হেফাজতে ইসলাম,বেরাদরানে ইসলাম,খেদমাতুল পরিষদ,মাহমুদুরের মামলা প্রতিরোধ কমিটি,সংখ্যালগু রক্ষা পরিষদ ইত্যাদি ইত্যাদি আরবী নাম সংবলিত ভূঈফোঁড় কিছু সংগঠনের নেতাদের বক্তব্য শুনলে যে কথাটি মনে পড়ে যায় ।। বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলামিস্ট আব্দুল গাফফার চৌধুরীকে একবার এক সাংবাদিক(সম্ভবত শফিক রেহমান)তিরস্কার বা আক্রমন করে কিছু লিখালিখি করেছিলেন।ঐ বিষয়টা প্রচার হবার পর গাফফার সাহেবের কিছু শোভাকাঙ্খি উনাকে বলেছিলেন,একটা লোক আপনাকে এত অপমান বা সমালোচনা করলো আর আপনি জবাবে কিছুই লিখলেন না?প্রতিউত্তরে গাফফার সাব বললেন,ঐ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে যদি আমি কলম ধরি তবে প্রচার পাবে যে, গাফফার যে লোকটির সমালোচনা করেছে নিশ্চই ঐ লোকটি বিখ্যাত কোন ব্যক্তি!বিশেষ কেউ?সুতরাং আমি তার সমালোচনা করে তাকে বিখ্যাত বানাতে অপারগ”।
ইদানিং লাটি পুটি নেতাদের বিভিন্ন বক্তব্যকে আমরা গ্রাহ্য বা সমালোচনা করে ঐ সব অথর্ব নেতাদেরকেও আমরা তেমনি বিখ্যাত করে তুলছি।নিজ বাড়ির কুকুর ও যাকে দেখে অপরিচিত মনে করে ঘেউ ঘেউ করে,সেই লোককে ব্লগ ও ফেইসবুকে সমালোচনা করে কিংবা অতি উৎসাহী কিছু সাংবাদিক টিভির পর্দায় এনে বিরাট বিখ্যাত বলে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি বা দিচ্ছে।ফলে যা হবার তাই হচ্ছে,ঐ সব মিডিয়ার তৈরি অথর্ব নেতারা বিভিন্ন ফালতু সভায় অংশ নিয়ে একসময় জাতীয় নেতাদেরকে ও আক্রমন করে রাষ্ট্রদোহিতার সামিল বক্তব্য প্রদান করতেছে।এসব নেতাদের বক্তব্যের ভিড়ে চাপা পড়তেছে বড় বড় রাজনৈতিক নেতাদের রাষ্ট্রদোহিতামূলক বক্তব্য।যার ফলে সহজলভ্য হয়ে পড়ছে রাষ্ট্রদ্রোহিতা।
আমার উপরের বক্তব্যের
আসল উদ্দেশ্য কিন্তু অন্য যায়গায়!! এসব বেনামি লোকদের আমরা বা মিডিয়া নেতা বানিয়ে পরোক্ষভাবে রাষ্ট্রদ্রোহিতা নামক অপরাধটিকেই দুর্বল করে ফেলছি ।একজন বা কয়েকজন রাষ্ট্রদ্রোহি অপরাধীকে ধরে বিচার করা যেমনি সম্ভব তেমনি হাজার হাজার রাষ্ট্রদ্রোহিকে গ্রেফতার করে দুর্বল আইনি অবকাঠামোর দেশ, বাংলাদেশে বিচার করাও প্রায় অসম্ভব ।
(No subject)
:চিন্তায়আছি: :চিন্তায়আছি: :চিন্তায়আছি:
চিন্তায় আছি
চিন্তায় আছি