সাধারণত হোমো সেপিয়েন্স হিসেবে ছাগলনৃত্ব আমরা খুব একটা উপভোগ করি না। বস্তুত ছাগনৃত্ব তেমনিভাবে আমাদের দৃষ্টিগোচরও হয় না। তবে বাগানের সবথেকে সুন্দর গোলাপ চারাটির পাশে যখন একগাদা ছাগল, দুঃখিত একপাল ছাগল বিভিন্ন মুদ্রায় নাচে তখন স্বভাবতই আমরা কিঞ্চিৎ বিরক্ত হই।
আমাদের মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহ বেড়ে যায়। এই অবস্থায় অনেক আবেগতাড়িত লোক ছাগলের ‘পি ‘ মেরে দেয়। যাক সে কথা।
ছাগল সম্প্রদায়ের নিম্ন শ্রেণীভুক্ত একপাল ছুপা ছাগল থাকে। এদের বৈশিষ্ট্য হল এরা টয়লেট টিস্যুর মত। (জ্ঞানীদের জন্য ইশারায় কাফি)
যা বলছিলাম, এদের ক ‘দিনের লাফঝাপ দেখে একটি গল্প খেলে গেল মাথায়।
সাধারণত হোমো সেপিয়েন্স হিসেবে ছাগলনৃত্ব আমরা খুব একটা উপভোগ করি না। বস্তুত ছাগনৃত্ব তেমনিভাবে আমাদের দৃষ্টিগোচরও হয় না। তবে বাগানের সবথেকে সুন্দর গোলাপ চারাটির পাশে যখন একগাদা ছাগল, দুঃখিত একপাল ছাগল বিভিন্ন মুদ্রায় নাচে তখন স্বভাবতই আমরা কিঞ্চিৎ বিরক্ত হই।
আমাদের মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহ বেড়ে যায়। এই অবস্থায় অনেক আবেগতাড়িত লোক ছাগলের ‘পি ‘ মেরে দেয়। যাক সে কথা।
ছাগল সম্প্রদায়ের নিম্ন শ্রেণীভুক্ত একপাল ছুপা ছাগল থাকে। এদের বৈশিষ্ট্য হল এরা টয়লেট টিস্যুর মত। (জ্ঞানীদের জন্য ইশারায় কাফি)
যা বলছিলাম, এদের ক ‘দিনের লাফঝাপ দেখে একটি গল্প খেলে গেল মাথায়।
মূল চরিত্র -গণিতের কড়া শিক্ষক আবুল। (ক্লাসেঅংক না পারলে ‘স্টুপিড ‘, ‘রাবিশ ‘, ‘দুষ্টু ‘ গালির সাথে উচ্চ মাত্রার উত্তম মধ্যম প্রদানে বিশেষ খ্যাত) ।
সাথে আছে ক্লাসের টপার সুরঞ্জিত এবং ডাফার মখা।
তো, বেচারা মখা গণিতে একেবারেই কাঁচা। আবুল স্যারের মার খাওয়া প্রতিদিন তার জন্য ফিক্সডমেন্যু। (যেমনঃ ভাত ফিক্সড মেন্যু) এভাবে চলতে থাকায় মখার মনে আবুল স্যারের প্রতি তীব্র ক্ষোভ জন্মায়। স্যারের ব্যপারে কথা বলতে ” আবুইল্যা চু ** (সেন্সর) পোলা ” সম্মোধন ছাড়া সে বাক্য শুরু করে না। সে ঠিক করে রেখেছে আবুল স্যার মারা গেলে সে নিজের জন্মদিন ওইদিন পালন করবে। (কারণ অজ্ঞাত) অপরদিকে সুরঞ্জিত ছিল স্যারে প্রিয় পাত্র (পাতিল নহে) । স্যার নিজ মুখে বলেছেন, তাঁর ক্যারিয়ারে দেখা সবথেকে উজ্জ্বল বিদ্যার্থী(bright student) হল সুরঞ্জিত।
এদিকে সুরঞ্জিত হল শয়তানের চেলা। লুকিয়ে লুকিয়ে শয়তানি করাকে সে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিল। তাকে আপাত দৃষ্টিতে সরল নিরহংকারৗ মনে হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু তলে তলে (টেবিলের তলে) মখাকে সে গুতাতো।(পা দ্বারা) কিন্তু একথা সে স্যার আবুলকে বলতে আরে না। তার কথা তিনি বিশ্বাসই করবেন না! প্রতিশোধে মরিয়া মখা সুযোগ খুঁজে, কিন্তু পায় না।
