সেদিন একটা ভিডিও দেখলাম। নির্মাতার চিন্তাধারা খুবই ভালো লেগেছে। ১ মিনিটের ভিডিও। একটা মেয়ে রিকশায় যাচ্ছে। স্কুল ড্রেস পড়া মেয়েটি। পেছনে একটু দুরে অন্য এক রিকশায় দুটি ছেলে। তারা বুঝতে পারে সামনের রিকশায় একটা মেয়ে। পেছন থেকে বলে, একা? আর শুরু হয় গান! চুমকি চলেছে একা পথে, সঙ্গী হলে দোষ কী তাতে?…….
রিকশাচালককে বলে মামা তারাতারি সামনে যাও। সামনে যাওয়ার পরে মেয়েটি তাদের দিকে তাকায়। এবং অবাক হয়ে দেখে যে, বিরক্তকারী আর কেউ নয়, তার ভাই!! তার ভাইও লজ্জা পেয়ে রিকশা উল্টোপথে ঘুড়িয়ে নেয়।
সেদিন একটা ভিডিও দেখলাম। নির্মাতার চিন্তাধারা খুবই ভালো লেগেছে। ১ মিনিটের ভিডিও। একটা মেয়ে রিকশায় যাচ্ছে। স্কুল ড্রেস পড়া মেয়েটি। পেছনে একটু দুরে অন্য এক রিকশায় দুটি ছেলে। তারা বুঝতে পারে সামনের রিকশায় একটা মেয়ে। পেছন থেকে বলে, একা? আর শুরু হয় গান! চুমকি চলেছে একা পথে, সঙ্গী হলে দোষ কী তাতে?…….
রিকশাচালককে বলে মামা তারাতারি সামনে যাও। সামনে যাওয়ার পরে মেয়েটি তাদের দিকে তাকায়। এবং অবাক হয়ে দেখে যে, বিরক্তকারী আর কেউ নয়, তার ভাই!! তার ভাইও লজ্জা পেয়ে রিকশা উল্টোপথে ঘুড়িয়ে নেয়।
ভিডিওর ঐ ভাই লজ্জা পেয়েছে। আমরা কবে পাবো? নাকি আমাদের শরীরের চামড়া এতো মোটা যে লজ্জা বুলেট হয়ে আসলেও আমাদের ভেদ করতে পারবে না? যদি আমাদের লজ্জাই থাকে তাহলে টিএসসির মতো একটা জায়গায় পহেলা বৈশাখে কোন নারীকে বিবস্ত্র হতে হয়না। ধরে নিলাম, যারা একাজ করেছে তারা পশু। কিন্তু টিএসসি তে তখন আরো শত শত মানুষ ছিল, যার একটা সিংহ ভাগ আমার দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠের শিক্ষার্থী। সেখানে কি শুধু লিটন নন্দী-ই একমাত্র মানুষ ছিল? আরে ওই জানোয়ার গুলো ছিল বিশ-ত্রিশ জন। আর আমরা তো কয়েক হাজার ছিলাম! কিন্তু আমরা সবাই লিটন দাস হয়ে নিজের পাঞ্জাবীটি খুলে দিতে পারিনি। কিংবা, পাঞ্জাবীর প্রয়োজন না পরার অবস্থা রাখতে পারিনি।
আমরা, আপনারা তখন টিএসসির পাশে গল্পে মসগুল! কেউ কেউ আড় চোখে দেখছে! কেউ আবার দাড়িয়ে ভিডিও করছে! কী ভয়ংকর!! জনারণ্যে একজন দ্রৌপদীর বস্ত্র হরণ হচ্ছে! আমি, আপনি প্রতিবাদ করিনি কারণ তারা আমার মা, বোন কিংবা প্রেমিকা কিছুই না! কিন্তু যেদিন আমার বোন এভাবে লাঞ্চিত হবে সেদিন তো রহিম করিমও এগিয়ে আসবে না!
আরেকটা ব্যাপার। এই ঘটনা যারা ঘটিয়েছে তারা নাকি ছাত্রলীগ! আচ্ছা, এমন একটা ঘটনা যদি সরকার সমর্থিত কোন ছাত্র সংগঠন করে তাহলে ওই দলের সদস্য হিসেবে পরিচয় দিতে কি লজ্জা লাগেনা? সরকার দলীয় নেতাদের এবং প্রধান মন্ত্রীর যদি সেই লজ্জাটুকু থাকে তাহলে খুব শীঘ্রই এর বিচার হবে বলে মনে করি। দুষ্ট বলদের চেয়ে শূন্য গোয়াল ভালো।
আর, আমাদের সরকার বেতন ভাতা দিয়ে অস্ত্র দিয়ে যে কিছু লোক রাখছে তাদের আসলে কাজ কী? কিছু দিন আগে ঐ একই জায়গায় খুন হলো অভিজিৎ রায়। কিন্তু পুলিশ কিছুই করতে পারেনি! অথচ আশেপাশেঈ পুলিশ ছিল। এরপরেই ওয়াশিকুর বাবুর ঘটনা। পুলিশ সেবারও কিছু করতে পারতো না। কিন্তু এবার খুনিদের ধরলো কিছু শিখন্ডী। এবারও হয়তো আশেপাশে পুলিশের পরিবর্তে তারা থাকলে এ ঘটনা ঘটতে পারতো না!
চুমকি চলেছে একা পথে
সঙ্গী হলে দোষ কী তাতে…….
একসময়ে গানটা মনে হয় খুব জনপ্রিয় হয়েছিল। চুমকি যদি একা চলে, তার সঙ্গী হতে দোষ কী? বাহঃ! যেন মামা বাড়ির আবদার। আমার ইচ্ছে হয়েছে, আমি তার সাথে চলবো। কিন্তু চুমকিকেও তো জিজ্ঞেস করতে হবে যে চুমকি আমার সাথে চলবে কিনা? চুমকিকে আমরা এমন সহজলভ্য পন্য কেন মনে করি?