অনেকেই জেনে বা না জেনে বিবিধ কথা বলে ইসলাম সম্পর্কে। মানে যে যেভাবে বোঝে। যেমন বাংলাদেশের অধিকাংশ ধর্মভিরু লোক আফগানিস্তানের কাবুলি ড্রেসকে [যা পরে তারা পপি চাষের কাজও করে, ছবি সংযুক্ত] সুন্নতি ড্রেস বলে চালায়, যদিও আরব দেশের কেউই ঐ পোশাক পরে না, নবীও পরেননি। তাহলে সুন্নতি পোশাক কি? ইসলামের নবী যে পোশাক পছন্দ করতেন বা অধিকাংশ সময় পরতেন তা কি সুন্নতি? তাহলে দেখি সে কি করতেন?
:
হাদিস : নবী (স.) পোশাক হিসেবে চাঁদর পরতেন, তবে ইয়ামেনের ‘হিবারা’ চাঁদর অধিক পছন্দ করতেন (বুখারী-৫৩৮৪-৮,৫৬৫০), মৃত্যুকালে নবীর পরনে চাঁদর ছিল ও মৃত্যুর পর তাকে হিবারা চাঁদর দিয়ে ঢেকে দেয়া হয় (বুখারী-৫৩৮৯-৯১), মৃত্যুর সময় নবী লুঙ্গী ও চাঁদর পরিহিত ছিলেন (তিরমিযী-১৬৭৮), নবী বলেছেন, যে ব্যক্তি গাধায় চড়ে, চাঁদর পরিধান করে ও ছাগলের দুধ দোহন করে, তার মধ্যে অহঙ্কারের লেশমাত্র নেই (তিরমিযী-১৯৫১), নবীর কবরে লাশের নিচে একটি লাল পশমী চাঁদর বিছানো হয় (তিরমিযী-৯৮৭), মক্কা বিজয়ের দিন নবীর মাথায় ছিল কালো পাগড়ী ও চুলে ৪-টি বেণী ছিল (তিরমিযী-১৬৮০,১৭২৭)
:
উপর্যুক্ত হাদিসে সুষ্পষ্ট যে, পোশাক হিসেবে নবী “চাঁদর” পরিধান ও পছন্দ করতেন। তো সুন্নতি পোশাক যদি কিছু থাকে, তবে কি তা চাঁদর হবেনা? কিভাবে তা কাবুলি বা তথাকথিত নানা “ইসলামি” ড্রেস, পাগরির বদলে দোতলা-তিনতলা কারুকার্যময় নানাবিধ টুপি হয়? ইসলাম নিয়ে এদেশে কত মিথ্যাচার প্রতিনিয়ত হচ্ছে রে অশিক্ষিত অর্ধশিক্ষিত মানুষ পেয়ে ! এবং মিথ্যাচারকারী এসব ভন্ড কাঠমোল্লারা চায়না, আমরা ইসলামের এসব সত্যকথা প্রচার করি।
:
ছবি
গাজা/পপি চাষরত "কাবুলি ড্রেসে" আফগানি লোকজন!
- ড. লজিক্যাল বাঙালি এর ব্লগ
- 168 বার পঠিত
Comments
Post new comment