একদিন হল কি, আবুল স্যার কেন জানি সুরঞ্জিতকেকি মারা মারল! মাইরি বলছি, ক্লাসের সব মেয়ের চোখের জল নাকের জল ইত্যাদি এক হল। (গোপান সুত্র :মেয়েরা সুরঞ্জিতের মত মিচকা শয়তান পছন্দ করে। যারা টেবিলের নিচে গুতা মারে)
ছুটির পর সব ক্লাসমেটদের দাওয়াত করল মখা। সবাইকে KFC তে হার্ড লাঞ্চ করানো হবে।
সবাইকে নিয়ে খাবার পর মখা সবার মাঝখানে গেল।
বক্তৃতার ভঙ্গিতে বলল, বন্ধু এবং বান্ধবীরা! সবাই জানো আজ এক খুশির দিন।
কয়েকজন চ্যালা সায় দিয়ে, yea yea বললেও বাকিরা ঠিক বুঝতে পারল না।
মখা বলে চলল, আজ আমাদের মহান শিক্ষক, অতিশয় দয়াবান, দয়ার সাগর, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষক, মানুষ গড়ার সুনিপুণ কারিগর তার সবচেয়ে ভাল কাজটি করে দেখালেন। তিনি আজ সুরঞ্জিতকে খুব মারলেন।
এই পর্যায়ে বেশিরভাগ ছেলে মেয়ে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিল, তকে ওই যে। কিছু ছাগল সবজায়গায় থাকে না? তেমন ছাগলরা, আজ্ঞে জাহাঁপনা, জ্বী হুজুরে আলা বলে গল্প শুনতে লাগল।
প্লট :কাদের সিদ্দিকীরে প্রজন্ম “নব্য রাজাকার ” বলে গালি দেয়। টাইগার সিদ্দিকী বাউন্সার হুক করতে গিয়ে বলে, মুই রাজাকার হলিমুজিব রাজাকার কমান্ডার।
এমন অমৃত বাণী শ্রবণ উত্তর বেশ কিছু ছাগলের অর্গা ** (সেন্সর) হয়ে যায়। তারা বলতে থাকে, আহারে! মুজিব সুমহান! জাতীয় বীর, জাতীয় পিতা, মহামানব! তিনি মহাক্ষমাশীল! সেরা নেতা ইত্যাদি।
আজকের প্রজন্ম পরোক্ষ ভাবে তাঁকেই রাজাকার বলছে!! গেল গেল, সব গেল!
যদিচ, আমরা এই প্রজাতিকে দেখি মুজিবের মুন্ডুপাত করতে। এই প্রজাতি কিন্তু তাঁর মৃত্যুদিনে জন্মদিবসও ধুমধামে পালন করে। তাঁর মৃত্যু পচাত্তুরে তাদের স্বস্তি এনে দিয়েছিল। যা ভেবে আজও তারা হর্নি হয়ে পরে।
তাদের গোবর সমৃদ্ধ মস্তিষ্ককে বলি, কাদের মিয়ারে আমরা “নব্য রাজাকার ” বলি। হেহেহে, নব্য শব্দটি মিস করছে। অবশ্য স্বাভাবিক। উর্দুর শিখতে গিয়ে বাংলা ভাষার মারপ্যাঁচ ধরার দক্ষতা হারিয়ে ফেলেছে।
আর একটা ছোট কথা, অনেকে সারাজীবন অত্যন্ত সৎ, দ্বীনি জীবনযাপন করেও ইমান নিয়ে মরতে পারে না। (জ্ঞানীদের জন্য আবারও ইশারা)
(No subject)
:জ্ঞান: :জ্ঞান: :জ্ঞান: :জ্ঞান:
যে একবার মুক্তিযোদ্ধা সে
যে একবার মুক্তিযোদ্ধা সে চিরকাল মুক্তিযোদ্ধা না,যে একবার রাজাকার সে চিরকাল রাজাকার।সম্ভবত এরকম করেই হুমায়ূন আজাদ একটা কথা বলেছিলেন।