মোহাম্মদ এরশাদ হোসেন ১৯৩০ সালের
২রা ফেব্রুয়ারি রংপুরে জন্মগ্রহণ করেন । তার বাবার
নাম মোহাম্মদ মকবুল হোসেন । ভারতের
কুচবিহারের দিনহাটা থেকে মোহাম্মদ মকবুল হোসেন
রংপুর শহরের সেনপাড়ায় এসে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু
করেন । মোহাম্মদ এরশাদ হোসেন পরে তার
সেনা বিভাগের কমিশন লাভের সময় নাম পরিবর্তন
করে হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ করেন ।
মোহাম্মদ এরশাদ হোসেন ১৯৩০ সালের
২রা ফেব্রুয়ারি রংপুরে জন্মগ্রহণ করেন । তার বাবার
নাম মোহাম্মদ মকবুল হোসেন । ভারতের
কুচবিহারের দিনহাটা থেকে মোহাম্মদ মকবুল হোসেন
রংপুর শহরের সেনপাড়ায় এসে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু
করেন । মোহাম্মদ এরশাদ হোসেন পরে তার
সেনা বিভাগের কমিশন লাভের সময় নাম পরিবর্তন
করে হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ করেন ।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে যখন
মুক্তিবাহিনী বাংলাদেশকে স্বাধীন করার মরণপণ
লড়াইয়ে লিপ্ত, তখন এরশাদ পাকিস্তানে সপ্তম ইষ্ট
বেঙ্গল বাহিনীর প্রধান হিসাবে পাকিস্তানের
পক্ষে যুদ্ধ করছিলেন ।
কর্ণেল মঞ্জুর, কর্ণেল জিয়াউদ্দিন, কর্ণেল তাহের
পাকিস্তান
থেকে পালিয়ে এসে মুক্তিবাহিনীতে যোগদান করেন ।
অপরদিকে মেজর জিয়াউর রহমান, মেজর শফিউল্লা,
ক্যাপ্টেন খালেদ মোশাররফ
এবং অন্যরা পাকবাহিনী দ্বারা আক্রান্ত
হয়ে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন । ২৫শে মার্চ যখন
পাকিস্তানি হানাদার ধ্বংসযজ্ঞ শুরু করে, তখন
ক্যাপ্টেন(পরে মেজর) জলিল বরিশালে ছুটি ভোগ
করছিলেন । তিনি আর চাকরিতে যোগদান
না করে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন এবং পরে নয়
নং সেক্টরের দায়িত্ব গ্রহন করেন ।
এ সময় এরশাদও ছুটি নিয়ে রংপুরে অবসর যাপন
করছিলেন । তিনি মুক্তিযুদ্ধে যোগদান
না করে এপ্রিলের প্রথম দিকে পশ্চিম
পাকিস্তানে পাড়ি জমান এবং সপ্তম ইষ্ট বেঙ্গলের
অধিনায়ক হিসেবে পুনরায় কাজে যোগদান করেন ।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে অসুস্থ পিতা মোহাম্মদ মকবুল
হোসেনকে দেখার জন্য সেপ্টেম্বরে এরশাদ পুনরায়
রংপুর এসেছিলেন । এবারেও
তিনি মুক্তিযুদ্ধে যোগদান না করে পাকিস্তান
ফিরে যান ।
পাকিস্তানে আটকে পড়া বাঙ্গালি অফিসার ও
সৈন্যদের দেশদ্রোহিতার
অভিযোগে পাকিস্তানে বিচার শুরু হলে এরশাদ সেই
ট্রাইবুলানের চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন ।
বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর প্রাণভয়ে এরশাদ
বাংলাদেশে ফেরত আসেন , এবং চাকুরি ফিরে পাবার
জন্য অস্থির হয়ে পড়েন । তৎকালীন প্রতিমন্ত্রী ও
কুড়িগ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা রিয়াজ উদ্দিন
মিয়া একদিন সন্ধ্যায় এরশাদকে পাজামা-
পাঞ্জাবি পরিয়ে তার উপর একটি মুজিব কোট
পরিয়ে তার হয়ে তদবিরের জন্য শেখ মুজিবুর রহমানের
