েই বাংলাদেশকে সোনার বাংলা বানানো সম্ভব ছিল। কিন্তু এই দুইটাই দেশের অন্যতম অবহেলিত সেক্টর। :মাথাঠুকি:
শুধু কক্সবাজার, কুয়াকাটাই নয়
শুধু কক্সবাজার, কুয়াকাটাই নয় অনেক অনেক পর্যটন কেন্দ্র আছে আমাদের দেশে। শুধুমাত্র আমাদের পর্যটন কেন্দ্র থেকে আয়ের অর্থ দিয়ে বাংলাদেশকে সোনার বাংলা গড়া সম্ভব। কিন্তু আমাদের দেশের পরিবার তান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের নেতাদের সেই পরিমাণ জ্ঞান তাকলে তো আর চিন্তাই ছিল না !
হামহামের কথাই ধরেন না, একটু
হামহামের কথাই ধরেন না, একটু ভালোমত ব্যবহার করতে পারলে দক্ষিন এশিয়ার নায়াগ্রা হয়ে উঠবে।