বাড়িতে নিয়ে গিয়ে তাকে পরিচয় করিয়ে দিয়ে বলেন,
“আমার ভাগ্নের চাকরিটা না থাকলে যুদ্ধ করে আমার
কি লাভ হলো !!” এ কথা বলার সাথে সাথে এরশাদ
শেখ মুজিবের পা ছুয়ে সালাম করেন । শেখ মুজিব
এতে খুশি হয়ে এরশাদের আপাদমস্তক
তাকিয়ে দেখে খাটো বাঙ্গালীর মধ্যে লম্বা চেহারার
অধিকারী এরশাদের দিকে তাকিয়ে আরও
খুশি হয়ে তাকে চাকরিতে বহাল রাখার নির্দেশ দেন ।
সূত্রঃ বিরোধের প্রথম প্রহর – মেজর (অবঃ) রফিকুল
ইসলাম ।
*** *** *** *** *** *** *** *** *** ***
আমার মন্তব্যঃ বাংলাদেশ থেকে ভারত হয়ে আত্মসমর্পণকারী ৯৮০০০
যুদ্ধবন্দিদের পাকিস্তানে পৌছার পরে তাদের
একজনকেও সেনাবাহিনীতে বহাল করা হয়নি । অথচ
পাকিস্তান থেকে আগত সেনাবাহিনীর সদস্যদের
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে বহাল করা হয় । এর
ফলে মুক্তিযোদ্ধা সেক্টর কমান্ডারদের
পাইকারীভাবে হত্যা, সেনাবাহিনীতে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি,
সামরিক শক্তি দ্বারা অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল,
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস ইত্যাদি ন্যাক্কারজনক
ঘটনা একটার পর একটা ঘটার সুযোগ সৃষ্টি হয় ।
ফলে স্বাধীনতার চেতনা দ্রুত অর্থহীন হয়ে মুখ
থুবরিয়ে পড়ে॥
এতদিন জানতাম এরশাদ স্বৈরাচার!
এতদিন জানতাম এরশাদ স্বৈরাচার! এখন দেখছি সেও রাজাকার ! তাইতো সে হেফাজতে ইসলামী নামে আত্ম প্রকাশ করা জামাতের বি-দলের লং মার্চের প্রতি সমর্থন জানালো। কথায় আছে না “দশ দিন চোরের একদিন গিরস্তের”। ৯০ এ বিদায় করেছি স্বৈরাচার, এবার বিদায় করবো রাজাকার !
এরশাদ তুই রাজাকার, এই
এরশাদ তুই রাজাকার, এই মুহূর্তে বাংলা ছাড়।
এই বেহায়া শূয়রটার মুখ দেখলেও
এই বেহায়া শূয়রটার মুখ দেখলেও ঘেন্না হয়। :অসুস্থ:
(No subject)
:ক্ষেপছি: :ক্ষেপছি: :ক্ষেপছি: :মাথাঠুকি: :মাথাঠুকি: :মাথাঠুকি:
এই কুলাঙ্গারও যুদ্ধাপরাধী।
এই কুলাঙ্গারও যুদ্ধাপরাধী। একেও ট্রাইব্যুনালের মুখোমুখী করা হোক। বাংলাদেশের সংবিধানে ধর্মের বীজ ঢুকেছে এই বেজন্মার হাত দিয়ে। তাকে কোনভাবেই ক্ষমা করা উচিত নয়। তার বিরুদ্ধে সকল প্রকার অভিযোগ এক সাথে করে ঝুলানোর ব্যবস্থা করা হোক। এরশাদ সম্পর্কে আরো লেখা প্রয়োজন। মুক্তিযুদ্ধে তার পাকিপ্রেম ও মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধের অবস্থান নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হওয়া উচিত।
কাগু হায়রে কাগু
কাগু হায়রে কাগু :মাথাঠুকি: :মাথাঠুকি: :মাথাঠুকি: :মাথাঠুকি:
(No subject)
:ধইন্যাপাতা: :ধইন্যাপাতা:
এই লুচ্চা, আত্ম স্বীকৃত
এই লুচ্চা, আত্ম স্বীকৃত রাজাকার, ৯০ এ পরাজিত স্বৈরাচারের সকল মামলা চালু করে দ্রুত বিচার করে শাস্তির ব্যবস্থা করার জন্য ব্লাগারদের পক্ষে থেকে বর্তমান সরকারের কাছে জোর দাবী জানাচ্ছি…
এতদিন জানতাম এরশাদ স্বৈরাচার!
এতদিন জানতাম এরশাদ স্বৈরাচার! এখন দেখছি সেও রাজাকার !